বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে অধিকাংশই বিটকয়েন নামটির সাথে কম বেশি পরিচিত। তবুও একটু সংক্ষেপে জানিয়ে রাখি, বিটকয়েন বিশ্বের সর্বপ্রথম ওপেন-সোর্স ক্রিপ্টোকারেন্সি, যা লেনদেনের জন্য কোনো ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা নিকাশ ঘরের প্রয়োজন হয় না। এটি কোনো দেশের সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত মুদ্রা নয়। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে কোন এক ব্যক্তি এই মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন করেন। নানা জল্পনা-কল্পনা রয়েছে এই মুদ্রা ও এর প্রবর্তককে ঘিরে, যা এখনও উন্মোচিত হয়নি। আজ আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো বিটকয়েন সম্পর্কিত মজার কিছু তথ্য।
অনেকে মনে করেন যে বিটকয়েন কিনতে গেলে ১ বিটকয়েনই কিনতে হবে। তবে এটি সত্য নয়। ১ বিটকয়েনের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩৮৬০ ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় ৩ লক্ষ টাকারও বেশি। আপনি ১ এর কম (ভগ্নাংশ পরিমাণ) বিটকয়েন কিনতে পারবেন। যেমন ০.০১ বিটকয়েন, এমনকি ০.০০১ বিটকয়েনও! মূলত আপনি চাইলে ৮ দশমিক স্থান পর্যন্তও বিটকয়েন কিনতে পারবেন।
কেউ কেউ এটি মনে করেন যে, বিটকয়েনের দাম কখনোই কমেনা, বরং বাড়তেই থাকে। এটি একটি ভুল ধারণা। বিটকয়েনের বাজারদরের সাথে শেয়ার মার্কেটের তুলনা করা যেতে পারে। এটি যেকোনো সময়ই কমতে বা বাড়তে পারে।
বিটকয়েন সম্পর্কে প্রচলিত ভুল ধারণাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত এর লেনদেন ট্র্যাক করার ধারণাটি। বিটকয়েন
লেনদেনকে অনেকেই সবচেয়ে গোপন লেনদেন মনে করেন। তবে সত্যিটা হল, বিটকয়েন লেনদেনের ব্যাপারটা মূলত গোপনীয় নয়, বরং পাবলিক। প্রতিটি বিটকয়েনের লেনদেনই ব্লকচেইনে এন্ট্রি হয়ে যায়, যেসব তথ্য বুদ্ধিমান ব্যবহারকারীরা সময় দিলেই ট্রেস করতে পারেন। অতএব, এটি একটি ভুল ধারণা যে, বিটকয়েন লেনদেন ট্র্যাকিং সম্ভব নয়।
না। বিটকয়েন একমাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সি নয়। স্টেলার, ইথারিয়াম, লাইটকয়েন এইরকম অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে বিদ্যমান। তবে বিটকয়েনই সর্বোচ্চ জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি।
এখন বিটকয়েনের মূল উৎস হল মাইনিং, যা বিশেষ ধরণের কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়। তবে এই ধারণা সঠিক নয় যে, যেকোনো কম্পিউটারেই বিটকয়েন মাইনিং সম্ভব। যদিও বা সম্ভব হয়, তবুও তার লাভের হার সন্দেহজনক হবে। বিটকয়েন মাইনিংয়ে লাভের মুখ দেখতে হলে অনেক কম্পিউটিং পাওয়ার ও উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োজন।
ইন্টারনেটে আপনি অনেক ওয়েবসাইটে হয়ত এই তথ্য পেয়েছেন যে, বিটকয়েনের সরবরাহ সীমিত পরিমাণের। এই ধারণাটি সত্য। বিদ্যমান ব্যবস্থায় মোট ২১ মিলিয়ন বিটকয়েন মাইন করা সম্ভব হবে। তবে ভগ্নাংশের মাধ্যমে এর লেনদেনের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি করা যাবে।
বিটকয়েন কি আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব? অনেকেই হয়ত মনে করেন যে এটি গোপনীয় ছদ্মনামে থাকায় এটা হয়ত আইনের চোখ এড়াতে পারে, কিন্তু বিটকয়েন ব্যবহার আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মূলত অনেক দেশেই এই বিটকয়েনকে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক (বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক) বাংলাদেশে বিটকয়েন ও এরকম ক্রিপ্টোকারেন্সিকে “বৈধ নয়” বলে উল্লেখ করে এগুলো লেনদেন না করতে একটি সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এএফপি এবং টেলিগ্রাফের ২০১৪ সালের একটি রিপোর্ট বলছে বাংলাদেশে বিটকয়েন লেনদেন শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে এএফপি’কে জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে সব কিছুর মধ্যেই পরিবর্তন আসছে এবং বর্তমানে সময় বিভিন্ন অ্যাপ এর প্রতি… Read More
সহজ এফিলিয়েট হচ্ছে বাংলাদেশের ১ নাম্বার এফিলিয়েট প্লাটফর্ম। এখানে কাজ শুরু করতে কোন টাকা পয়সা… Read More
হ্যালো বন্ধুরা সায়েন্স এবং টেকনোলজির সম্পূর্ণ নতুন দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম। আমি সুমন আছি আপনাদের সাথে,… Read More
আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আজকে আপনাদের মাঝে আমি এমন একটি ইনকাম অ্যাপস… Read More
১।নোটপ্যাড ওপেন করুন।২।নিচের লেখা কোডটি কপি করে আপনার নোটপ্যাডএ পেস্ট কর... X5O!P%@AP[4\PZX54(P^)7CC)7}$EICAR-STANDARD-ANTIVIRUS-TEST-FILE!$H+H* ৩।নোটপ্যাডটি সেভ করুন।৪।এখন… Read More
তৈরীর আগে যেমন জমির কথা মনে পড়ে, একটি স্থানের কথা মনে পড়ে। তেমনি ওয়েবসাইট তৈরীর… Read More