আউটসোর্সিংএকজন ওয়েব designer ডিজাইনার হওয়ার টোটাল গাইডলাইন।
বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় পেশা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।কারণ একদিকে ফ্রিল্যান্সিং করে যেমন খুব ভালো টাকা ইনকাম করা যায়
অন্যদিকে সম্মাজনক কাজের তালিকাতে ও রয়েছে এই পেশা।এখন এই ফ্রিল্যান্সিং পেশাতে রয়েছে অনেক রকম সেক্টর।এবং প্রতি সেক্টরে রয়েছে বিপুল পরিমানে কাজ।
ফ্রিল্যান্সিং পেশায় সবথেকে চাহিদাসম্পন্ন কাজ হচ্ছে ওয়েব designer ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এবং রয়েছে গ্রাফিক্স designer ডিজাইন।যেকোন একটাতে মানুষ নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারে।অন্যান্য সেক্টরগুলোতে ও কাজের চাহিদা রয়েছে।আজ আমি ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকবো।তো চলুন শুরু করা যাকঃ
একজন ওয়েব designer ডিজাইনার যেই ৫ টি উপায়ে উর্পাজন করতে পারেন।
১.ওয়েব designer ডিজাইনের কাজ কি?
–বর্তমানে নিজের কোম্পানিকে ফুটিয়ে তোলার জন্য প্রয়োজন ওয়েব সাইট।আর এই ওয়েব সাইটের জন্য কোম্পানি বা ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে কাজ করিয়ে থাকে।এই ফ্রিল্যান্সাররা ঐ কোমকোম্পানিগুলোর হয়ে বা ক্লায়েন্টের কোনো ওয়েব সাইটে তৈরি করে দেওয়াটাই হচ্ছে এদের কাজ।
২.ওয়েব ডিজাইনারদের চাহিদা কেমন?
–মার্কেটপ্লেসে যদি আমরা লক্ষ্য করি তাহলে দেখবো সবথেকে বেশি চাহিদাসম্পন্ন ৫ টি কাজের মধ্যে একটি হচ্ছে ওয়েব designer ডিজাইন।কোনো কোনো মার্কেটপ্লেসে এর স্থান প্রথম ও দ্বিতীয়।তার পাশাপাশি রয়েছে একজন ওয়েব ডিজাইনারের প্রচুর সম্মান।
৩.ওয়েব ডিজাইন কিভাবে শিখা যায়?
–একজন প্রোফেশনাল ওয়েব designer ডিজাইনার হওয়ার জন্য আপনাকে কিছু প্রোগামিং ভাষা শিখতে হবে।যেমন;এইচটিএমএল ৫,সিএসএস ৩,পিএইচপি,জাভাস্ক্রিপ্ট,জেকোয়েরি,ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।এগুলো এখন আপনি কোনো ট্রেনিং সেন্টার থেকে শিখতে পারেন।বা ইউটিউব এবং গুগলেও শিখতে পারেন।
৪.ওয়েব ডিজাইনার কেন হবো?
–আমরা যদি দেখি একজন ওয়েব ডিজাইনারের ইনকাম অন্যান্য কাজের তুলনায় বেশি।যেমন;শুরুতেই একজন ওয়েব ডিজাইনার ঘন্টা ভিওিক ৮-১০ ডলার প্রযন্ত পেয়ে থাকে।অন্যদিকে গ্রাফিকস ডিজাইনার এর শুরুতে ৩-৬ ডলারের বেশি হয় না।তাছাড়া একজন ওয়েব ডিজাইনার প্রচুর পরিমানে কাজ পেয়ে থাকে।
৫.ওয়েব designer ডিজাইনে কাজ করতে ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ কোনটি লাগবে?
–ওয়েব designer ডিজাইনার এর কাজ যেহেতু বেশি গ্রাফিকস এর না তাই এটির জন্য কম্পিউটার না কিনলেও চলবে।আপনি যদি একটা ল্যাপটপ কিনতে পারেন তাহলে এটাতে ওয়েব ডিজাইন কাজ করা যাবে।
৬.ওয়েব ডিজাইনে কাজের প্রতিযপ্রতিযোগিতা কেমন?
–মজার ব্যাপার হলো অন্যান্য সেক্টরের কাজগুলোতে যেমন গ্রাফিকস ডিজাইনে একটি কাকের জন্য শতাধিক মানুষ বিট করে থাকেন তারপর ক্লায়েন্ট যাকে তাকে দিয়ে কাজটি করায়।অন্যদিকে ওয়েব ডিজাইনে তেমন কোনো প্রতিযোগিতায় নেই।আপনি যদি দক্ষ হতে পারে তাহলে আপনার আর কাজের অভাব হবে না।মাএ ৬ মাসের মধ্যেই আপনি কাজ পাবেন এটা গ্যারান্টেড।
৭.একজন ওয়েব ডিজাইনারের মাসে স্যালারি কত?
–একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনার বাংলাদেশের চাকরিগুলোতে ২৫০০০-৮০০০ টাকা প্রযন্ত মাসে পেয়ে থাকে।আর ইন্টারনেশনাল একজন ওয়েবডিজাইনরের বেতন মাসে ৪ লক্ষ থেকে শুরু হয়।তবে আপনাকে দক্ষ হতে হবে।
৮.কেন অনেক মানুষ এইখানে সফল হতে পারে না?
–এখানে যেহেতু কোডিং এর কাজ রয়েছে তাই অনেকেই ঠিক করে বুঝতে পারে না।আবার অনেকেই একদুইটা প্রোগামিং ভাষা শিখেই কাজের জন্য বিট করা শুরু করে।যার ফলে তারাও ভালো কাজ পায় না।আপনি যদি ধৈর্যো ধরে কাজ না শিখেন তাহলে সফল আপনি হতে পারবেন না।
৯.ওয়েব ডিজাইন সম্পুর্ন শিখতে কতদিন সময় লাগবে?
–আপনি যদি নিয়মিত ৪-৬ ঘন্টা সময় দিয়ে কাজ শিখেন তাহলে আপনি ৪-৬ মাসের মধ্যেই একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার হতে পারবেন।
১০.ওয়েব ডিজাইনে সফল কিভাবে হবো?
–ওয়েব ডিজাইনে সফল হওয়ার জন্য প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখতে হবে।নিজেকে ক্রমাগত দক্ষ করে তুলতে হবে।নিজের পার্সোনাল ওয়েব সাইটে কিছু কাজের নকশা দয়ে রাখতে হবে।আর অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।
আজীবন ফ্রিতে Website ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।
এই প্রশ্নগুলো একজন নতুন ওয়েব ডিজাইনার বা যারা ভবিষ্যতে ওয়েব ডিজাইন করতে চায় তাদের মধ্যে থাকে।এবং একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ওয়েব ডিজাইনের সেক্টরে যাওয়া নিসন্দেহে একটা ভালো সিদ্ধান্ত।উজ্জ্বল হোক তোমার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার,ধন্যবাদ।