আউটসোর্সিং কম্পিউটার নাকি ল্যাপটপ কোনটি Freelancing ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য বেস্ট।আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আমরা সবাই জানি যে Freelancing মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব না।হয়তো বা মোবাইল দিয়ে freelancing ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের কোনো কোনো সেক্টরে চেষ্টা করা যায়।
কিন্তু প্রফেশনালভাবে freelancing ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অবশ্যই একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের দরকার হবে।মোবাইল দিয়ে কিছু সাইটে বা এপ্পসে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন তবে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন না।
এখন ল্যাপটপ বা computer কম্পিউটারের কিনার কথা মনে পরলেই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে ল্যাপটপ নাকি কম্পিউটার কোনটি দিয়ে ভালোভাবে freelancing ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে?কোনটি ব্যবহার করলে আমরা কি কি সুবিধা পাবো?
আজকের পোষ্টে আমি ল্যাপটপ এবং কম্পিউটারের সকল সুযোগ সুবিধা এবং কোনটি কিনলে ভালো হবে তা নিয়ে আলোচনা করবো।তাহলে আগে জেনে নেওয়া যাক কম্পিউটার কিনলে কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন।
Freelancing ফ্রিল্যান্সিং এ সফল না হওয়ার 5 টি কারণসমূহ।
কম্পিউটারের সুযোগ সুবিধাঃ ১.ল্যাপটপ থেকে কম্পিউটারের কাজ অনেক দ্রুত হবে।
২.কম্পিউটারে আপনি অনেক বড় বড় সফটওয়্যার ইন্সটল করতে পারবেন।কন্তু ল্যাপটপে তা করতে হলে অনেক বেশি বাজেটের ল্যাপটপ দরকার হবে।
৩.ল্যাপটপের তুলনায় computer কম্পিউটার অনেক কমদামে ভালোমানের পেয়ে থাকবেন।
৪.computer কম্পিউটারে আপনি ভিডিও এডিটিং,গেমস,ডিজাইন সম্পর্কিিত কাজগুলো সহজেই করতে পারবেন।কিন্তু ল্যাপটপে এই কাজগুলো করলে ল্যাপটপ গরম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।এবং খুব অল্প সময়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এবার দেখে নেওয়া যাক ল্যাপটপে আপনি কি কি কাজের সুবিধাগুলো পাবেনঃ
Apps Development শুরুর আগে আপনার ৫ টি জিনিস জানা উচিত।
ল্যাপটপের সুযোগ সুবিধাঃ
১.যদি কারেন্ট চলে যায় তাহলে ল্যাপটপে কোনো সমস্যা হয় না।কারন ল্যাপটপ চার্জের মাধ্যমে চলে।অন্যদিকে কারেন্ট চলে যাওয়ার সাথে সাথে আপনার কম্পিউটারটি ও বন্ধ হয়ে যাবে।ফলে যতটুকু কাজ করেছেন তা আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।
২.আপনি যেকোনো জায়গায় গেলে ল্যাপটপ সাথে করে নিয়ে যেতে পারবেন।এবং সেখানেই কাজ করতে পারবেন।কিন্তু কম্পিউটার সাথে করে নিয়ে যেতে পারবেন না।যেখানেই কম্পিউটারটি সেট-আপ করেছেন ঠিক সেখানেই বসে কাজ করতে পারবেন।
৩.আপনি ল্যাপটপ দিয়ে কাজ করে অনেক স্বাচ্ছন্দবোধ করবেন।কিন্তু computer দিয়ে বেশিক্ষণ কাজ করলে আপনার বোরিং লাগবে।কারণ ল্যাপটপটি দিয়ে আপনি শুয়ে বসে যেভাবেই ইচ্ছে কাজ করতে পারবেন।
৪.ল্যাপটপের মধ্যে কাজ করতে হলে আপনার কোনো ঝামেলা লাগবে না।শুধো ল্যাপটপের সাথে মডেম লাগিয়েই কাজ করতে পারবেন।অন্যদিকে কম্পিউটারে আপনি তার,বিদ্যুৎ,জায়গা নিয়ে ঝামেলায় পরবেন।
ছাত্রজীবনে (Freelancing) ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার|
এখন আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া পালা যে আপনি কোনটি কিনবেন।আমি বলতে পারি যদি আপনি ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করেন তাহলে ল্যাপটপ চোখ বন্ধ করে কিনে নিতে পারেন।আর যদি আপনি ভিডিও এডিটিং বা গ্রাফিকস ডিজাইনের কাজ করেন তাহলে আপনি কম্পিউটার কিনতে পারেন।
তবে আপনার এলাকায় যদি বিদ্যুৎ এর সমস্যা হয় কারেন্ট বেশি থাকে না।তাহলে কম্পিউটার কিনতে যাবেন না।আশা করি আমি আপনাদের ল্যাপটপ এবং computer কম্পিউটার কিনার উপকারীতা এবং অপকারীতাগুলো বুঝাতে পেরেছি।ভালো থাকবেন সবাই,ধন্যবাদ।