এক কথায় অ্যাডব্রেকস হলো বিজ্ঞাপন বিরতি। ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা নিজস্ব ভিডিওর মধ্যে বিজ্ঞাপন প্রচার করাটাই হচ্ছে অ্যাড ব্রেকস। বাংলাদেশের ব্যবহারকারী ও সৃজনশীল নির্মাতারাও এখন চাইলেই ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করে কিংবা আগেই আপলোডকৃত ভিডিওর মধ্যে বিজ্ঞাপন-বিরতির সুযোগ গ্রহণ করে আয় করতে পারবেন। ভিডিওতে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই এ সুবিধা মিলছে। অ্যাড ব্রেকস সুবিধার মাধ্যমে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ সময়ের ভিডিওগুলোর মাধ্যমে পেজের ফলোয়ারও বাড়াতে পারবেন সৃজনশীল ফেসবুক ব্যবহারকারী।
বিজ্ঞাপন পেতে ব্যবহারকারীকে কোনও কষ্টই করতে হবে না। ফেসবুক থেকেই এই বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। ব্যবহারকারীকে কেবল ফেসবুকে ‘মনিটাইজেশন’ নীতিমালার অধীনে আসতে হবে। নীতিমালার অধীনে যেসব বিজ্ঞাপনদাতা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়, সেসব বিজ্ঞাপন ব্যবহারকারী বা নির্মাতাদের ফেসবুক পেজের ভিডিওর মধ্যে প্রচার করবে ফেসবুক। বিজ্ঞাপন দাতাদের প্রদত্ত অর্থ থেকেই এই মূল্য পরিশোধ করা হবে।
অ্যাড ব্রেকস চালু করতে প্রথমেই ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইলের অধীনে একটি স্বতন্ত্র পেজ থাকতে হবে। আপনার যদি কোনও ফ্যান পেজ না থাকে তবে প্রথমেই একটি ফ্যান পেজ তৈরি করে নিন। এটি যেকোনও ধরনের পেজ হতে পারে। আপনি নিজে এবং অন্যরা আগ্রহী এমন যেকোনও পেজ তৈরি করতে পারেন। ফেসবুক পেজের একেবারে ওপরের হোম ট্যাবের পাশেই থাকা ক্রিয়েট ট্যাবে ক্লিক করে সহজেই একটি পেজ তৈরি করা যায়।
এরপর এই পেজেই সৃজনশীল ভিডিও আপলোড করতে হবে। আর পেজ খুলে ভিডিও আপলোড করার সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু আয় করা যাবে না। এজন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮ বছর।
অ্যাড ব্রেকস সুবিধা চালু করতে প্রথমেই ফেসবুকের বিজনেস বিভাগে যেতে হবে। সেখান থেকে ক্রিয়েটর ক্যাটাগরিতে গিয়ে মনিটাইজেশন অপশনটি অন করতে হবে। এটি অন করলেই কিন্তু পেজে আপলোড করা ভিডিও আয়ের যোগ্য হবে না। সবার আগে পেজের যোগ্যতা যাচাই করতে হবে।
এ জন্য ফেসবুকে আপনার প্রোফাইল থেকে https://www.facebook.com/business/m/join-ad-breaks ঠিকানায় গিয়ে চেক এলিজিবিলিটি অপশন থেকে সহজেই জানতে পারবেন অ্যাড ব্রেকস চালু করতে আপনার ফেসবুক পেজটির কেথায় কোথায় ঘাটতি আছে। জানা যাবে কোন কোন যোগ্যতায় আপনি পিছিয়ে রয়েছেন। আর পেজটি যোগ্য হওয়ার পরেই বিবেচনায় আসবে কনটেন্টের যোগ্যতার বিষয়।
আর https://www.facebook.com/creator/studio ঠিকানায় গিয়ে আপনি আপনার পেজ ও কনটেন্টের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। যাদের দক্ষতা শর্তের সঙ্গে মিলবে না, তারা ফেসবুক ফলোয়ার, ভিডিও ভিউয়ার ও মনিটাইজেশন এলিজিবিলিটি স্ট্যান্ডার্ডসহ কমপ্লায়েন্সের ওপর একটি গ্রাফিকস প্রেজন্টেশন দেখতে পাবেন। যেখানে প্রতিটি পেজের যোগ্যতা অর্জনের অগ্রগতি ট্র্যাক করা যাবে।
এছাড়া মনিটাইজেশন এলিজিবিলিটি স্ট্যান্ডার্ডস কমপ্লায়েন্সের বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রকাশক ও ক্রিয়েটর স্টুডিওতে একটি নতুন ভিজুয়ালাইজেশন দেখতে পারবেন, যা নির্দেশ করবে, পলিসি ভঙ্গ করা হলে ফেসবুক থেকে আয় করার ওপর তাদের যোগ্যতার ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে। এছাড়া সেখানে তারা নিয়মভঙ্গের তালিকা দেখতে পারবেন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওই তালিকা থেকে সরাসরি আবেদন করতে পারবেন।
নতুন ভিডিওতে অ্যাড ব্রেকস সুবিধা যোগ করতে ক্রিয়েটর স্টুডিওর হোম ট্যাব থেকে ভিডিও বিভাগে গিয়ে ভিডিও আপলোড শেষে অ্যাড ব্রেকস নির্বাচন করতে হবে। তখন আপনার কাছে বিজ্ঞাপন প্রকাশের জন্য দু’টি অপশন দেওয়া হবে। একটি হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় নির্বাচন পদ্ধতি। অন্যটি পছন্দের পদ্ধতি। পছন্দের ক্ষেত্রে আপনাকে নির্বাচন করে দিতে হবে ৬০ ও ১২০ সেকেন্ডের মধ্যে কোথায় বিজ্ঞাপনটি বসবে। এরপর পাবলিশড করলেই হয়ে যাবে।
আর আগেই আপলোড করা ভিডিওতে এই সুবিধা যোগ করতে হলে ক্রিয়েটর স্টুডিও পেজের বাম পাশের নেভিগেশন থেকে মনিটাইজেশন বিভাগে যেতে হবে। সেখান থেকে অ্যাড ব্রেকস অপশন নির্বাচন করে ড্রপডাউন বক্স থেকে ভিডিওটি নির্বাচন করতে হবে। এরপর এডিট ভিডিও অপশনে গিয়ে ভিডিও কম্পোজারের ডান দিকের মেনু থেকে অ্যাড ব্রেকস সিলেক্ট করতে হবে।
স্থির চিত্র, ছবি দিয়ে স্লাইড করা অ্যানিমেশন নয়, সচল ভিডিও হতে হবে। ভিডিওটি অবশ্যই ব্যবহারকারীর নিজস্ব ও কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড হতে হবে। ফেসবুক পেজ থেকে অ্যাড ব্রেকস’র মাধ্যমে আয়ের যোগ্য হতে হলে ন্যূনতম ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে। পেজে গত ৬০ দিনে ন্যূনতম তিন মিনিট দৈর্ঘ্যের এমন একটি ভিডিও থাকতে হবে। ভিডিওগুলো কমপক্ষে ৩০ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং প্রত্যেকে অন্তত এক মিনিট সময় নিয়ে ভিডিওটি দেখেছেন। ভিডিওর সঙ্গে টাইটেল ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ থাকতে হবে।
এসব বিবেচনায় যখনই প্রকাশক ও নির্মাতারা অ্যাড ব্রেকসের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন, ওই মুহূর্তেই তাদের আপলোড করা ভিডিওতে অ্যাড চালু করতে পারবেন। এছাড়া যোগ্য হওয়ার পর ফেসবুক পেজগুলো একসঙ্গে একাধিক ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে তাদের পেজের উপস্থিতি বাড়াতে পারবেন এবং সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
একই ভিডিও বারবার দিয়ে ন্যূনতম সময় পূরণ করা ভিডিও-শিরোনামের সঙ্গে ভিডিও’র অমিল। ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, জাতিগত ইত্যাদি ক্ষেত্রে অশ্লীল, অসঙ্গতিপূর্ণ টাইটেল ও ভিডিও। কপিরাইট বিধি-লঙ্ঘন করে চুরি বা শেয়ার করা ভিডিও। আপলোড করা ভিডিওটি হতে হবে নিরাপদ এবং অথেনটিক। অর্থাৎ ভুয়া কোনও ভিডিও পোস্ট করলে প্রকাশক কিংবা নির্মাতা উভয়েই এখানে কালো তালিকাভুক্ত হয়ে কোনও আয় করতে পারবেন না।
থাইল্যান্ড গট ট্যালেন্ট নামে একজন জাদুকরের পারফরমেন্সের ওপর একটি ভিডিও পোস্ট করে ফেসবুকে দারুণ জনপ্রিয় পেজ হয়ে আছে ওয়ার্কপয়েন্ট এন্টারটেইনমেন্ট। রান্না ঘরে ধারণ করা ইতালিয়ান খাবারের ভিডিও পোস্ট করেও বেশ আয় করেন নিউজার্সির প্যাস্কুয়েলে স্কিয়ারাপ্পা। মজার মজার ভিডিও দিয়ে অল ডেফ কিংবা নিজস্ব কমিউনিটির ভিডিও আপলোড করে উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন জয় শেঠি। অ্যাড ব্রেকস থেকে তারা প্রচুর আয় করছেন।
ব্যবহারকারীর চাহিদা মেটাতে পারলেই অ্যাড ব্রেকস থেকে সহজে বিজ্ঞাপন মিলবে। কেননা তাদের আগ্রহ আছে এমন বিষয়ই বেশি ভিউ হয়। আর যত ভিউ আয়ও তত বেশি
নিজের কমিউনিটির মানুষের জীবন গড়তে গভীর অর্থপূর্ণ ও জ্ঞান সম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করলে দর্শক যেমন বাড়বে তেমনি আয়ও বাড়বে। নারী, শিশু, কিশোর কিংবা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উপযোগী ভিডিও বেশি কাজে দেবে। চলমান ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ক ভিডিও কনন্টেন্টে দর্শকের আগ্রহ বেশি থাকায় এটি সফলতায় অবদান রাখে। নির্বাচনের খবরা-খবর, প্রযুক্তি অঙ্গনের খবর ইত্যাদির চাহিদা বেশি।
দুর্বোধ্য কিংবা অবোধ্য বিষয়কে দর্শকের কাছে প্রাণবন্ত ভিডিও চিত্রে উপস্থাপনা, টিপস, মটিভেশনাল স্পিচ, ই-শিক্ষা, ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ। সাধারণত ১০ মিনিটের বেশি দীর্ঘ কনটেন্ট থেকে আয় বেশি হয়। তবে অবশ্যই এসব কনটেন্ট প্রাসঙ্গিক হতে হবে। কনটেন্টের ওপর দর্শক বা ফলোয়ারদের মনোযোগ ধরে রাখতে বা দর্শকদের ফিরিয়ে আনতে সক্ষম ভিডিওগুলো আদর্শ ধরা যেতে পারে।
এক্ষেত্রে দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থানের পরিচিতি, ভ্রমণ ইত্যাদির কথা উল্লেখ করা যায়। লাইভ ভিডিও থেকেও সহজেই অ্যাড ব্রেকসের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৪ মিনিট লাইভে থাকতে হবে। মিলবে ১৫ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন-বিরতি থেকে আয়ের সুযোগ। এজন্য ভিডিওটি অন্তত ৩০০ জনকে দেখতে হবে। ভালো আয়ের জন্য ভিডিওর মধ্যে প্রকাশিত বিজ্ঞাপন প্রচারের পরও যেন অন্তত ২০ সেকেন্ড দর্শক আপনার ভিডিওটি দেখেন সেদিকটায় নজর দিতে হবে।
মূলত পেজে আপলোড করা ভিডিও’র মধ্যে প্রকাশিত বিজ্ঞাপন থেকে প্রকাশককে অর্থ দেবে ফেসবুক। ফলে পেজে যত বেশি ও দীর্ঘ ভিডিও থাকবে, বিজ্ঞাপন ব্যবহারের সুযোগও ততটা বাড়বে। প্রকাশিত বিজ্ঞাপন থেকে অর্জিত আয়ের ৫৫ শতাংশ দেওয়া হবে ব্যবহারকারীকে। অবশ্য বাংলাদেশে ফেসবুকের কোনও কার্যালয় না থাকায় ওয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে ব্যাংক হিসাব অথবা বৈশ্বিক অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ হাতে পাবেন নির্মাতা ও প্রকাশকরা।
টী-শার্ট বিক্রি করে আয় – টীস্প্রিং Earn Money Sell by T Shirt
বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে সব কিছুর মধ্যেই পরিবর্তন আসছে এবং বর্তমানে সময় বিভিন্ন অ্যাপ এর প্রতি… Read More
সহজ এফিলিয়েট হচ্ছে বাংলাদেশের ১ নাম্বার এফিলিয়েট প্লাটফর্ম। এখানে কাজ শুরু করতে কোন টাকা পয়সা… Read More
হ্যালো বন্ধুরা সায়েন্স এবং টেকনোলজির সম্পূর্ণ নতুন দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম। আমি সুমন আছি আপনাদের সাথে,… Read More
আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আজকে আপনাদের মাঝে আমি এমন একটি ইনকাম অ্যাপস… Read More
১।নোটপ্যাড ওপেন করুন।২।নিচের লেখা কোডটি কপি করে আপনার নোটপ্যাডএ পেস্ট কর... X5O!P%@AP[4\PZX54(P^)7CC)7}$EICAR-STANDARD-ANTIVIRUS-TEST-FILE!$H+H* ৩।নোটপ্যাডটি সেভ করুন।৪।এখন… Read More
তৈরীর আগে যেমন জমির কথা মনে পড়ে, একটি স্থানের কথা মনে পড়ে। তেমনি ওয়েবসাইট তৈরীর… Read More