উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের কাছে Antivirus এন্টিভাইরাস বা এন্টিম্যালওয়্যার প্রোগ্রাম নতুন কোনো বিষয় নয়। আপনার কম্পিউটার যদি উইন্ডোজ ১০ অথবা উইন্ডোজের অন্য যেকোনো ভার্সন যেমন উইন্ডোজ ৭ বা উইন্ডোজ ৮ দ্বারা চালিত হয়, তাহলে এর মধ্যে মাইক্রোসফটের নিজস্ব ফ্রি এন্টিভাইরাস বা এন্টিম্যালওয়্যার প্রোগ্রাম, উইন্ডোজ ডিফেন্ডার দেয়া আছে।
কম্পিউটারের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের লিস্ট – (সেরা ১0 টি)
উইন্ডোজ ডিফেন্ডার নিয়মিত আপডেট করলে বেশিরভাগ ভাইরাস বা ক্ষতিকর সফটওয়্যারের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন আপনার কম্পিটার। সেই সাথে চাইলে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য অন্য একটি থার্ড পার্টি Antivirus এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারও ব্যবহার করতে পারেন। তার আগে জেনে নেওয়া যাক, এন্টিভাইরাসে কী কী ফিচার থাকা জরুরি।
কম্পিউটার ভাইরাস কি ? কম্পিউটারে ভাইরাসের লক্ষণ,কারণ,প্রকার এবং ক্ষতি
এন্টিভাইরাস সমাচারঃ গুরুত্বপূর্ণ ফিচারসমূহ
উইন্ডোজ এর জন্য সেরা Antivirus অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার খোঁজার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যাতে এটি পিসিকে সুরক্ষিত রাখে, পরিমিত সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে, ব্যবহার করা সহজ হয় এবং প্রয়োজন ব্যতীত যাতে বিরক্তির উদ্রেক না করে। এই পোস্টে আমরা উইন্ডোজের জন্য সেরা কিছু এন্টিভাইরাসের সাথে পরিচিত হব। প্রথমেই একটি আদর্শ এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারে যেসব বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত তা নিম্নে আলোচিত হল।
চলে এলো মেসেঞ্জার কিডস Messenger Kids।
কার্যকরিতাঃ অ্যান্টিভাইরাস Antivirus জানা ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার (অর্থাৎ ক্ষতিকর প্রোগ্রাম) সনাক্ত করে, এবং সার্বক্ষণিক সুরক্ষা প্রদান করতে পারে। এমনকি এগুলো ক্ষতিকর ওয়েবসাইট এবং সন্দেহজনক লিঙ্কগুলোও খুঁজে বের করে আপনার কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখে।
এন্টিভাইরাস Antivirus সফটওয়্যারগুলো ক্ষতিকর প্রোগ্রামের বিরুদ্ধে সুরক্ষা সরবরাহ করতে পারে এবং অপ্রত্যাশিত আচরণ পর্যবেক্ষণ করে। এছাড়াও নতুন এবং এখনও সনাক্ত না হওয়া ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার খোঁজ করাও এন্টিভাইরাস এর কাজ। অতএব, বেছে নিন এমন একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার যা মিথ্যা সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি না দিয়ে উক্ত সুবিধাসমূহ প্রদান করবে।
সিস্টেম রিসোর্স এর পরিমিত ব্যবহারঃ আপনি অবশ্যই এমন একটি অ্যান্টিভাইরাস চাইবেন যা আপনার পিসির রিসোর্স এ ঘাটতি তৈরি করবে না। Antivirus অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করার পর যদি ওয়েবসাইট ওপেন হতে সময় বেশি নেয়, ফাইল কপি করতে প্রত্যাশিত সময়ের বেশি সময় নেয়, তবে আপনার উচিত এর বিকল্প প্রোগ্রাম খোঁজ করা।
মূল্যঃ টাকা দিয়ে ক্রয় করলেই যে সেই Antivirus এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার আপনাকে যথাযথ সুরক্ষা দিবে এবং ফ্রি সফটওয়্যার কোনো কাজেরই না, সেটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আমাদের এই তালিকার প্রত্যেকটি এন্টিভাইরাসই বিনামূল্যে ব্যবহারযোগ্য, কিন্তু যথেষ্ট কার্যকর। আপনি যদি ব্যক্তিগত কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করার জন্য এই পোস্টটির সাহায্য নিয়ে থাকেন, তবে তালিকার যেকোনো একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
গোপনীয়তাঃ কম্পিউটারের সকল চলমান প্রসেস পর্যবেক্ষণ করাই একটি কার্যকর Antivirus এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর কাজ। তবে কম্পিউটারে চলমান এই সুরক্ষা ব্যবস্থার আড়ালে সফটওয়্যারটি ব্যবহার্য ডাটা অন্য কোম্পানির কাছে হাতবদল করছে কিনা, তাও নিশ্চিতকরণ জরুরি। এজন্য এন্টিভাইরাসের রিভিউ পড়ে নেওয়া জরুরি।
চলুন জেনে নিই বর্তমান সময়ের সেরা ৫ ফ্রি Antivirus এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার সম্পর্কে, যা থেকে আপনি যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন।
অ্যাভাস্ট ফ্রি এন্টিভাইরাস
এন্টিভাইরাস Antivirus জগতে অ্যাভাস্ট অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। বিভিন্ন টেস্টিং ল্যাব এর পরীক্ষাতে এটি সেরা এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর পরিচয় দিয়েছে। সাইবারক্যাপচার হল অ্যাভাস্ট এন্টিভাইরাস এর অন্যতম প্রধান ফিচার, যা পিসিতে নতুন ফাইল রান করার আগে সেটি স্ক্যান করে নেয়। এছাড়াও অ্যাভাস্ট ফ্রি এন্টিভাইরাসে আরো থাকছে নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি ইন্সপেকটর, পাসওয়ার্ড ম্যানেজারসহ আরো অনেক ফিচার। পাশাপাশি অ্যাভাস্ট এন্টিভাইরাস সব ব্রাউজারেই ইউআরএল প্রটেকশন সুবিধা প্রদান করে। তবে অ্যাভাস্টের প্রাইভেসি সেটিংস আপনার কাছে কিছুটা কঠিন লাগতে পারে, এবং এর পেইড কম্পোনেন্টের লিংক ভালো নাও লাগতে পারে।
বিট ডিফেন্ডার ফ্রি এন্টিভাইরাস
ফ্রি এন্টিভাইরাস হিসেবে বিট ডিফেন্ডার ব্যাপক জনপ্রিয়। বিট ডিফেন্ডার অ্যান্টিভাইরাস এর ফ্রি সংস্করণে কমার্শিয়াল বিটডিফেন্ডার অ্যান্টিভাইরাস এর একই কোর অ্যান্টিভাইরাস প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অর্থাৎ বিনামূল্যেই পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ লেভেলের সুরক্ষা। ফিশিং সাইট এবং ক্ষতিকর ইউআরএল এর বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্যও বিট ডিফেন্ডার পরীক্ষিত। সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য বিট ডিফেন্ডার কনফিগার করা সহজ। তবে আপনি যদি অ্যাডভান্সড ইউজার হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে হয়ত আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ চাইতেই পারেন যা বিট ডিফেন্ডারে আপাতত নেই।
ক্যাস্পারস্কি ফ্রি এন্টিভাইরাস
অনেক ওয়েবসাইটেই ক্যাস্পারস্কি ফ্রি এন্টিভাইরাসকে সেরা ফ্রি এন্টিভাইরাস এর খেতাব দেয়া হয়েছে। তবে আমরা এর ভালো ও খারাপ – উভয় দিক বিবেচনা করে একে তৃতীয় অবস্থানে স্থান দিয়েছি। ক্যাস্পারস্কি এন্টিভাইরাস বিনামূল্যে ফুল-স্কেল ম্যালওয়্যার সুরক্ষা প্রদান করে। আরো থাকছে রিয়েল-টাইম স্ক্যানিং, এন্টি-ফিশিং, ইমেইল স্ক্যানিং, স্পাইওয়্যার প্রটেকশন সহ নানান সুবিধা। এটি আপনার কাছে খুব ব্যাসিক লেভেলের এন্টিভাইরাস মনে হতে পারে, তবে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এটি যথেষ্ট। এর ইউজার ইন্টারফেস অত্যন্ত সহজ এবং এর ভাইরাস ধরার ক্ষমতা অসাধারণ।
ভিপিএন আপনার নেটওয়ার্ক ট্রাফিককে অন্য কোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ফরোয়ার্ড করে দেয়। প্রায় সব অপারেটিং সিস্টেমেই বিল্ট ইন VPN সাপোর্ট আছে।
কীভাবে ভিপিএন আপনাকে সাহায্য করতে পারে?
আপনি যখন আপনার ডিভাইসটিকে ভিপিএনে কানেক্ট করেন তখন এটা অন্য কোন একটা কম্পিউটারে (সার্ভারে) নিজেকে সংযুক্ত করে এবং ইন্টারনেটের সাথে আপনার যোগাযোগের জন্য একটি গোপন রাস্তা বা সুড়ঙ্গ তৈরি করে। আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) এই সুড়ঙ্গের উপস্থিতি বুঝতে পারলেও এর মধ্যে ঢুকতে পারবেনা। ফলে আপনি কোন সাইট ব্রাউজ করছেন কিংবা কী ডেটা পাস করছেন তা আইএসপি জানতে পারবে না। তখন আপনার দেশে বা আইএসপিতে যদি কোন সাইট ব্লক করা থাকে সেই সাইটটিও আপনি ভিপিএন ব্যবহার করে ব্রাউজ করতে পারেন। আর এই সব ডেটা ভিপিএন ব্যবহারের সময় এনক্রিপ্টেড হয়ে যায়।
কী কী কাজে ভিপিএন ব্যবহার করা হয়?
জিও রেস্ট্রিক্টেড কন্টেন্ট ব্রাউজ
ভিডিও ও অডিও স্ট্রিমিং সাইটগুলোতে নির্দিষ্ট দেশের জন্য স্পেসিফিক কন্টেন্টগুলো যে কোন দেশ থেকেই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (VPN) এর মাধ্যমে ব্রাউজ করতে পারবেন। যেমন ধরুন স্পটিফাই সাইট থেকে বাংলাদেশে বসে আপনি গান শুনতে পারবেন না। কিন্তু চাইলেই ইউএস বা অন্য কোন দেশ যেখানে স্পটিফাই এর সার্ভিস আছে সেসব দেশের আইপিযুক্ত সার্ভারে ভিপিএন দিয়ে কানেক্ট করে আপনিও স্পটিফাই সার্ভিস বাংলাদেশে বসেই ব্যবহার করতে পারবেন।
নিজের তথ্য নিরাপদ রাখতে
আপনি যদি পাবলিক প্লেসে ফ্রি ওয়াই-ফাই হটস্পট ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ব্রাউজিং ডেটা সেইম নেটওয়ার্কে থাকা অন্যান্য মানুষ ট্রেস করতে পারে যদি সে এই বিষয়ে এক্সপার্ট হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে বাঁচাবে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (VPN)। আপনি ভিপিএন দিয়ে কানেক্ট করলে আপনার ওয়াইফাই সংযোগে কেউ আড়ি পাতলে কিংবা এমনকি আপনার আইএসপি নিজেও শুধু একটা প্রাইভেট নেটওয়ার্কই দেখবে। এর ভিতরে যে সব ডেটা পাস হচ্ছে সেসবের নাগাল পাবে না।
নিজের প্রকৃত লোকেশন গোপন করতে
বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ট্র্যাকিং থেকে বাঁচতে আপনি যদি আপনার প্রকৃত লোকেশন গোপন রেখে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান তাহলে ভিপিএন আপনাকে সেই সুবিধা দিবে। এছাড়া আপনি হয়তো জানেন যে চীনে সরকারীভাবে অনেক সাইটই বন্ধ করে রাখা আছে (এমনকি ফেসবুকও)। চায়নিজরা ভিপিএন ব্যবহার করেই প্রয়োজন পড়লে সেসব সাইট ব্রাউজ করে পুরো ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত থাকে।
টরেন্ট ব্যবহারের সময় আপনার গোপনীয়তা রক্ষার্থে
টরেন্ট থেকে ফাইল নামানোর ক্ষেত্রে ট্রেসিং এড়াতে VPN ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি আপনি যদি লিগ্যাল টরেন্ট ও ডাউনলোড করেন তাহলেও আপনার আইএসপি বেশি ট্রাফিকের ভয়ে আপনার কানেকশন স্লো করে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ভিপিএন দিয়েই আপনি ট্রেস থেকে বাঁচতে পারেন।
. . . এবং এর আরও অনেক প্রয়োগ থাকতে পারে।
ভিপিএন কি নিরাপদ?
ভার্চুয়াল জগতে নিরাপত্তার ব্যাপারটি দুর্বোধ্য। কোনো কিছুই পুরোপুরি নিরাপদ নয়। কিন্তু বাজারের জনপ্রিয় VPN সেবাদাতাগুলোর প্রতি অনেকেই আস্থা রাখছেন। আবার নিজের তৈরি ভিপিএন নেটওয়ার্ক হলে তাও মন্দ হয় না- যদিও অনেক ক্ষেত্রে তা “খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি” বলে মনে হতে পারে। অসাধু বা কম্প্রোমাইজড VPN নেটওয়ার্ক থেকে আপনার ডেটা বেহাত হওয়ার ঝুঁকি যে একদম নেই তা না। অনেক কোম্পানি ফ্রি আনলিমিটেড VPN দেয়ার কথা বলে, যা বুঝেশুনে না এগোলে ফাঁদ হিসেবে দেখা দিতে পারে। সুতরাং একটু ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে।
কীভাবে ভিপিএন ব্যবহার করবেন?
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি আপনার আনলাইন জীবন নিয়ে খুব বেশি সতর্ক হলে আপনি নিজেই একটি VPN সার্ভার তৈরি করে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অধিকাংশ মানুষই ঝামেলা এড়াতে বিভিন্ন থার্ড পার্টি সার্ভিস ব্যবহার করে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো রেটিং ওয়ালা সার্ভিসগুলো আপনি নিশ্চিন্তেই ব্যবহার করতে পারেন। অধিকাংশ প্রোভাইডারেরই ফ্রি এবং পেইড, দুই ধরনের VPN প্ল্যান আছে। মাঝে মাঝে VPN ব্যবহার করলে ফ্রি প্ল্যানই আপনার জন্য যথেষ্ট হবে। আর যদি অফিসের বা ব্যবসায়িক কাজে রেগুলার ব্যবহার করতে হয় তাহলে ভালো একটা পেইড প্ল্যান নিতে পারেন। পেইড প্ল্যানে সাধারণত বিজ্ঞাপন থাকে না এবং সার্ভারের সংখ্যা বেশি ও স্পিড বেশি থাকে। এছাড়া আরো কিছু সুবিধা পেইড প্ল্যানে পাওয়া যায়।
প্রায় সব ভিপিএন প্রোভাইডারেরই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য ডেস্কটপ, এন্ড্রয়েড, আইওএস অ্যাপ ও ব্রাউজার এক্সটেনশন রয়েছে। এগুলো সাধারণত ক্রস প্লাটফর্ম সার্ভিস। এগুলো ব্যবহার করাও খুবই সহজ। শুধুমাত্র তাদের সাইট এ গিয়ে সাইনআপ করলেই হয়ে গেলো।
কয়েকটি জনপ্রিয় ভিপিএন প্রোভাইডার হলো স্যামসাং ম্যাক্স (ফ্রি), এক্সপ্রেস ভিপিএন, টানেলবিয়ার, হটস্পটশিল্ড ইত্যাদি। গুগলে কিংবা আপনার ডিভাইসের অ্যাপ স্টোরে VPN লিখে সার্চ করলেই অনেকগুলো সার্ভিসের লিস্ট পেয়ে যাবেন, যেখান থেকে ব্যবহারকারী সংখ্যা, রিভিউ ও রেটিং দেখে এগুলোর নির্ভরযোগ্যতা আঁচ করতে পারবেন। এছাড়া অপেরা ডেস্কটপ ব্রাউজারেও ফ্রি আনলিমিটেড ভিপিএন পাবেন।
আপনি কি কখনো VPN ব্যবহার করেছেন? আপনার মতে কোন কোম্পানির VPN সেবা সবচেয়ে ভালো ও নিরাপদ?
সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য
Md Nazmul Islam
Good Post
Jahid
ধন্যবাদ
Ahasun ahamed Suage
Valo post
Niramay Kanjilal
Very Helpfull Post For Windows Users.