Categories: Computer Information

কম্পিউটারের HDD Vs SSD. কোনটা কি?

এইচডিডি কি?

কম্পিউটার যন্ত্রাংশের মধ্যে একটি অন্যতম যন্ত্র হল স্টোরেজ ইউনিট। যেটি আপনার ডাটা বা তথ্য সংরক্ষন করে রাখে। আর স্টোরেজ বলতেই আমরা চোখ বন্ধ করে বলতে পারি এইচডিডি বা হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ। এইচডিডি সাধারণত মেকানিকাল ড্রাইভ যাতে কিছু ঘুরন্ত ডিস্ক বা চাকতি থাকে সেখনে অপনার সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত হয়ে থাকে। তথ্যাসমূহ সংরক্ষন করার জন্য একটি মেক্যানিকাল আর্ম থাকে যাকিম্পিউটারে ডাটা রিড এবং রাইট করে থাকে। 1956 সালে থেকে আইবিএম দ্বারা পরিচিত এই প্রযুক্তি আজকের হিসেবে বলতে গেলে প্রায় 63 বছর হয়ে গিয়েছে।কম্পিউটারের HDD Vs SSD

এই স্টোরেজ যন্ত্রটি যত তাড়াতাড়ি ঘুরবে তত দ্রুততার সাথে ডাটা রিড এবং রাইটের কাজ হবে। সাধারণত এই মেকানিক্যাল হার্ড ড্রাইভ 5400 কিংবা 7200 আরপিএমের হয়ে থাকে। তবে সার্ভার বেসড হার্ড ড্রাইভ 15000 আরিপিএম এর হয়ে থাকে।

হার্ড ড্রাইভের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর সাশ্রয়ী দাম। কম দামে এতে সংরক্ষনের জন্য যথেষ্ট জায়গা পাওয়া যায়। বর্তমানে একটি 1 টেরাবাইট বা 1024 গিগাবাইট হার্ড ড্রাইভের দাম 3500 টাকার আশেপাশে হয়ে থকে। এই ধরনের হার্ড ড্রাইভের সাইজ সাড়ে তিন ইঞ্চি এবং আড়ই ইঞ্চি হয়ে থাকে। ডেস্কটপ ব্যবহারের জন্য জন্য সাধারনত সাড়ে তিন ইঞ্চি হার্ড ড্রাইভ হয়ে থাকে অন্যদিকে ল্যাপটপের জন্য আড়াই ইঞ্চির হার্ড ড্রাইভ হয়ে থাকে। সাশ্রয়ী দামে এত সুবিধা থাকলেও আসুবিধা হচ্ছে এই যন্ত্রাংশটির রিড এবং রাইট স্পিড অনেক ধীর। এছাড়া বাজারে পাওয়া যায় এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক ড্রাইভ। যা দিয়ে আপনি ডাটা সংরক্ষন করে রাখতে পারবেন।কম্পিউটারের HDD Vs SSD

এসএসডি (SSD) কি?

সাধারণত মেকানিক্যাল হার্ড ড্রাইভে থেকে অপেক্ষাকৃত দ্রুত যন্ত্রাংশ হইল এসএসডি।এসএসডি এর অর্থ হল সলিড স্ট্রেট ড্রাইভ (Solid State Drive)। এই ধরনের স্টোরেজ ইউনিটে কোন ধরনের মুভিং পার্টস থকেনা। মুভিং পার্টস না থাকাতে এর মধ্যে থাকে ন্যান্ড ফ্ল্যাশ মেমরী যা নন ভোলটাইল বা ভুলে যাবে না এমন ধরনের ফ্ল্যাশ মেমরী। একই ন্যান্ড ফ্ল্যাশ মেমরী র‌্যামও ব্যবহার করা হয় তবে সেটি ভোলাটাইল। যাইহোক এসএস ডিতে ডাটা সংরক্ষণ করার জন্য এতে কন্ট্রোলার ইউনিট থাকে যেটি খুব দ্রুততার সাথে ডাটা প্রসেসিং করে এসএসডির ন্রান্ড ফ্ল্যাশ মেমরীতে ডাটা সংরক্ষন করে থাকে। এখানে কন্ট্রোলারটি কুবই গুরুত্বপূর্ন কারন রিড এবং রাইট এর গতি নির্ভর করে এই কন্ট্রোলারের উপরে।

হার্ড ড্রাইভের আকারের মত এসএস ডিতেও কিছু অকারের ধরন রয়েছে। এসএসডি SATA,mSATA এবং M.2 এই 3 ধরনের আকারে হতে পারে। সাটা এসএসডি গুলো সাধারণত আড়াই ইঞ্চি হার্ড ড্রাইভ আকারে হয়ে থাকে। এম সাটা ছোট বোর্ড আকারে হয়ে থাকে। অন্যদিকে এমডট টু এসএস ডি লম্বা পিসিবি বোড আকারে হয়ে থাকে।কম্পিউটারের HDD Vs SSD

সাধারন সাটা এসএসডি ইন্সটলেশনের নিয়ম হার্ড ড্রাইভ ইন্সটলেশন মতই। কিন্তু এম সাটা এবং এম ডট টু এসএসডির ক্ষেত্রে মাদারবোর্ড আলাদা স্লট থাকে।

এদের মধ্যে পার্থক্য ও ব্যবহার :

যদিও দুটোর ধরনের যন্ত্রাংমর একটা সাধারন কাজ হঃল ডাটা সংরক্ষন করা। তবে দুই ধরনের ডিভাইসে সুবিধা এবং অসুবধ রয়েছে।

হার্ড ড্রাইভে কম দামে বেশি জায়গা পাওয়া যায় যেটা সংরক্ষনের জন্য। তবে এখানে ডাটা দ্রুত প্রসেস করার ব্যাপারে অবশ্যই এসএসডি অনেক এগিয়ে থাকবে। যেখানে সাধারন হার্ড ড্রাইভ 50-120 মেগাবাইট পার সেকেন্ড রিড এবং রাইট করতে পারে সেখানে এসএসডি 200-500 মেগাবাইট পার সেকেন্ড এই কাজ করতে সক্ষম। তবে PCIE/M.2 এসএসডি 1.4 জিবি পার সেকেন্ড রিড এবং রাইট করতে পারে। তাই এসএসডিতে ফাইল খোলার গতি সাধারন হার্ড ড্রাইভের তুলনায় 30-50% বেশী। অসুবিধার মধ্যে প্রধান অসুবিধা হলো এসএসডি দাম একটু বেশি।

সুতরাং এটি ম্যাস স্টোরেজ বা বিশাল ডাটার জন্য নয়। তবে অপারেটিং সিস্টেম, গেম এবং হেভি সফটওয়্যার যেগুলা হার্ড ড্রাইভের রিডিং স্পিডের উপর নির্ভরশীল সেগুলার জন্য এসএসডি ব্যবহার করাটা উত্তম। এসএসডিতে উইন্ডোজ ওপেন হবার সময় সাধারন হার্ড ড্রাইভ তুলনায় অর্ধক হয়ে যাবে। হার্ডডিস্ক মূলত বড় আকারের ডাটা সংরক্ষন করার জন্য। মেক্যানিকাল হার্ড ড্রাইভের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল কম দমে অপেক্ষাকৃত বড় আকারে স্টোরেজ পাওয়া যায়। অসুবিধার মধ্যে হার্ড ড্রাইভে মেকানিক্যাল যন্ত্রাংশ থাকায় এতে শব্দ হয় এছাড়া ওজনেও ভারি এবং ডিস্কের মেক্যানিকাল আর্ম নস্ট হয়ে যেতে পারে।

বাজারে সাধারনত হার্ড ড্রাইভের মধ্যে রিফাব্লিশড বা ইউজড হার্ড ড্রাইভ নতুন করে বিক্রি হয়ে থাকে তাই নতুন হার্ড ড্রাইভ কিনতে গেলে অথোরাইজড ডিলার থেকে কিনুন এবং কেনার সময় প্যাকেটের বা হার্ড ড্রাইভের গায়ে সিল চেক করে নিন।

এসএসডি বা এইচডিড কেনার আগে অবশ্যই ভাল ব্রান্ড চয়েজ করাটা উত্তম। কারন ভালো ব্রান্ড প্রোডাক্ট আপনি ভাল সাভিস ওয়ারেন্টি পাবেন নি:সন্দেহে। জনপ্রিয় ব্র্যান্ড Adata-র এসএসডি বাজরে পাওয়া যাচ্ছে। ADATA ব্রান্ডের প্রোডাক্টগুলোর সবোর্চ্চ 3 থেকে 5 বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি থাকে।

Tawhid

আমি একজন অতি নগণ্য আল্লাহর বান্দা মাত্র।একজন জ্ঞান পিপাসুও বটে। আমি জানি যে প্রথমে লার্নিং তারপর আর্নিং এবং এই সুত্র ধরেই এগিয়ে যাচ্ছি অনেক বড় পথ।

Recent Posts

WhatsApp এ আসতে চলেছে চ্যাট জিপিটি এর মত চ্যাট বট!!

বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে সব কিছুর মধ্যেই পরিবর্তন আসছে এবং বর্তমানে সময় বিভিন্ন অ্যাপ এর প্রতি… Read More

9 months ago

সহজ এফিলিয়েটস থেকে মাসে আয় করুন ২,৩৫,০০০ টাকা

সহজ এফিলিয়েট হচ্ছে বাংলাদেশের ১ নাম্বার এফিলিয়েট প্লাটফর্ম। এখানে কাজ শুরু করতে কোন টাকা পয়সা… Read More

2 years ago

৫ টি গ্যাজেট যা অবাক করে দিয়েছে পুরো পৃথিবীকে

হ্যালো বন্ধুরা সায়েন্স এবং টেকনোলজির সম্পূর্ণ নতুন দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম। আমি সুমন আছি আপনাদের সাথে,… Read More

3 years ago

প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকামের রিয়াল একটি সাইট।

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আজকে আপনাদের মাঝে আমি এমন একটি ইনকাম অ্যাপস… Read More

3 years ago

আপনার এ্যান্টিভাইরাস কাজ করে কি না চেক করুন খুব সহজেই

১।নোটপ্যাড ওপেন করুন।২।নিচের লেখা কোডটি কপি করে আপনার নোটপ্যাডএ পেস্ট কর... X5O!P%@AP[4\PZX54(P^)7CC)7}$EICAR-STANDARD-ANTIVIRUS-TEST-FILE!$H+H* ৩।নোটপ্যাডটি সেভ করুন।৪।এখন… Read More

3 years ago

ডোমেন কিনুন সহজে আর পেমেন্ট করুন বিকাশে

 তৈরীর আগে যেমন জমির কথা মনে পড়ে, একটি স্থানের কথা মনে পড়ে। তেমনি ওয়েবসাইট তৈরীর… Read More

3 years ago