Freelancing ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে পাঠকদের জিজ্ঞাসা – ২য় পর্ব freelancing ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ইমেইলের মাধ্যমে প্রাপ্ত পাঠকদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসা নিয়ে “কম্পিউটার জগৎ” এর অক্টোবর ২০০৮ সংখ্যায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। লেখাটি এই লিংক থেকে পড়তে পারবেন। গত এক বছরে আপনাদের কাছ থেকে আরো অনেক ইমেইল পেয়েছি। তার মধ্য থেকে নির্বাচিত কয়েকটি ইমেইল নিয়ে এবারের প্রতিবেদন। আশা করি তা থেকে সবাই উপকৃত হবেন।

আমি একজন সিআইএস আর ছাত্র। আমি রেন্ট-এ-কোডার সাইটে একাউন্ট করেছি। কিন্তু পেঅনার মাষ্টার কার্ড পেতে চাই। এখন কি করতে হবে। বিস্তারিত জানালে খুশি হবো। আমার কার্ডটি আগেই দরকার। যদিও কার্ডটি একটিভ করবো পরে।
T-shirts টী-শার্ট বিক্রি করে আয় – টীস্প্রিং
জাকারিয়া: যারা পেওনার কার্ডটি সম্পর্কে অবগত নন, তাদের জন্য বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করছি। বিভিন্ন ধরনের freelancing ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে টাকা উত্তোলনের সহজ এবং ঝামেলামুক্ত পদ্ধতি হচ্ছে Payoneer সাইট কর্তৃক প্রদত্ত একটি ডেবিট মাস্টারকার্ড। এই পদ্ধতিতে মাস শেষে আপনি টাকা খুবই দ্রুত পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে ATM এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারেন।
এজন্য এককালীন খরচ পড়বে ২০ ডলার আর সাইটির মাসিক ব্যবস্থাপনা ফি ৩ ডলার। ATM থেকে প্রতিবার টাকা উত্তোলনের জন্য খরচ পড়বে ২.১৫ ডলার + উত্তোলনকৃত অর্থের ৩%। এই কার্ড দিয়ে টাকা উত্তোলনের পাশাপাশি অনলাইনে কেনাকাটাও করতে পারবেন। এমনকি এর মাধ্যমে বিদেশে অবস্থিত আপনার কোন আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধব তাদের মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড থেকে আপনাকে টাকা পাঠাতে পারবে।
পেওনার সাইট থেকে সরাসরি এই কার্ডের জন্য আবেদন করা যায় না। এটি পেতে হলে freelancing ফ্রিল্যান্সিং যে কোন একটি সাইট (রেন্ট-এ-কোডার, গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার বা ওডেস্ক)-এ আপনার একটি একাউন্ট থাকতে হবে। নিচে রেন্ট-এ-কোডার সাইট থেকে কিভাবে মাস্টারকার্ডটি পাওয়ার ধাপসমূহ পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা হল –
১) রেন্ট-এ-কোডারে লগইন করে ডান দিকের কলাম থেকে My Pay Options সিলেক্ট করুন। পরবর্তী পৃষ্ঠা থেকে Payoneer Prepaid Mastercard অপশনটি সিলেক্ট করে Next বাটনে ক্লিক করুন। এরপর দুটি অপশন দেখতে পাবেন, প্রথমটি (I have not yet registered …) সিলেক্ট করে Next বাটনে ক্লিক করুন।
২) আপনি এখন চলে আসবেন পেওনারের সাইটে, এখান থেকে Get Your Prepaid Mastercard Now! বাটনটি ক্লিক করুন।
৩) কার্ডটি অর্ডার করার জন্য তিনটি বাটন দেখতে পাবনে। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটি ক্লিক করুন এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ করুন।
৪) প্রথম ধাপে আপনার নাম, জন্ম তারিখ, ইমেইল, আপনার ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য দিন। ইমেইলের ক্ষেত্রে অবশ্যই রেন্ট-এ-কোডার সাইটে যে ইমেইল দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন সেটি দিতে হবে। আপনা ঠিকানা লেখার সময় বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন – , /) ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন না, কেবলমাত্র বর্ণ এবং সংখ্যা দিয়ে ঠিকানা লিখতে হবে।
৫) দ্বিতীয় ধাপে আপনার ইউজার নাম (এখানে আপনার ইমেইল ঠিকানাটি দিন), পাসওয়ার্ড ইত্যাদি দিন।
৬) তৃতীয় ধাপে আপনার পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য দিন।
৭) “I agree to the …” নামক তিনটি চেকবক্স সিলেক্ট করে Finish বাটনে ক্লিক করুন।
অর্ডারটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে আপনি একটি নিশ্চিতকরণ ইমেইল পাবেন। তারপর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আপনার ঠিকানায় একটি MasterCard পৌছে যাবে। কার্ডটি হাতে পাবার পর নির্দেশনা অনুযায়ী কার্ডটি সচল করতে হবে এবং যে কোন চারটি সংখ্যার একটি গোপন পিন নাম্বার দিতে হবে। পরবর্তীতে এই নাম্বারের মাধ্যমে যেকোন ATM থেকে (যেগুলো এই কার্ডটি সাপোর্ট করবে) টাকা সহজেই উত্তোলন করতে পারবেন।
কার্ডটি সফলভাবে সচল করার পর রেন্ট-এ-কোডার সাইটের My Pay Options > Payoneer Prepaid Mastercard অংশে এসে কার্ডটির পেয়েছেন কিনা তা জানাতে হবে। এরপর প্রতি মাস শেষে বা মাসের মাঝামাঝি সময়ে রেন্ট-এ-কোডার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্ডে টাকা লোড করবে।
আমি অনলাইন আউটসোর্সিং কাজের ব্যাপারে বেশ আগ্রহী। কিন্তু অনলাইন আউটসোর্সিং কাজ করার মত আমার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা বা ট্রেনিং কিছুই নেই। আর এজন্যই আমি প্রথমে আপনার সহযোগিতায় ডাটা এন্ট্রির মত কিছু কাজ করতে ইচ্ছুক।
জাকারিয়া: সত্যি কথা বলতে কি ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া খুব কঠিন। এক একটি প্রজেক্টে শত শত বিড করা হয়। তার মধ্য থেকে নতুনদের জন্য কাজ জেতা প্রায় অসম্ভব। তবে পূর্ব পরিচিত ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ পেতে পারেন। এধরনের কাজ করার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। যেমন, ডাটা এন্ট্রি কাজগুলো একঘেয়ে হয়ে থাকে, এতে নিজের মেধাকে কাজে লাগানোর কোন সুযোগ থাকে না, এধরনের কাজে পরিশ্রমের তুলনায় আয় অনেক কম। অন্যদিকে ওয়েবসাইট প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইটের টেম্পলেট তৈরি, 3d এনিমেশন, ফ্লাশের এনিমেশন ইত্যাদি কাজের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা – যা দিন দিন কেবল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাই এই মূহুর্তে অনলাইন freelancing ফ্রিল্যান্সিং এর কথা চিন্তা না করে আগে নিজেকে যথাযথভাবে তৈরি করে নিন এবং যেকোন একটি মাধ্যমে পুরোপুরি দক্ষ হয়ে নিন। শেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের বই, ভিডিও টিউটোরিয়াল সিডি এবং ইন্টারনেটে অসংখ্য টিউটোরিয়াল সাইট পাবেন, যা থেকে ঘরে বসে একা একাই শিখতে পারবেন।
শুরুতেই আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের প্রিয় কম্পিউটার জগৎ ম্যাগাজিনে freelancing ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে চমৎকার লেখার জন্য। আপনার সর্বশেষ লেখা ছিল ওয়েবসাইট ডিজাইনিং নিয়ে, যা ছিল অসাধারণ। আমি আপনার লেখা পড়ে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত। ম্যানেজমেন্ট এর ছাত্র হওয়া সত্বেও আইটি প্রোফেশনাল হতে আগ্রহী। আপনার লেখা আমাকে আশান্বিত করেছে।
আপনার লেখা পড়ে আমি ঘরে বসে HTML শেখা শুরু করেছি এবং লেখক “Jon Duckett” এর লেখা “Beginning web programming with HTML, XHTML and CSS” বইটি ৪০% পড়ে ফেলেছি। আমি চিন্তা করছি ঘরে বসে HTML, XHTML এবং CSS পড়া শেষ করে কোন নামকরা প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা করব। আমি PHP, Joomla ইত্যাদি বিষয়েও আগ্রহী। আমি কি অতিরিক্ত পরিকল্পনা করে ফেলেছি? অথবা এটা কি আমার দ্বারা সম্ভব হবে?
জাকারিয়া: জেনে খুব ভাল লাগল যে আপনি আমার লেখা পড়ে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এ অনুপ্রাণিত হয়েছেন। শিখতে থাকুন, আমার বিশ্বাস আপনি ভাল করতে পারবেন। সত্যি কথা বলতে কি, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং আপনি সম্পূর্ণ ঘরে বসেই শিখতে পারবেন, শুধু চাই ধৈর্য্য এবং একাগ্র চিত্তে অনুশীলন। PHP সম্পর্কে আমি বলব প্রোগ্রামিং এ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া ঘরে বসে ভালভাবে শেখা সম্ভব নয়। কোন একটি প্রোগ্রামিং এর শুধু নিয়মকানুন জানলেই চলে না, সাথে প্রয়োজন হয় যথাযথ অনুশীলন। আমার পরামর্শ হল, ওয়েবসাইট প্রোগ্রামিং অথবা ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর মধ্যে যে কোন একটিকে নির্বাচন করুন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ Freelancing/Outsourcing নিয়ে নিয়মিত লেখার কারণে। বেশ কিছুদিন ধরেই আপনার লেখা পড়ছি। আপনি সবাইকে উৎসাহিত করছেন freelance করার জন্য। খুবই ভাল একটা উদ্দ্যোগ। আমি নিজেও বেশ কিছুদিন ধরে freelancing করি। আমি তিনটা সাইটে অনেক গুলো কাজও করেছি। আপনি জানেন আমাদের দেশে এধরেন কাজ করার জন্য যে ধরনের কাঠামো থাকা দরকার তা আমাদের নেই। যেমন ভাল ইন্টারনেট স্পীড, দেশে টাকা আনার সুরক্ষিত এবং দ্রুত ব্যবস্থা, যার কোনটাই আমাদের নেই।
Paypal নেই, Moneybooker এ টাকা আনতে প্রায় ১৫-২০ দিন বা কোন সময় তারও বেশি লেগে যাই, যা শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের কালক্ষেপণের কারণে। আর অন্য যে ব্যবস্থা রয়েছে তা অনেক ব্যয়বহুল যেমন Payoneer Card। আপনার লেখাগুলো যেমন আমাদের আরও কাজ করতে উৎসাহিত করে, তেমনি আপনি যদি এই অসুবিধাগুলো নিয়ে লেখেন তাহলে সরকারেরও এই সেক্টরটা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করবে। আমার মনে হয় যারা এই লাইনে নতুন কাজ করতে আসছে তারা খুব আগ্রহ নিয়েই কাজ শুরু করবে কিন্তু একটা সময় আর কাজ করার আগ্রহ পাবে না, যখন তারা এই সমস্যাগুলোতে পড়বে। আশা করি আপনি এই সমস্যা তুলে ধরবেন সরকারের কাছে আপনার লেখার মাধ্যমে।
জাকারিয়া: আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনি ঠিকই বলেছেন, Paypal ছাড়া freelancing ফ্রিল্যান্সিং বেশ ঝামেলাপূর্ণ এবং ব্যায়বহুল। Paypal নিয়ে জুলাই ২০০৯ সংখ্যায় একটি প্রতিবেদন লিখেছি। তবে এই সমস্যার মধ্যেই কিন্তু অনেকে ভালই freelancing ফ্রিল্যান্সিং করছে। আমার কথাই ধরা যাক, আমি ২০০৬ সাল থেকে নিয়মিতভাবে অনলাইনে freelancing ফ্রিল্যান্সিং করছি। অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে আমার কাছে পছন্দের হচ্ছে যথাক্রমে – ১) Payonneers ২) Moneybookers ৩) Bank Transfer । আমি এই তিনটি পদ্ধতির সংমিশ্রণে অর্থ উত্তোলন করে থাকি।
freelancing ফ্রিল্যান্সিং এ আমি নতুন। সম্প্রতি আমার প্রথম কাজটি পেয়েছি। কিন্তু আমি একটি ভুল করে ফেলেছি, বায়ারের অনুরোধে আমার ইমেইল ঠিকানাটি সাইটের ম্যাসেজ সিস্টেমের মাধ্যমে তাকে জানিয়েছি। এরপর আমি জানতে পারলাম এই কারণে ওই সাইটটি আমার একাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি? আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আমরা দুই ভাই গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইটে একই IP এড্রেস থেকে দুটি একাউন্ট তৈরি করেছি। এটি কি ভবিষ্যতে কোন সমস্যা করতে পারে?
জাকারিয়া: ইমেইলের ক্ষেত্রে আপাতত কিছু করার প্রয়োজন নেই। ওই freelancing ফ্রিল্যান্সিং সাইটটি আপনার একাউন্ট বন্ধ করে দিলে তাদের সাথে যোগাযোগ করে বলুন যে, আপনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। আশা করি তারা আপনাকে একটি সুযোগ দিবে। দুটি একাউন্ট তৈরির ব্যাপারে বলব, অবশ্যই এটি সমস্যা করবে। গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার মনে করবে একজন ব্যবহারকারীই দুটি একাউন্ট তৈরি করেছে এবং দুটি একাউন্টকেই বন্ধ করে দিবে। আমার পরামর্শ হল, যে কোন একটি একাউন্ট ব্যবহার করুন অথবা দুটি ভিন্ন কম্পিউটার থেকে দুটি ভিন্ন ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে ব্যবহার করুন।
আমাকে কি পরামর্শ দিবেন যে কিভাবে ডাটা এন্ট্রি বিজনেস শুরু করতে পারি? ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্থ সাইট কোথায় পাব?
জাকারিয়া: ডাটা এন্ট্রি এর কাজগুলো সাধারণত ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস সাইটেই পাওয়া যায়। অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যাতে বলা হয় বিপুল পরিমাণে ডাটা এন্ট্রি এর কাজ পাওয়া যাবে। কিন্তু ওই সাইটে রেজিষ্ট্রশন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়। যেহেতু রেজিষ্ট্রেশন করার পূর্বে আপনি জানতে পারছেন না সত্যিই ওই সাইটে কাজ পাওয়া যায় কি না, তাই এই ধরনের সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করা থেকে বিরত থাকাই ভাল। বিনামূল্যে রেজিষ্ট্রেশন করে ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া যায় এরকম সাইট হচ্ছে – www.GetAFreelancer.com, www.oDesk.com, www.GetACoder.com, www.ScriptLance.com ইত্যাদি। এই সাইগুলোতে ডাটা এন্ট্রি কাজের আলাদা বিভাগ রয়েছে। সাইটগুলোতে কয়েকশত ডলার থেকে কয়েক হাজার ডলারের প্রজেক্ট রয়েছে। সাধারণত ‘প্রতি একহাজার ডাটা এন্ট্রির জন্য একটি নির্দিষ্ট ডলার’ এই ভিত্তিতে কাজ পাওয়া যায়। অনেকক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেয়া হয়।
আমি ইন্টারনেট থেকে আয় করতে চাই। আপনি কি আমাকে দয়া করে সাহায্য করতে পারেন? আমার একটি কম্পিউটার, আনলিমিটেড ইন্টারনেট কানেকশন এবং কম্পিউটারে সামান্য জ্ঞান রয়েছে। সাথে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড, কিন্তু ইন্টারনেট থেকে আয়ের কোন রাস্তা পাচ্ছি না। আমি গত ৩ বছর থেকে আয়ের উপযুক্ত একটি পদ্ধতি খোঁজ করছি, কিন্তু পাইনি। এই মূহুর্তে আমি PTC (ক্লিক করে আয়) এর মাধ্যমে চেষ্টা করছি, কিন্তু গত ৩ মাসে মাত্র ২ ডলার পেয়েছি এবং আরো ৫০ ডলার পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। আমাকে দয়া করে আয়ের যথাযথ একটি পদ্ধতি দেখান।
জাকারিয়া: এই ধরনের কাজ থেকে আয় অত্যন্ত সামান্য হয়ে থাকে। আমি আপনাকে পরামর্শ দিব, ফটোশপ বা ইল্যাস্ট্রেটর দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে নিন। শিখতে বেশি দিন লাগবে না। আর কাজ ভাল জানলে ইন্টারনেট থেকে আয়ের অভাব কখনও হবে না।
আমি কয়েকটি সাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছি যারা প্রতিদিন আমার ইমেইলে বিভিন্ন লিংক পাঠায়। প্রতিটি মেইল থেকে ওই লিংকগুলোতে ক্লিক করলে কিছু আয় হয়। সাইটগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে depacco.com, sunflowerpts.com, bodaq.com, rolax-mail.com ইত্যাদি। এসব সাইট থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য আমি Moneybookers এ একাউন্ট করেছি। সমস্যা হল bodaq.com এ আমার ৩ হাজার ডলার এর উপর ব্যালেন্স হয়েছে।
চাকরি না freelancing ফ্রিল্যান্সিং? কোনটি সম্মানের?
কিন্তু অর্থ উত্তোলন করতে গেলে সাইটটি বলে যে আমার একাউন্টে যথেষ্ঠ পরিমাণ অর্থ জমা হয় নি, অথবা প্রিমিয়াম ইউজার হলে অর্থগুলো উত্তোলন করা যাবে। প্রিমিয়াম ইউজার হতে হলে অনেক টাকা লাগে, প্রকৃতপক্ষে বিষয়টা সত্যি কি না তা বুঝতে পারছি না। freelancingএখন কিভাবে অথবা কত টাকা হলে আমার ব্যালেন্স থেকে টাকা তুলতে পারব তা জানালে খুব কৃতজ্ঞ থাকব। এমন কয়েকটা সাইটে আমার ভাল ব্যালেন্স হয়েছে।
জাকারিয়া: আমি অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, এধরনের প্রত্যেকটি সাইটই প্রতারণামূলক। ইমেইল দেখার জন্য অর্থ প্রদান সত্যি হাস্যকর। তারা আপনাকে কখনও এত বিশাল অর্থ প্রেরণ করবে না। তাদের মূল ব্যাবসা হচ্ছে বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রিমিয়ার ইউজার তৈরি করানো। freelancing গুগলে সার্চ দিয়ে এই সাইগুলোতে প্রতারণার শিকার অসংখ্য ইউজারের মন্তব্য জানতে পাবেন। তাই এই সাইটগুলোতে আর অযথা সময় নষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
আমি পেপাল নিয়ে আপনার লেখাটি পড়েছি। আমার একজন কাজিন কানাডা থাকে। যদি তার কোন পেপাল একাউন্ট থাকে তাহলে আমি কিভাবে তা ব্যবহার করে অর্থ উত্তোলন করতে পারব?
জাকারিয়া: প্রথমে আপনার কাজিনের সাথে যোগাযোগ করে তার অনুমতি নিয়ে নিন এবং সেই একাউন্টের ইমেইল ঠিকানাটি জেনে নিন। freelancingফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে তারপর সেই ইমেইলটি যোগ করে নিন। এরপর প্রতিবার অর্থ উত্তোলন করলে সেই পেপাল একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে। freelancing পরবর্তীতে আপনার কাজিন অন্য কোন পদ্ধতি (যেমন ওয়্যার ট্রান্সফার, ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়ন ইত্যাদি) ব্যবহার করে আপনাকে অর্থ পাঠাবে।
oDesk এর একজন buyer আমাকে invite করেছেন তার একটি প্রজেক্টে। তার gumtree.com এর মত একটি সাইট দরকার । কিন্তু দেখতে হতে হবে hmv.com এর মত। আমি php ও mysql মোটামটি পারি। javascript ও css শিখতেছি । সাইটটি তৈরি করতে আর কি কি লাগতে পারে ?
জাকারিয়া: আপনার যদি সম্পূর্ণ freelancing ওয়েবসাইট তৈরি করার পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে এই মূহুর্তে বড় কাজ না নেয়াই ভাল হবে। আগে কয়েকটি ওয়েবসাইট নিজে নিজে তৈরি করুন, তারপর বিড করুন। freelancing এই মূহুর্তে ছোট ছোট কাজের জন্য বিড করতে পারেন, বিশেষ করে কোন ওয়েবসাইটে নতুন ফিচার যোগ করা বা বাগ ঠিক করা এরকম কাজগুলো।
একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট তৈরি করতে যে সকল বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা হল –
- যে কোন ধরনের প্রোগ্রামিং করতে পারার ক্ষমতা, বিশেষ করে লজিকে দক্ষতা
- সঠিক নিয়মে ডাটাবেইজ ডিজাইন
- একটি ওয়েবসাইট পরিপূর্ণভাবে তৈরি করার অভিজ্ঞতা
- HTML, Javascript ও CSS এ ভাল দখল
- ফটোশপে দক্ষতা
- ডেডলাইনের মধ্যে কাজ শেষ করার ক্ষমতা
- ক্লায়েন্টের চাহিদা পরিপূর্ণভাবে বোঝা এবং তা যথাযথভাবে সম্পন্ন করা
লন্ডনে থেকে এসে দেশে গরুর খামার করে এক কোটি টাকা আয়।
বিঃদ্রঃ – এই লেখাটি “মাসিক কম্পিউটার জগৎ” ম্যাগাজিনের “অক্টোবর ২০০৯” সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে