মনিটর Monitor কেনার আগে যেনে নিন কিছু বিবেচ্য বিষয়? আমরা অনেকেই অনেক অর্থ ব্যায় করে ভালো একটি কম্পিউটার বানাতে চাই। কম্পিউটারের অন্যান্য সব কম্পোনেন্ট ভালো নিলেও মনিটর নেওয়ার সময় অনেকেই গুরুত্ব দেয় না।
ভালো গেমিং এর পাশাপাশি ভালো ভিডিও ভিউইং এক্সপেরিয়ান্সের জন্য ভালো একটি Monitor মনিটরের কোন বিকল্প নেই। তাই আজকে আমারা জানবো একটি ভালো মনিটর কিনতে হলে আপনাকে কি কি বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে।
C++ শিখুন- Easy way (পর্ব- 02)
মনিটর কেনার আগে বিবেচ্য বিষয় সমূহ
উইকিপিডিয়ার ভাষায় মনিটর হচ্ছে সেই ডিভাইস যার মাধ্যমে আপনার পিসি আপনাকে ফলাফল প্রদর্শন করে থাকে। যদি সঠিক Monitor মনিটর নির্বাচন না করেন তাহলে ফলাফলও সঠিক পাবেন না।
অনেকে ভাবতে পারেন এটা কিভাবে সম্ভব? সিপিইউ যে আউটপুট দেবে Monitor মনিটর ও সেটাই দেখাবে। তাহলে আলাদা আলাদা ফলাফল কিভাবে সম্ভব?
Laptop ব্যবহারের 7 টি সতর্কতা- Caution
ধরে নিন, আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার। এবার ভাবুন তো আপনি যদি ভুল Monitor মনিটর নির্বাচন করে ফেলেন তাহলে কি হতে পারে?
স্বাভাবিকভাবেই গ্রাফিক্স ডিজাইন করার সময় মনিটরে দেখবেন এক রকম কিন্তু প্রিন্ট আউটপুটে আসবে অন্যরকম। আর শুধু গ্রাফিক্স ডিজাইন নয়, ভুল Monitor কিনলে পিসিতে যে কোন ধরনের কাজেই আপনাদের কোন না কোন সমস্যায় পড়তেই হবে।
তাই চলুন দেরি না করে জেনে নিই Monitor কেনার সময় কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
কানেকশন টাইপ:
একটি মনিটর কেনার আগে এটিই হয়তো এমন একটা বিষয় যেটা নিয়ে আপনার মাথা ঘামাতেই হবে। আপনি যে মনিটরটি ক্রয় করতে যাচ্ছেন, সেটি আপনার সিপিইউ এর এর গ্রাফিক্স কানেকশন পোর্ট এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা অবশ্যই চেক করে নিবেন। যদি তা না হয়, তাহলে সিপিইউ এর সাথে মনিটরের সংযোগ দেওয়া এক প্রকারে প্রায় অসম্ভব।
ল্যাপটপ Laptop কেনার আগে ১৪ টি বিষয় জেনে নিন
তাই প্রথমেই লক্ষ্য করুন আপনার কম্পিউটারে কি ধরনের পোর্ট ব্যবহার করা হয়েছে। সাধারণত আমরা যে ভিজিএ পোর্ট দেখতে পেয়ে থাকি, তার বাইরেই ডিজটাল ভিজুয়াল ইন্টারফেস (ডিভিআই) এবং হাই ডেফিনেশন মাল্টিমিডিয়া ইন্টারফেস (এইচডিএমআই) পোর্টের মনিটরও বাজারে সহজলভ্য। এগুলির মধ্যে থেকে আপনার কম্পিউটারের জন্য উপযুক্ত মনিটরটি বেছে নিন।
এছাড়া আপনি যদি আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করতে চান, তাহলে অনলাইনে গ্রাফিক্স কার্ড বাইং গাইড থেকে সেটির সাথে কোন ধরনের মনিটরগুলি ভালো কাজ করে সেটিও জেনে নিতে পারেন।
সাইজ:
মনিটর কেনার সময় হয়তো সাইজটাই এমন একটা বিষয় যা নিয়ে আমরা একবার ভেবে দেখি। অবশ্যই এটি বিবেচনা করে দেখার মতই একটি বিষয়। অনেকেই বড় সাইজের Monitor পছন্দ করে থাকেন। তবে আমার মতে এটা নির্ভর করা উচিৎ আপনার কম্পিউটার সেটআপটি দিয়ে আপনি কি করতে চান, সেই উদ্দেশ্যের উপর। যেমন, গ্রাফিক্স সম্পর্কিত কাজের ক্ষেত্রে বড় মনিটরগুলি কোন সন্দেহ ছাড়াই কার্যকর।
সেরা কয়েকটি Antivirus এন্টিভাইরাস
মনিটর কেনার আগে একজন সাধারণ ক্রেতাকে দুই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে দেখা যায়। প্রথমটা হলো সে আগে থেকেই মনস্থির করে যে সে কত ইঞ্চি Monitor কিনবে এবং সেই অনুযায়ী বাজেট করে। আর দ্বিতীয়টা হলো তার পিসিটি ক্রয় করার যে বাজেট তার মধ্যে সমন্বয় করে মনিটর ক্রয় করেন। বড় মনিটরগুলির দামও বেশি. তবে ছোট মনিটর থেকে এতে কিছু অতিরিক্ত ফিচার থেকে থাকে।
এ্যাসপেক্ট রেশিও:
আপনার সাধের মনিটরটি আকারে কেমন হবে তা নির্ভর করে এ্যাসপেক্ট রেশিও এর উপর। এটি প্রকাশ করা হয় স্ক্রিন প্যানেলের প্রসস্ততা ও উচ্চতার সমন্বিতভাবে। আগের সময়ের যে-সব মনিটর তৈরী হতো, তার অধিকাংশেরই রেশিও হতো ৪:৩। কিন্তু আজকের দিনে বাজারে সবচেয়ে বেশি ১৬:৯ রেশিও মনিটর দেখা যায়।
উইন্ডোজ কিবোর্ড শর্টকাট যা প্রত্যেকের জানা দরকার
এই রেশিওর মনিটরগুলি গ্রাফিক্স, গেমিং বা ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির জন্য দারুন। এর সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হলো এই রেশিওতে এ ধরনের কাজগুলি ফুলস্ক্রীনে করা সম্ভব হয়। এছাড়াও, বাজারে ২১:৯ এর মত ওয়াইডস্ক্রীনের মনিটরও পাওয়া যায়। তবে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই বাড়তি টাকা গুনতে হবে।
রেজুলেশন:
অনেকে এই ব্যাপারটাকে সাইজের সাথে গুলিয়ে ফেলে। মনে রাখতে হবে যে, মনিটরের সাইজ এবং রেজুলেশন সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। ভালো রেজুলেশন সম্পন্ন মনিটরে ছবিও অনেক নিখুঁত দেখা যায়।
আধুনিক ডিসপ্লে ডিভাইসগুলি পিক্সেল এর সাহায্যে ইমেজ তৈরী করে। আর একটি মনিটরের মোট কত পিক্সেল প্রদর্শনের ক্ষমতা রয়েছে তা প্রকাশ পায় সেটির রেজুলেশন এর মাধ্যমে।
কালার ডিসপ্লে:
এটি নিয়ে অবশ্য খুব বেশি একটা চিন্তিত হবার মত কিছু নেই। কারণ, বর্তমান সময়ে বাজারে যে-সব মনিটর পাওয়া যায়, তার প্রায় সবই ১৬.৭ মিলিয়ন (২৪ বিট) কালার দেখাতে সক্ষম। তবে, যদি আপনার বাজেট কম থাকে, তাহলে অবশ্যই কেনার পূর্বে ডিভাইসটির স্পেসিফিকেশন ভালোভাবে পড়ে নিন।
এটা স্বীকার করতেই হবে যে ভালো মানের মনিটর ক্রয় করাটা একটু ব্যয়বহুল। স্বল্প বাজেটের মধ্যে খুব ভালো মানের মনিটর খুঁজে বের করাটা আসলেই কষ্টসাধ্য কাজ। এর জন্য মাঝে মাঝেই ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ঘাটাঘাটি করলে খুব সহজেই আপনি আপনার বাজেটের মধ্যে গুনগত মানসম্পন্ন একটি মডেল পেয়ে যাবেন।
কম্পিউটার কেনা কোন সময়েই সহজ কাজ ছিল না। নিজের জন্য সঠিক কনফিগারেশন এর কম্পিউটার তৈরী করতে হলে সময় নিয়ে গবেষণা করতে হয়।
ল্যাপটপ( laptop) কেনার সময় ১০টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
যদিও কম্পিউটার শপগুলিতে বিক্রয় প্রতিনিধির মাধ্যমে বা অনলাইনে বিভিন্ন প্রোডাক্ট গাইডের মাধ্যমে অনেক ডিভাইস সম্পর্কেই জানা সম্ভব। কিন্তু মনিটর কেনার আগে তা নিয়ে গবেষণার করার প্রবণতা বেশিরভার মানুষেরই নেই। তবে, আপনি যদি চান যে আপনার ক্রয়কৃত কম্পিটটারটি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা সুখকর হোক, তবে সিপিইউ এর পাশাপাশি মনিটর নিয়েও আলাদাভাবে ভাবতে হবে।
পিটিসি কোম্পানি বন্ধ হওয়ার কারণ। পিটিসি কি ?
আশা করি, পোষ্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। যদি কোন সমস্যা হয় কমেন্টে জানাবেন। পোষ্টটি আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই ধরণের আরো আর্টিকেল পেতে incometunes এ চোখ রাখুন।
উইন্ডোজ ১০-এর চমৎকার ১৫ টি ফিচার
Jowel Das Provas
পোস্টটি ভালো হয়েছে।
Mohammad
ধন্যবাদ