আমরা সবাই কম বেশি ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে জানি যাকে বলা হয় ইন্টারনেটের অন্ধকার জগত। কিন্তু আপনি কি কখনো ডার্ক ওয়েব এর চাইতেও গভীর Mariana’s Web এর কথা শুনেছেন? না শুনলেও অসুবিধা নেই, ইনকাম টিউনসের মাধ্যমে জানতে পারবেন আপনার না জানা সব বিষয়গুলো। পড়তে থাকুন………
আমরা ইতিমধ্যেই সারফেস ওয়েব, ডীপ ওয়েব ও ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে জেনেছি । আমরা গুগলে সার্চ করে সামনে যা পাই তা হল সারফেস ওয়েব এবং সচরাচর আমাদের চোখে পড়া ওয়েবসাইটগুলো এর অংশ। ডীপ ওয়েব হল প্রতিটি ওয়েবসাইট এর ডাটাবেস, ডীপ ওয়েব আপনি তখনই ব্রাউজ করতে পারবেন যখন এর এক্সেস আপনার কাছে থাকবে, আর এটি গুগলে ইনডেক্স হয় না। ডার্ক ওয়েবও একই আপনি তখনই ব্রাউজ করতে পারবেন যখন এর এক্সেস আপনার কাছে থাকবে, আর এটিও গুগলে ইনডেক্স হয় না। আর এখানে সবরকম অবৈধ কার্যকলাপ হয়। এখানে যেকেউ খুনী ভাড়া করতে পারে, মাদক এর পাচার /কেনাবেচা করতে পারে। আরও হয় পর্নোগ্রাফী, মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিক্রি ইত্যাদি সব অবৈধ কার্যকলাপ।
এবার আসুন আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় Mariana’s Web এর দিকে আসি। প্রশান্ত মহাসাগরের সবচেয়ে গভীরতম (প্রায় ১১ কিঃমিঃ) এবং পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম স্থান হল মারিয়ানা ট্রেঞ্জ। এটি বিশ্বাস করা হয় যে Mariana’s Web ইন্টারনেট এর গভীরতম স্থান, তাই এর সাথে মিল রেখেই এই ওয়েবের নামকরন করা Mariana’s Web।
Dark Web সম্পর্কে 5 টি Amazing তথ্য যা আপনাকে ভয় দেখাবে
ধারনা করা হয় মারিয়ানা’স ওয়েবে পৃথিবীর সমস্ত রহস্যময় ও গোপন তথ্য জমা আছে। সমুদ্রের তলদেশে হারিয়ে যাওয়া মহাদেশ “অ্যাটলান্টিস” এর তথ্য আছে। অনেকে বিশ্বাস করে “ভ্যাটিকান সিক্রেট আর্কাইভের ডিজিটাল ভার্সন হচ্ছে মারিয়ানা’স ওয়েব। এছাড়াও নানান সিক্রেট সোসাইটির (ইলুমিনাটি,ফ্রিম্যাসন,বিল্ডারবার্গ) সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা আছে।তাছাড়া নানান দেশের সরকারের টপ সিক্রেট তথ্য জমা আছে। এমনকি মারিয়ানা’স ওয়েবে হিউম্যান এক্সপেরিমেন্ট করা হয় এবং তার তথ্য ও ফলাফল ডাটাবেসে জমা রাখা হয়। ভ্যাটিকান সিক্রেট আর্কাইভ Source: ancient-origins.net তো বুঝতেই পারছেন মারিয়ানা’স ওয়েব কতটা রহস্যময়।
এটা ঠিক যতটা রহস্যময় তারচেয়েও বেশী গোপনীয়। মারিয়ানা’স ওয়েবে প্রবেশ করতে হলে তার ঠিকানা তো লাগবেই সাথেসাথে লাগবে পাসওয়ার্ড। এছাড়া মারিয়ানা’স ওয়েব লেভেলে প্রবেশ করতে প্রয়োজন Polymeric Falcighol Derivation যার জন্য আপনার লাগবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটারও বলা যেতে পারে, এদের প্রোসেসিং স্পীড আমাদের সাধারন কম্পিউটার থেকে কয়েক হাজার গুণ বেশী হবে। মানা হয় মাত্র ৪টি কোয়ান্টাম কম্পিউটার দিয়ে সম্পূর্ণ আমেরিকার Computer Needs পূরন করা সম্ভব। যার বাস্তব কোন অস্তিত নেই, থাকলেও তা এখনো বিশ্ববাসীর কাছে অজানা (সুপার কম্পিউটার নিয়ে একটি পোস্ট লিখছি প্রকাশিত হলে দয়া করে পড়ে নিবেন তা থেকে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন)। তো মারিয়ানা’স ওয়েব কি কল্পনা নাকি সত্য তা আজও এক অমীমাংসিত রহস্য।
গুগল (Google) সার্চে আপনার সাইট আসছে না? জেনে নিন কারন ও সহজ সমাধানঃ (শেষ পর্ব)
এখন নিশ্চয় ধারনা করতে পাচ্ছেন মারিয়ানা’স ওয়েব কেমন এবং ভয়ংকর একটি জায়গা তা বলতে আর কোন সন্দেহ থাকে না। এখানে সাধারন কোন এথিক্যাল বা হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারের স্হান নেই। একজন সাধারন মানুষের মারিয়ানা’স ওয়েবে বেশি ঘাটাঘাটি বা ঢোকার চেষ্টা না করা বা এসবের ভেতর না যাওয়াই ভালো।
আর আসলে এখানে আপনার কাজের তেমন কোন কিছুও নেই। আর এসবই মূল কারন কেউ Mariana’s Web প্রকাশ এর জন্য কোন অভিযান করে না। গর্ভমেন্ট ও কোন পদক্ষেপ নেয়না। হয়তো তাদেরও অনেক গোপন তথ্য এখানে বিদ্যমান। বড় থেকে বড় হ্যাকারও এই মারিয়ানা’স ওয়েব নিয়ে কিছু করার আগে অনেকবার ভাববে। এটি ইন্টারনেটের এমন একটি জগত যেখানে বিনা ঠিকানা, বিনা পাসওয়ার্ড এ ঢোকা বলতে অসম্ভব এটি বিষয়। এর চাইতে রহস্যময় ও গোপনীয় ওয়েব আর নেই। আগেই বলেছি এটি এখন ইন্টারনেট এর এক অমীমাংসিত রহস্য যা এখনো উম্মচিত হয়নি।
তো বন্ধুরা কেমন লাগলো Mariana’s Web সম্পর্কিত এই পোস্ট কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। এই রকম আরও কিছু ইন্টারনেটের অমীমাংসিত রহস্য নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো ইনকাম টিউনসে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করে সাথে থাকুন, ও হ্যাঁ আপনি যদি এখনো রেজিস্ট্রেশান না করে থাকেন তাহলে এই লিঙ্কে ক্লিক করে হয়ে যান আমাদেরই একজন।
সবাইকে ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন > >
Jowel Das Provas
Visitor Rating: 5 Stars