ই-কমার্স বলতে কি বুঝ:
সহজ ভাষায় বলতে গেলে এক কথায় ই-কমার্স হচ্ছে অনলাইনে বেচাকেনার মাধ্যম। অর্থাৎ ই-কমার্স হচ্ছেইলেকট্রনিক মাধ্যমে বাণিজ্য করার পদ্ধতি। যেকোনো পণ্য বা সেবা বাণিজ্যের প্রাথমিক ধাপ হচ্ছেবিক্রেতারকাছে থাকা পণ্য ক্রয় করা, ক্রেতা কর্তৃক বিনিময় মূল্য পরিশোধ করা এবং বিক্রেতার সঙ্গেক্রেতার সারসরি যোগাযোগ।
ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য সেরা ডোমেইন কিনবেন যেভাবে:
ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে গেলে আপনাকে প্রথমেম যে কাজটি করতে হবে তা হলো ওয়েব সাইটেরজন্য একটি ভালো নাম ঠিক করতে হবে। তারপর পছন্দ অনুযায়ী নামে ডোমেইন খালি আছে কি না তাদেখে নিতে হবে। কারণ এই নামেই আপনার প্রতিষ্ঠান পরিচিতি পাবে।
ডোমেন ঠিক করার করনীয় কিছু কথা:
1.প্রথমত আপনার ব্যবসার পণ্য বা সেবার সঙ্গে মিল রেখে ডোমেইন নাম পছন্দ করতে হবে।
2.ডোমেইন নামটি Brandable রাখার চেষ্টা করতে হবে কারন এ নামে আপনার ব্যবসা পরিচিত
পাবে।
3.ডোমেইনের নামে কোন সিম্বল বা হাইপেন ব্যাবহার করবেন না।
4.ছোট ও সহজে মনে রাখা যায় এমন ডোমেইন নাম সিলেক্ট করতে হবে। এতে আপনার সাইটে যাঁরা
আসবেন তারা আপনার সাইটের নামটা সহজে মনে রাখতে পারবে।
5.Namecheap কোম্পানিতে .com ডোমেইন ৮৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে রেজিস্ট্রেশন
করা যায় । মেয়াদ শেষে নবায়ন (রিনিউ) করার অনেক সুবিধা আছে এখানে।
6.রেজিস্ট্রেশন করার পর ডোমেইনের নিয়ন্ত্রণ (কন্ট্রোল প্যানেল) নিজের হাতে নেবেন।
7.কন্ট্রোল প্যানেল দিতে পারবে না এমন সেবাদাতা বা প্রোভাইডারের কাছ থেকে ডোমেইন কেনা যাবে
না। আপনি চাইলে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ডোমেইন কিনতে
পারবেন। তবে সকল কিছু দেখে বুঝে তারপর কিনবেন।
ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য সেরা হোস্টিং প্লান কিনবেন যেভাবে:
ই-কমার্স সাইটের জন্য ডোমেইন কেনার পরেই যেটা বেশি প্রয়োজন হয়, সেটা হলো হোস্টিং। মূলত আপনি যে সাইটটা তৈরি করবেন, সেটার যাবতীয় ডাটা, ফাইল ও দরকারি জিনিসপত্র সার্বক্ষণিক চালু রাখার জন্য একটি স্পেস বা জায়গা প্রয়োজন। আর সেই নির্ধারিত স্পেস বা জায়গা কেই বলা হয় ওয়েবসাইটের হোস্টিং। আপনি চাইলে যেকোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান Namecheap.com পারবেন। হোস্টিং বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
যেমন: শেয়ারড হোস্টিং, ভিপিএস (ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট সার্ভার) হোস্টিং, ক্লাউড হোস্টিং, রিসেলার হোস্টিং,ডেডিকেটেড হোস্টিং ইত্যাদি। এখন এগুলো হোস্টিং সার্ভিসের মধ্যে আপনি কোনটা বেছে নিবেন। হলো মেন বিষয়। সংক্ষেপে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
ক্লাউড হোস্টিং:
যখন কোনো ওয়েবসাইট হোস্ট করা হয়, তখন তা একটি সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু ক্লাউড হোস্টিংয়েসাইটটি একটি সার্ভারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। অর্থাৎ প্রয়োজনে ভিন্ন ভিন্ন সার্ভারের সমন্বয়ে ক্লাউডপ্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছাতে পারে। তাই একই সময়ে বেশি মানুষ সাইটে গেলেও সার্ভারডাউন হয় না। তাই ই-কমার্স সাইটের জন্য প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত ক্লাউড হোস্টিং।
ডেডিকেটেড হোস্টিং:
যখন একটা কম্পিউটার পুরটাই একটা সার্ভার হিসাবে ব্যবহার করা হয় তখন এটাকে বলে ডেডিকেটেড সার্ভার। আর এই ডেডিকেটেড সার্ভার এর হোস্টিং কে আমরা বলি ডেডিকেটেড হোস্টিং । ডেডিকেটেড সার্ভার অনেক ব্যয়বহুল। যাদের ওয়েবসাইট অনেক বড় এবং বেশি নিরাপত্তার প্রয়োজন হয় তাদের জন্য এই হোস্টিং সার্ভিস টি ভালো। ই-কমার্স সাইটের জন্য ডেডিকেটেড হোস্টিংয়ের সুবিধা-অসুবিধা দুটোই আছে। ডেডিকেটেড সার্ভারের মাসিক ভাড়া কমবেশি ছয় হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে থাকে।
শেয়ারড হোস্টিং
শেয়ারড হোস্টিং মানেই হচ্ছে এক পিসিতে একটা হার্ড ডিস্ক থাকবে সেই হার্ড ডিস্ক এর সব স্পেস শেয়ার করা হয় অনেকে হোস্টিং ইউজারদের মধ্যে। এ ধরনের হোস্টিং ই-কমার্স সাইটের জন্য অনুপযোগী। অধিক সংখ্যক ভিজিটর সাইটে এলেই সার্ভার ডাউন হয়ে যাওয়ার চান্স আছে। সাধারণত ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে (প্রতি মাসিক ভাড়া) আপনি এই হোস্টিং কিনে ব্যাবহার করতে পারবেন।
ভিপিএস হোস্টিং:
ভিপিএস এর ফুল ফর্ম হলো ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট সার্ভার। যখন একটা কম্পিউটারকে বিশেষ কোন Software বা অন্য কিছু দিয়ে ভাগ করে অনেক গুলো সার্ভার তৈরি করা হয় তখন প্রত্যেক ভাগকে এক একটা ভিপিএস বা ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট সার্ভার বলে। ই-কমার্স সাইটের জন্য এটি ব্যাবহার করতে পারবেন।
ই-কমার্স বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন হলেও ভবিষ্যতের কথা ভেবে নতুন উদ্যোক্তারা ধীরে ধীরে অনলাইন ই-কমার্স ব্যাবসার এর সাথে জড়িত হচ্ছেন। তাই আপনি যদি একজন নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে একটি ই-কমার্স সাইট প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে উপরোক্ত আলোচনা আপনার জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করবে ।
পরবর্তী আর্টিকেল এ ই-কমার্স নিয়ে আরো বিশ্লেষণ করবো,,,,,,,,
**রিলেটেড আর্টিকেল**
এবার উচ্চারণ শেখা যাবে গুগল সার্চে