আমরা যখন কম্পিউটারে কোন কাজ করি বা কোন কিছু স্টোর করি তখন আমরা গিগাবাইট বা গিগাহার্জ এ হিসাব করি। কিন্তু আসলে কম্পিউটারের ভিতরের সব হিসাব বিট হিসেব করে করা হয়। বিট হলো এক ধরনের বাইনারি সংখ্যা যেগুলো শূন্য এবং এক দিয়ে হিসাব করা হয়। সোজা কথায় যত বেশি বিট তত বেশি ইনফর্মেশন নিয়ে কাজ করা সম্ভব।
সাধারণত কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারগুলোতে সবসময় ডাটা আদান প্রদান হয় না। এগুলো খণ্ড খণ্ড আকারে আদান প্রদান হয়। এবং এগুলো একটি নির্দিষ্ট বিট সাইজে লিমিটেড থাকে। তেমনি কম্পিউটারের প্রসেসরেরও নির্দিষ্ট একটি লিমিট আছে এবং এই পরিমাণ ডাটা নিয়ে প্রসেসর একক সময়ে কাজ করতে পারে। এবং এই নির্দিষ্ট পরিমাণকে “Word size” বলা হয়। আপনাদের হয়ত বুঝতে একটু সমস্যা হতে পারে।
যাই হোক আমরা যখন ৬৪বিট প্রসেসর বলি তখন আমরা আসলে বুঝাই যে অই প্রসেসরটির “word size” ৬৪ বিট। অর্থাৎ ঐ প্রসেসরটি নির্দিষ্ট সময়ে ৬৪ বিট কাজ করতে পারে। জতটা সহজ মনে হচ্ছে আসলে ততোটা সহজ নয়। ব্যাপারগুলো একটু কঠিন।
কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার আর সফটওয়্যারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে অপারেটিং সিস্টেম। অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের প্রসেসরকে বলে দেয় কখন কি করতে হবে। কথা থেকে ফাইল অ্যাক্সেস নিতে হবে।
আমরা যখন নতুন উইন্ডোজ দিতে যাই বা অন্য যেকোনো অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করতে যাই তখন সবসময় অপারেটিং সিস্টেমের দুইটি ভার্সন দেখতে পাই। একটি x64 এবং অন্যটি x86। এখানে x64 দিয়ে আসলে ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম বুঝায়। আর x86 দিয়ে আসলে ৩২ বিট অপারেটিং সিস্টেম বুঝায়। কেউ ৮৬ দেখে আবার ৮৬বিট ভাইবেন না। তাই অপারেটিং সিস্টেম ডাউনলোড করার আগে দেখে নিবেন আপনার কম্পিউটারের প্রসেসর কত বিট এর।
কারণ আপনার কম্পিউটার যদি ৬৪ হয় তাহলে আপনাকে ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করতে হবে। কারণ তা না হলে আপনি ৬৪ বিট প্রসেসরের পুরো ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবেন না। তবে আমরা চাইলে ৬৪ বিট কম্পিউটারে ৩২ বিট অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করতে পারি। কিন্তু ৩২ বিট প্রসেসর ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্ট করে না। তাই ৩২ বিট কম্পিউটারে ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল দেয়া সম্ভব না।
৩২ বিট প্রসেসর থেকে অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যায় ৬৪ বিট প্রসেসরে। সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়া যায় র্যাম এবং প্রসেসিং পাওয়ার এর ক্ষেত্রে। এবার দেখা যাক ৬৪ বিট কম্পিউটারের সুবিধাগুলো।
৩২ বিট কম্পিউটারের চেয়ে ৬৪ বিট কম্পিউটারের গতি অনেক বেশি। কারণ ৩২ বিট থেকে ৬৪ বিট এর “word size” দ্বিগুণ। তাই এক সাথে অনেক বেশি কাজ করা সম্ভব। তাছাড়া ৬৪ কম্পিউটারে আপনি ৩২ কম্পিউটারের তুলনায় প্রায় ৪ বিলিয়ন গুন বেশি কম্বিনেশন তৈরি করতে পারবেন।
প্রসেসর যখন কোন বিষয় নিয়ে কাজ করে তখন তা র্যামে স্টোর করে। এবং ঐ ডাটা কই আছে তা পরে খুঁজে বের করার জন্য কম্পিউটার র্যাম এর যেখানে ডাটা রেখেছে তাকে একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা দিয়ে দেয়। এবং পরে সেই অনুযায়ী ডাটা খুঁজে বের করে। এবং এই ঠিকানা কতটি পর্যন্ত দেয়া যাবে তা নির্ভর করে র্যাম এর বিট সাইজ এর উপর। বিট যত বেশি হবে প্রসেসর তত বেশি ঠিকানা এসাইন করতে পারবে। তাই ৬৪ বিট প্রসেসর ৩২ বিট এর থেকে অনেক বেশি র্যাম নিয়ে কাজ করতে পারে।
৩২ বিট কম্পিউটারে ৪ গিগাবাইট র্যাম ব্যবহার করা গেলেও আসলে প্রসেসর এই র্যাম এর পুরো অংশ কাজে লাগাতে পারে না। এবং আপনি যদি ৩২ বিট কম্পিউটারে ৪ গিগাবাইট এর বেশি র্যাম লাগান সেটি কোন কাজে আসবে না। কারণ ৩২ বিট কম্পিউটার তা ব্যবহার করতে পারবে না।
তাই আপনার যদি ৪ গিগাবাইট এর বেশি র্যাম এর প্রয়োজন হয় তবে আপনার অবশ্যই ৬৪ বিট প্রসেসর ব্যবহার করতে হবে। কারণ এখনকার এ.এম.ডি প্রসেসরগুলো প্রায় ২৫৬ টেরাবাইট পর্যন্ত র্যাম ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু এই পরিমাণ র্যাম ব্যবহার করার মত প্রযুক্তি এখনো তৈরি হয়নি।
আসলে কিছু সুবিধা পেতে হলে কিছু সমস্যা থাকবেই। ৬৪ বিট কম্পিউটারের আসলে তেমন কোন সমস্যা নেই। তবে আপনি যদি ৬৪ কম্পিউটারে ২ গিগাবাইট এর কম র্যাম ব্যবহার করেন তাহলে আপনার কম্পিউটার স্লো থাকবে। এখনকার সব সফটওয়্যারেরই ৬৪ বিট ভার্সন আছে। তবে কিছু কিছু সফটওয়্যারে সমস্যা হতে পারে। আর সবচেয়ে বেশি ঝামেলা হতে পারে যদি আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার পুরানো হয়। কারণ ৩২ ড্রাইভার ৬৪ বিট কম্পিউটারে কাজ করে নাই। তাই এমন অবস্থায় পরলে আপনাকে হার্ডওয়্যার আপগ্রেড করতেই হবে।
বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে সব কিছুর মধ্যেই পরিবর্তন আসছে এবং বর্তমানে সময় বিভিন্ন অ্যাপ এর প্রতি… Read More
সহজ এফিলিয়েট হচ্ছে বাংলাদেশের ১ নাম্বার এফিলিয়েট প্লাটফর্ম। এখানে কাজ শুরু করতে কোন টাকা পয়সা… Read More
হ্যালো বন্ধুরা সায়েন্স এবং টেকনোলজির সম্পূর্ণ নতুন দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম। আমি সুমন আছি আপনাদের সাথে,… Read More
আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আজকে আপনাদের মাঝে আমি এমন একটি ইনকাম অ্যাপস… Read More
১।নোটপ্যাড ওপেন করুন।২।নিচের লেখা কোডটি কপি করে আপনার নোটপ্যাডএ পেস্ট কর... X5O!P%@AP[4\PZX54(P^)7CC)7}$EICAR-STANDARD-ANTIVIRUS-TEST-FILE!$H+H* ৩।নোটপ্যাডটি সেভ করুন।৪।এখন… Read More
তৈরীর আগে যেমন জমির কথা মনে পড়ে, একটি স্থানের কথা মনে পড়ে। তেমনি ওয়েবসাইট তৈরীর… Read More