যখনি আমাদের ইন্টারনেট স্পিড কোমে যায় বা ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহার করার ভাব আসে, তখন আমাদের ভিপিএন (vpn) এর কথা মনে পরে। এবং, বেশিরভাগ লোকেরাই, vpn কে ফ্রীতে ইন্টারনেট ব্যবহারের একটি মাধ্যম হিসেবে জানেন। কিন্তু, সেটা সত্যি নয়। একটি VPN এর সম্পূর্ণ নাম হলো “virtual private network” এবং এর মানে সম্পূর্ণ আলাদা।
সাধারণ ভাবে, যারা vpn মানে কি সেটা জানেন, তারা এর ব্যবহার কিছু blocked website এ প্রবেশ করার জন্য করেন। মানে, ইন্টারনেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলি কিছু বিশেষ দেশ বা জায়গাতে বন্ধ বা ব্লক করা।
এবং, এই blocked website গুলিতে লোকেরা এই VPN এর মাধ্যমে প্রবেশ করে সেগুলি ব্যবহার করতে পারেন।
তাছাড়া, আজকের ইন্টারনেট (internet) এবং অনলাইনের দুনিয়াতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা যেভাবে দিনের পর দিন বাড়ছে, ঠিক সেভাবে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার personal data বা privacy details চুরি করার মতো সাংঘাতিক হ্যাকার (hackers) দেড় সংখ্যা ও বেড়ে যাচ্ছে।
এক্ষেত্রে, নিজের online privacy এবং data সম্পূর্ণ ভাবে সুরক্ষিত রাখার জন্যও VPN এর ব্যবহার প্রচুর পরিমানে করা হয়।
আসলে, VPN এর ব্যবহারের ফলে, আপনি যেই জায়গার থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, সেই জায়গাটা লুকিয়ে দেয়া হয়। এবং, তার বদলে অন্য একটি দেশ বা location এর নেটওয়ার্ক দেখিয়ে দেয়া হয়।
এতে, online hacker রা আপনার network এর আসল লোকেশন (location) খুঁজে না পাওয়ার ফলে, আপনার নেটওয়ার্ক (network) হ্যাক করতে পারেনা।
তাই, মনে রাখবেন, আজকের এই ইন্টারনেটের দুনিয়াতে সুরক্ষিত থাকার জন্য ভিপিএন এর ব্যবহার করাটা অনেক জরুরি।
VPN এর লাভ ও সুবিধে কি কি ? (Benefits of using a VPN)
একটি ভিপিএন কেন ব্যবহার করবেন বা ভিপিএন ব্যবহার করে আপনার কি কি লাভ হবে, সেটা নিচে আমি আপনাদের এক এক করে বলে দিচ্ছি।
- যখন আমরা একটি VPN service এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করি, তখন আপনার সকল পার্সোনাল ডাটা (personal data) সুরক্ষিত রাখা হয়। এর ফলে, বিভিন্ন data বা information, হ্যাকার দেড় চোখ থেকে দূরে থাকে।
- VPN ব্যবহার কোরে, আমরা আমাদের অনলাইন পরিচয় লুকিয়ে রাখতে পারি। মানে, আপনি কোন জায়গা বা দেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, সেটা লুকানো সম্ভব। কিন্তু, যেই কোম্পানির ভিপিএন সার্ভিস ব্যবহার করছেন, তারা কিন্তু আপনার আসল IP address ও লোকেশন অবশই জানবেন।
- VPN ব্যবহার করে আমরা যেকোনো blocked website বা app নিজের মোবাইল ও কম্পিউটারে ব্যবহার করতে পারি। বেশিরভাগ লোকেরা, একটি ফ্রি ভিপিএন ব্যবহার কোরে বিভিন্ন blocked websites গুলিতে প্রবেশ করেন।
- আপনারা নিজের network এর IP address অনেক সহজেই বদলে, অন্য একটি country র IP address এ রূপান্তর করতে পারবেন।
- কিছু কিছু প্রিমিয়াম ভিপিএন (premium vpn) আপনার ইন্টারনেটের স্পিড বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু, আবার কিছু ফ্রি ভিপিএন আপনার ইন্টারনেট স্পিড কমিয়েও দিতে পারে।
তাহলে, যদি বলা হয়, “vpn এর লাভ কি কি“, তাহলে এগুলি কিছু সেরা লাভ রয়েছে ভিপিএন এর। তবে, আপনি যদি কিছু খারাপ উদ্দেশ্যে vpn ব্যবহার করার কথা ভাবছেন, তবে এই ভুল কখনোই করবেননা।
কারণ, police বা আইনের অধিকারীরা vpn company থেকে আপনার আসল IP address অনেক সহজেই বেড় করে নিতে পারবেন।
তাই, কেবল নিজের ইন্টারনেট কানেক্শনকে হ্যাকার (hacker) এবং ডাটা ও প্রাইভেসী চোর দেড় থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য vpn অবশই ব্যবহার করুন।
VPN এর ব্যবহার কি জরুরি ? কেন ব্যবহার করবো ?
যদি আপনি আপনার ঘরে যেকোনো secure এবং private নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, তাহলে vpn এর কোনো প্রয়োজন নেই।
মানে, যদি আপনি একটি password protected wifi hotspot থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, তাহলে, সেটা secure এবং তখন ভিপিএন এর কোনো প্রয়োজন নেই।
তাছাড়া, যদি আপনারা কোনো open এবং public wifi hotspot ব্যবহার করছেন যেমন, railway station, কোনো hotel এ বা flight বা train এ, তখন সেই open নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে যেকোনো hacker আপনার network বা system হ্যাক করতেই পারে।
তাই, মনে রাখবেন যে যেকোনো public এবং open নেটওয়ার্ক যেটা অচেনা অনেক ব্যক্তি একসাথেই ব্যবহার করছেন, সেই নেটওয়ার্ক কখনোই সুরক্ষিত না এবং তখন আপনার একটি VPN ব্যবহার করা উচিত।
এমনিতে, পারলে সবসময় একটি vpn ব্যবহার করে ইন্টারনেটে কানেক্ট হওয়াটা নিরাপদ (safe).
তাহলে, Vpn কেন এবং কখন ব্যবহার করবেন, সেটা হয়তো আপনারা বুঝে গেছেন।
ভিপিএন কিভাবে ব্যবহার করবেন ? কম্পিউটার ও মোবাইলে
ভিপিএন, যেকোনো কম্পিউটারে ও মোবাইলে ব্যবহার করাটা অনেক সহজ। আপনারা, যেভাবে বিভিন্ন apps বা software নিজের মোবাইল ও কম্পিউটারে ডাউনলোড এবং ইনস্টল কোরে ব্যবহার করেন, ঠিক সেভাবেই vpn app বা software ডাউনলোড করতে হবে।
VPN app বা vpn software ইনস্টল করার পর আপনি তার সার্ভিস enable বা on করতে হবে। এর পর, আপনার internet connection নিজে নিজে vpn এর সুরক্ষিত নেটওয়ার্কের দ্বারা কানেক্ট হয়ে যাবে।
যদি, আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা সমস্যা থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট করবেন। আমি আপনাদের সাহায্য করবো। তাছাড়া, যদি আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেননা।
**আরো পড়ুন**
ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হলে ?যেভাবে রিকভার করবেন
স্ক্রিনে তাকালে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুর মস্তিষ্ক