ই–কমার্সবলতে কি বুঝায়?
ইলেক্ট্রনিক নেটওয়ার্ক, বিশেষ করে,ইন্টারেনট ব্যবহার করে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়,অর্থ লেনদেন ও ডাটা আদান-প্রদানই হচ্ছে ই-কমার্স বা ই-বাণিজ্য। ই-মেইল, ফ্যাক্স, অনলাইন ক্যাটালগ, ইলেক্ট্রনিক ডাটা ইন্টারচেঞ্জ,ওয়েব বা অনলাইন সার্ভিসেস ইত্যাদির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এক কথায় প্রায় স্বয়ংক্রিয় আদান-প্রদানের এই বিপণন প্রক্রিয়ার নাম হচ্ছে ই-কমার্স। এক কথায় প্রায় স্বয়ংক্রিয় আদান-প্রদানের এই বিপণন প্রক্রিয়ার নাম হচ্ছে ই-কমার্স।
ই–কমার্স কীভাবে কাজ করে ?
ই-কমার্স সিস্টেম কীভাবে কাজ করে তার সর্ম্পকে আলোচনা করা যাক এখান থেকে আপনি ধারনা নিয়েই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
1.আপনার ইন্টারনেট এনাবল থাকলে আপনি কম্পিউটার বা মোবাইল নিয়ে বসে পছন্দের ই-কমার্স
ওয়েবসাইট ব্রাউজারে লোড করতে পারবেন।
2.আপনার ব্রাউজার সাইটের সার্ভারের সাথে যোগাযোগ করে আপনাকে সর্বদা ওয়েব পেজ গুলো সার্ভ করতে থাকে।
3.কোন প্রোডাক্ট অর্ডার করলে তার তথ্য ওয়েব সার্ভার অর্ডার ম্যানেজার প্রোগ্রামের কাছে পাঠিয়ে দেন।
4.অর্ডার ম্যানেজার প্রোগ্রাম ডাটাবেজ চেক করে দেখে, প্রোডাক্টটির স্টক রয়েছে কিনা।
5.ডাটাবেজ নিশ্চিত করে পণ্যটি স্টকে রয়েছে এবং বিক্রেতার অনুসারে একটি সম্ভাব্য ডেলিভারি তারিখ
নির্ধারণ করে দেয়।
6.যেহেতু পণ্যটি স্টকে রয়েছে তাই অর্ডার ম্যানেজার লেনদেন সিস্টেমের সাথে যোগাযোগ করে ক্রেডিট কার্ড
বা ডেবিট কার্ড থেকে বিল কেটে নেওয়ার জন্য।
7.আবার সিস্টেম ব্যাংক কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করে ক্রেতার অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট পরিমানে ফান্ড
রয়েছে কিনা চেক করার জন্য।
8.ব্যাংক কম্পিউটার থেকে অনুমতি পেয়ে নিশ্চিত হলে লেনদেন আরো সামনে এগোয়, কিন্তু সাইটটি
তৎক্ষণাৎই টাকা পেয়ে যায় না, কিছু দিন অপেক্ষা করতে হয়।
9.লেনদেন সফল হওয়ার পরে সিস্টেমটি ওয়েব সার্ভারকে জানিয়ে দেয়।
10.ওয়েব সার্ভার কাস্টমারকে একটি পেজ প্রদর্শন করে জানায়, তার অর্ডারটি সফল হয়েছে এবং আরো বিল তথ্য জানানো হয়।
11.অর্ডার ম্যানেজার এবার গুদামের কম্পিউটারে রিকোয়েস্ট করে পণ্যটি সঠিক ভাবে কাস্টমারের
ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বলেন।
12.এবার ট্রাকে করে আপনার পণ্য আপনার ঠিকানার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়।
13.একবার পণ্য গুদাম থেকে রওনা হওয়ার পরে, গুদামের কম্পিউটার থেকে আপনার ইমেইল অ্যাড্রেসে
মেইল করে আপনাকে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়।
14.পরিশেষে পণ্যটি আপনার বাড়ির দুয়ারের সামনে এসে যায়।
এখন ক্রেডিট কার্ডের পাশাপাশি ডেলিভারিতে ক্যাশ প্রদান করা অনেক জনপ্রিয় একটি পেমেন্ট মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে ক্রেতা হিসেবে আপনার ঝুঁকি কমে যায় এবং সাইটকেও লেনদেন সিস্টেমের ঝামেলা পোহাতে হয় না। সব ই-কমার্স কোম্পানির গুদাম থাকে না, আবার সবাই নিজস্ব যানবাহনে পণ্য পৌঁছায় না, বাংলাদেশের বেশিরভাগ ই-কমার্স সাইট কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করে পণ্য পৌছিয়ে থাকে।
তাহলে বুঝতে পারলেন অনলাইনে ই-কমার্স ব্যবসার পন্য আপনি কিভাবে আপনার হাত পযর্ন্ত পাবেন তার ধারা বাহিকতা । আপনি চাইলে এ ব্যবসাটি করতে পারেন বাড়িতে বসে যদি আপনার নিজস্ব কোন পন্য থাকে। আপনি ও একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট করে ইনকাম করতে পারেন ।
পরবর্তী আর্টিকেল থাকবে*,,*
ই-কমার্স সাইটের জন্য সেরা ডোমেইন ও হোস্টিং কিনবেন কিভাবে?
ই-কমার্স এর প্রকার ভেদ আলোচনা কর?
কীভাবে একটি ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করবেন?
**রিলেটেড আর্টিকেল**
ফেসবুকে আর্থিক লেনদেন করা যাবে
অনলাইনে গান বিক্রি করে আয় করার ৫টি ওয়েবসাইট
টিমভিউয়ার দিয়ে যেকোন কম্পিউটারে প্রবেশ করবেন