আজকে যারা প্রতিষ্ঠিত ইউটিউবার তাদের এত ভালো মানের ভিডিও তৈরী করতে পারার কারণ হলো, তারা এটি করতে ভালোবাসেন। নিজের আত্মতৃপ্তি এবং মানুষের ভালোবাসা লাভের জন্য তারা তাদের ভিডিওকে মনের মত করে সাজান। এর বিনিময়ে তারা কোন প্রতিদানের আশা করেন না, এটা বলা পুরোপুরি ভুল হবে। প্রতিটি ইউটিউব চ্যানেলই নিজের ভিডিও’র মাধ্যমে ইনকাম করতে চান।
Read More: ইউটিউব SEO কি?
আপনি চাইলেও একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতেই পারেন। তবে শর্ত হলো আপনার উদ্দেশ্য যেন শুধু টাকা উপার্জন করাই না হয়। নিজের সৃষ্টিশীলতাকে কাজে লাগিয়ে এমন ভিডিও তৈরী করুন, যা মানুষের কাছে ভালো লাগবে।
হতে পারে সেটা ফানি কোন ভিডিও বা কোন ভাল মুভির রিভিউ কিংবা প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন খবরা খবর। যাই আপনি তৈরী করেন না কেন, এটা আপনার দর্শকরা যেন সাদরে গ্রহণ করতে পারে, সেটি মাথায় রেখেই ইউটিউব ক্যারিয়ার শুরু করা উচিৎ।
1. ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়
কখনো কি আপনার মনে প্রশ্ন জেগেছে যে, ইউটিউব থেকে কেমন পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব? দ্যা ওয়াল ষ্ট্রিট জার্নাল এর দেওয়া তথ্য মতে পিউডিপাই (অতি জনপ্রিয় একটি ইউটিউব চ্যানেল) একাই ২০১৩ সালে ইউটিউব থেকে ৪ মিলিওনেরও বেশি টাকা আয় করে।
Read more: ইউটিউব ভিডিও দ্রুত (১০,০০০) ভিউ হবার কৌশল
এর পরের বছরই সুইডেন ভিত্তিক ম্যাগাজিন এক্সপ্রেসিন একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করে যে, এই চ্যানেলটি ২০১৪ সালে ৭.৫ মিলিওনেরও বেশি টাকা ইনকাম করে। গড় হিসেবে এই ইউটিউব চ্যানেলের মালিকের আয় বছরে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার।
ভাবতে পারেন! ১৫ মিলিওন যা বাংলাদেশী টাকায় ১ কোটি ৩৫ লাখ। এর এক শতাংশও যদি আপনি আপনার নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে পারেন, তাহলে তা আমাদের মত দেশের ইউটিউবারদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। পাশাপাশি বর্তমানে আমাদের দেশেও অনেক ইউটিউবারই এখন অনেক ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করে থাকেন।
আমি আপনাকে এটি বলতে পারবো না যে, আপনি রাতারাতি ইউটিউব তারকা বনে যাবেন। কিন্তু আপনি যদি সুচিন্তিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং সঠিকভাবে ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কাজ করেন, তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে পারবেন।
ধরে নিলাম, আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে এবং আপনি ইউটিউবের ভিডিও লাইসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন। এবার চলুন দেরী না করে জেনে নিই ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার সবচেয়ে সহজ ৩টি কৌশল:
2. ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে অংশ নিন:
ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য সবচেয়ে সহজ এবং সাধারণ উপায়টি হলো ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা। এ প্রক্রিয়াতে আপনি আপনার ভিডিওগুলিকে মনেটাইজ করবেন। এর ফলে আপনার ভিডিও শুরু হওয়ার আগে এবং কিছু সময় চলার পর সেখানে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে।
এছাড়াও ভিডিওর নিচের অংশেও বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, যাকে ব্যানার অ্যাড বলা হয়ে থাকে। আপনার দর্শকরা কতটা সময় ধরে বিজ্ঞাপন দেখছে এবং কতজন তাতে ক্লিক করছে এর উপর নির্ভর করে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে একজন ভিডিও ক্রিয়েটরকে অর্থ প্রদান করা হয়।
3. বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করুন:
আপনার যদি নিজস্ব কোন পণ্য থাকে, তাহলে আপনি ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে সেটি বিক্রয় করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এ ধরনের ভিডিও তৈরীর জন্য একটি ভালো মানের ক্যামেরা দিয়ে আপনার পণ্যটি এমনভাবে ভিডিও করুন, যেন দর্শক সেটা দেখেই তার সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা পায়।
তারপর ভিডিওর মধ্যে পণ্যটির বিভিন্ন দিকসমূহ সুন্দরভাবে বর্ণনা করুন। দর্শককে এটা বোঝান যে কেন এই পণ্যটি বাজারে উপস্থিত থাকা অন্যান্য পণ্যের চাইতে আলাদা। আর দর্শক যদি এটি ক্রয় করেন, তাহলে সে কি কি সুবিধা লাভ করবে। একই সাথে আপনি পণ্যটির পেমেন্ট কিভাবে নেবেন এবং কিভাবে গ্রাহক পর্যন্ত পৌছে দেবেন, সেটিও বর্ণনা করুন।
এ পদ্ধতিটিও কিছুটা আগের মতই। তবে এখানে ব্যতিক্রমটা হলো যে আপনাকে সরাসরি কোন পেমেন্ট গ্রহণ করতে হবে না বা পণ্য ডেলিভারী দিতে হবে না। আমার দেখা ইউটিউব চ্যানেলগুলির মধ্যে যারা অ্যাফিলিয়েটের সাথে সম্পৃক্ত, তাদের বেশিরভাগ চ্যানেলই রিভিউ ভিত্তিক হয়ে থাকে।
অর্থাৎ তারা বাজারে থাকা বিভিন্ন পণ্য কেমন, সেগুলির মধ্যে কি কি ফিচার রয়েছে এবং কেন আপনার সেটি ক্রয় করা উচিৎ, সে ব্যাপারে ভিডিওতে বিস্তারিত কথা বলে থাকেন। একই সাথে তারা পণ্যটি ক্রয়ের জন্য নিজের অ্যাফিলিয়েট লিংক ভিডিওর ডেসক্রিপশনের প্রদান করে থাকেন এবং দর্শকদের অনুরোধ করেন যে তারা এই পণ্যটি কিনতে আগ্রহী হলে যেন ডেসক্রিপশনে দেওয়া লিংক থেকেই কেনেন।
ফলে একজন দর্শক যখন উক্ত লিংক থেকে সম্পৃক্ত ওয়েবসাইটে যেয়ে পণ্য ক্রয় করেন, তখন ইউটিউবার ওই ওয়েবসাইট থেকে তার কমিশন পেয়ে যান। পাশাপাশি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের টাকা তো রয়েছেই।
উপরে দেখানো পদ্ধতিগুলো অনুসরন করলে অবশ্যই আপনি ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে শুরু করবেন। কিন্তু আপনি কতটা আয় করবেন তা নির্ভর করবে আপনার সৃজনশীলতার উপর।
যে কোন ভিডিও তৈরীর আগে আপনার চ্যানেলটি কোন বিষয়ে উপর তা নিয়ে ভাবুন এবং সম্পৃক্ত একটি ভিডিওর বিষয় নির্ধারণ করুন। তারপর আপনার দর্শক কারা এবং তারা কি দেখতে ভালোবাসে সেটি বিবেচনা করুন। ভিডিও তৈরীর পর সর্ব প্রথম নিজেই নিজের ভিডিওটি দেখুন এবং ভাবুন যে আপনি যদি এই ভিডিওটি তৈরী না করে যদি শুধুই দর্শক হতেন, তাহলে এটি আপনার কাছে ভালো লাগতো কিনা।
এছাড়া আপনার ভিডিও থেকে যেন মানুষ শিক্ষা, খবর বা বিনোদন লাভ করে সে বিষয়গুলি নিশ্চিত করে ভিডিও আপলোড করুন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করব?
বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে সব কিছুর মধ্যেই পরিবর্তন আসছে এবং বর্তমানে সময় বিভিন্ন অ্যাপ এর প্রতি… Read More
সহজ এফিলিয়েট হচ্ছে বাংলাদেশের ১ নাম্বার এফিলিয়েট প্লাটফর্ম। এখানে কাজ শুরু করতে কোন টাকা পয়সা… Read More
হ্যালো বন্ধুরা সায়েন্স এবং টেকনোলজির সম্পূর্ণ নতুন দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম। আমি সুমন আছি আপনাদের সাথে,… Read More
আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আজকে আপনাদের মাঝে আমি এমন একটি ইনকাম অ্যাপস… Read More
১।নোটপ্যাড ওপেন করুন।২।নিচের লেখা কোডটি কপি করে আপনার নোটপ্যাডএ পেস্ট কর... X5O!P%@AP[4\PZX54(P^)7CC)7}$EICAR-STANDARD-ANTIVIRUS-TEST-FILE!$H+H* ৩।নোটপ্যাডটি সেভ করুন।৪।এখন… Read More
তৈরীর আগে যেমন জমির কথা মনে পড়ে, একটি স্থানের কথা মনে পড়ে। তেমনি ওয়েবসাইট তৈরীর… Read More