ডিজিটাল ইমেজ মানেই ফটোশপ। আপনি ফটোশপে কাজ করেন অথচ আয় করার সুযোগ পাবেন না সেটা হয় না। নিজের মনের মত ডিজাইন তৈরী করুন এবং সেগুলি বিক্রি করুন ইন্টারনেটের মাধ্যমে। যত বেশি ক্রেতা কিনবে আপনি তত বেশি অর্থ পাবেন। ফ্রিলান্সার আপনার ডিজাইন বিক্রির সব ব্যবস্থা করে দেবে।
অবশ্যই আপনাকে দৃষ্টিনন্দন, কাজের উপযোগি এবং ডিজাইনের নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। এজন্য রয়েছে কিছু গাইডলাইন। সেগুলি জেনে নিন।
. ফটোশপে ডিজাইনের সময় ডিজাইনের গঠন ঠিক রাখুন। লেয়ার কিংবা গ্রুপগুলিকে এমনভাবে সাজান যেন সেগুলির নাম দেখে সহজে বোঝা যায় কোনটির কাজ কি। শুরুতেইHead, body এবং foot নামে তিনটি লেয়ার গ্রপ তৈরী করে নিতে পারেন, এরপর নির্দিষ্ট লেয়ারগুলিকে সেখানে রাখতে পারেন।
. ডিজাইনটি কোথায় ব্যবহারের জন্য তৈরী সেটা মাথায় রেখে ক্যানভাস সাইজ, কালার মোড শুরুতেই ঠিক করে নিন। ওয়েব, টিভি কিংবা কোন ধরনের স্ক্রিনে ব্যবহারের জন্য RGBএবং প্রিন্টের জন্য CMYK কালার মোড ব্যবহার করুন। একভাবে তৈরী করে অন্য মোডে কনভার্ট করবেন না।
ডিসপ্লের জন্য রেজ্যুলুশ ৭২ ডিপিআই রাখতে পারেন, প্রিন্টের জন্য ৩০০ ডিপিআই রাখুন।
ক্যানভাসের মাপ সঠিক রাখুন। ওয়েব পেজে ব্যবহারের জন্য সাধারন মাপ হচ্ছে পাশের দিকে ৯৬০ থেকে ৯৮০ পিক্সেল। উচ্চতা সেখানে কি থাকবে তারসাথে মানানসই।
প্রিন্টের জন্য ডিজাইন করলে এ৪ অথবা লেটার সাইজ ব্যবহার করুন।
. ডিজাইনের সৌন্দর্য পুরোপুরি অনুভুতির বিষয়। প্রতিটি ডিজাইন এলিমেন্টকে এমনভাবে তৈরী করুন যেন তারা বিশেষ অর্থ বহন করে। ওয়েব পেজের টেম্পলেট তৈরীর সময় বাটন, লিষ্ট, হেডিং, ট্যাব সবকিছু মানানসই রাখুন।
. যদি এইচটিএমএল কিংবা সিএসএস যথেস্ট না বোঝেন তাহলেও মাথায় রাখুন, এই ডিজাইন অনুসরন করে কেউ কোড লিখবে। এমনভাবে ডিজাইন তৈরী করুন যা কোড লিখে তৈরী করা যায়।
. ডিজাইন এমনভাবে তৈরী করুন যেন কিছু বিষয় সহজে পরিবর্তন করা যায়। যেমন কোন একটি রং বা অবস্থান। এদেরকে ভিন্নভিন্ন ভাবে সাজানো যেতে পারে এমন ব্যবস্থা রাখুন।
. ডিজাইনের ফন্ট, ইমেজ, টেক্সট ইত্যাদি যেন ঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় সেদিকে দৃষ্টি রাখুন। প্রয়োজনে একটি টেক্সট ফাইলে নির্দেশ লিখে দিন।
. আপনার নিজস্ব ফন্ট লাইসেন্স থাকলে সেটিও সাথে দিয়ে দিন। এতে ডিজাইনের দাম বাড়ে।
. অন্তত ৩টি কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা থেকে ডিজাইনের বক্তব্য বোঝা যায়। ফাইলগুলি জিপ করে নাম হিসেবে কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন।