একটি আদর্শ লিস্ট Article আর্টিকেল যেভাবে লিখবেন, অনলাইনে লেখালেখির জগতটা এখন পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় অধিক প্রসারিত। লেখালেখির হাত ভালো হলে অনলাইনে কাজের অভাব নেই। অনেকে চাকরির পাশাপাশি পার্টটাইম লেখালেখি করে আয় করছেন।
কিভাবে 1 টি Best Article বা blog post লিখবেন?
অনেকে আবার লেখালেখিকেই পূর্ণকালীন চাকরি হিসেবে নিয়ে এতেই গড়ছেন ক্যারিয়ার। ক্যারিয়ার গড়ুন আর পার্টটাইমই লিখুন, লেখার হাত ভালো হবার পাশাপাশি একজন কনটেন্ট লেখকের জানতে হবে পাঠক চাহিদাও।
Online Income এর বিভিন্ন উপায়
আর চাহিদার কথা বললে বর্তমানে পাঠকের চাহিদার তুঙ্গে রয়েছে লিস্ট Article আর্টিকেল বা লিস্টিকেল। নানান ধরনের চমকপ্রদ বিষয়ের তালিকা তৈরি করা এবং তালিকার প্রতিটি আইটেম সম্বন্ধে সংক্ষেপে বর্ণনা দিয়ে লেখা হয় লিস্টিকেল। এরকম একটি লেখা লেখা পড়ে সহজেই কোনো বিষয়ের সর্বোচ্চ, সর্বনিম্ন, শ্রেষ্ঠতম বা নিকৃষ্টতম, সবচেয়ে জনপ্রিয় কিংবা নিন্দিত, ইত্যাদি বিষয়ে সংক্ষিপ্ততম সময়ের মধ্যে জানতে পারা যায়। তাই পাঠকদের নিকট এরকম লিস্টিকেলের চাহিদা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
ঘরে বসে গান শুনুন আর রিভিউ লিখে আয় করুন!
পাঠক চাহিদা বাড়ায় অনলাইনে কন্টেন্ট লেখকরাও ইদানীং লিস্টিকেল লেখার প্রতি ঝুঁকছেন। তবে অনেক ভালো লেখকও একটি ভালো লিস্টিকেল লিখতে পারেন না। এক্ষেত্রে সমাধান হলো কিছু নির্দিষ্ট বিষয় মাথায় রাখা, যেগুলো আপনার লিস্টিকেলটিকে পাঠযোগ্য করে তুলবে।
লেখাটি লিস্ট ফরম্যাট হবে কিনা ভাবুন
লিস্ট Article আর্টিকেল লিখতে বসার পূর্বে ঠান্ডা মাথায় ভাবুন আপনার লেখাটি লিস্ট Article আর্টিকেল হবার উপযোগী কিনা। যেকোনো বিষয়েই লিস্ট Article আর্টিকেল লিখতে চাওয়া মানে গাধা পিটিয়ে ঘোড়া বানানোর প্রয়াস। কোনো বর্ণনামূলক কিংবা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণধর্মী লেখা তো কখনোই লিস্টিকেল হতে পারে না।
সহজেই বাড়িয়ে নিন Internet ইন্টারনেটের গতি
ধরুন আপনার লেখার বিষয় হলো ইরানের বিপ্লব কিংবা নেপালে ভ্রমণ সংক্রান্ত একটি ট্রাভেল ব্লগ। এরকম একটি লেখাকে আপনি লিস্ট আকারে যদি লিখেও ফেলেন, তাহলে সেটি মোটেই পাঠ উপযোগী হবে না। তাই লেখার পূর্বেই ভাবতে হবে আপনার বিষয়বস্তুতে তালিকা তৈরি করবার মতো কোনো দিক আছে কিনা। এই ধরুন উপরে বর্ণিত বিষয় দুটি থেকে “ইরানের বিপ্লবের অজানা ১০ দিক” কিংবা “নেপালের সবচেয়ে সুন্দর ৫টি স্থান”, এরকম কোনো তালিকা তৈরি করা যায়।
শিরোনামের সাথে লেখার সামঞ্জস্য রাখুন
ধরুন “সকালে দৌড়ের ১০টি উপযোগীতা” শিরোনামে একটি লেখা লিখছেন। তালিকায় উপকারিতার জায়গায় পয়েন্টগুলোকে আপনি উপদেশমূলক ভঙ্গিতে লিখতে শুরু করলেন। যেমন- ধীরে ধীরে দৌড়াবেন, দৌড়াতে দৌড়াতে পানি খাবেন না, ইত্যাদি। এরকম একটি পয়েন্ট দেখলেই পাঠক লেখাটি পড়া থেকে বিরত হয়ে অন্যত্র চলে যেতে পারে। কেননা, পাঠক আপনার লেখাটি পড়তে আসবে দৌড়ের উপকারিতা জানতে, কী করা যাবে বা যাবে না, তা জানতে নয়।
‘ক্লিকবেইট’ শিরোনাম পরিহার করুন
একটু চাকচিক্যপূর্ণ শিরোনাম, যেগুলো দেখলেই মানুষের মনে অত্যাধিক কৌতূহল সঞ্চার হবে, সেগুলোকে ক্লিকবেইট বলে অভিহিত করা হয়। আপনার লেখাটি যদি আসলেই কোনো অত্যাধিক কৌতূহলোদ্দীপক বিষয়ে হয়, তাহলে আকর্ষণীয় শিরোনাম দেয়া যেতে পারে। তবে লেখার কথা মাথায় না রেখে কেবল পাঠককে লিংকে ক্লিক করতে প্ররোচিত করার শিরোনাম পরিহার করতে হবে। “দেখুন কী করলো”, “দেখুন কী হলো” ধরনের শিরোনাম লেখা যাবে না।
ছোট কিন্তু শক্তিশালী শিরোনাম দিন
শিরোনাম অবশ্যই বেশি বড় করে ফেলা যাবে না। সক্ষিপ্ত শিরোনাম লিখুন, লেখার মূল বিষয়ের ইঙ্গিত দিন, কৌতূহলোদ্দীপক করুন। ক্লিকবেইট শিরোনাম লেখা যাবে না বলে একেবারে সাদামাটা শিরোনাম লিখতে হবে তা নয়। শিরোনামটি অবশ্যই কিছুটা কৌতূহলোদ্দীপক হলে ভালো হয় যা পাঠককে মূল লেখা পড়তে আগ্রহী করতে তুলতে সক্ষম হবে।
শিরোনামে অতিরঞ্জন বর্জন করুন
অনলাইন কনটেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো শিরোনাম। তাই শিরোনাম লেখায় একটু সতর্কতা তো আবশ্যক। বিশেষ করে শিরোনামে যেন অতিরঞ্জন না হয়, সেটি লক্ষ রাখা বাঞ্ছনীয়। “চমকে যাবেন”, “ভয় পাইয়ে দেবে”, ‘‘অবিশ্বাস্য কিছু রহস্য”, এ ধরনের শিরোনাম লেখার আগে ভাবুন আপনার শিরোনামের ভার আপনার লেখাটি বইতে সক্ষম কিনা।
শিরোনাম পড়ে অত্যধিক আগ্রহ ও প্রত্যাশা নিয়ে লেখা পড়তে শুরু করার পর যদি পাঠক হতাশ হন, তাহলে সম্ভাবনা রয়েছে সে ঐ পোর্টাল বা ব্লগটিতে দ্বিতীয়বার আর আসবেন না! এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় লেখা শেষ করে শিরোনাম লেখা। লেখার পর আপনি নিজেই অনুধাবন করতে পারবেন এর শিরোনাম কেমন হওয়া উচিৎ।
চোখ বুলিয়ে যাওয়া সম্ভব, এভাবে লিখুন
বর্তমানে ইন্টারনেটে অধিকাংশ মানুষই বড় লেখা পড়তে চান না, অধিকাংশেরই সময় একদম কম। তাই বলে কি বিশ্লেষণাত্মক বড় আকারের লেখা লিখবেন না? অবশ্যই লিখবেন। বিশ্লেষণধর্মী লেখারও পাঠক রয়েছে। তবে সংক্ষিপ্ত লেখার পাঠকই বেশি। সেক্ষেত্রে এমনভাবে লিখুন যেন সবাই সেটি পড়তে পারে।
মনে করুন আপনি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ১০ পর্বত নিয়ে লিখছেন। প্রতিটি পয়েন্টের শুরুর কয়েক লাইনের মধ্যেই পর্বতের উচ্চতা, ভৌগোলিক অবস্থান ও আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় তথ্যাদি লিখে ফেলুন। এতে করে যে পাঠক অল্প সময়ে প্রতিটি পর্বতের উচ্চতা জানতে চান, তিনি তা জানতে পারবেন, যিনি পর্বত সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে চান, তিনিও পুরোটা পড়ে তা জানতে পারবেন।
তাই প্রতিটি লেখাতেই মূল পয়েন্টের শুরুতেই ঐ পয়েন্ট সম্বন্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো লিখে ফেলুন, ঠিক সংবাদ লেখার সূচনার মতো করে।
লেখার চমকগুলো বুঝে শুনে ব্যবহার করুন
খাদ্যাভাসে ১০টি পরিবর্তন নিয়ে লেখায় বেশি বেশি পানি পান করার কথা কিংবা তেল-চর্বিযুক্ত খাবার কম খাওয়ার উপদেশ থাকাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত। এক্ষেত্রে চর্বিযুক্ত খাবার খাবার খেলেও তা সকালবেলা খেতে বলাটা হতে পারে একটি চমক। পাঠক প্রথমে বিশ্বাসই করবে না যে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ায় বাঁধা নেই, তাই সে পয়েন্টের ভেতরের বর্ণনাও পড়বে।
ফলে এরকম একটি চমক লেখার শুরুতেই দিয়ে দিলে পাঠক সে লেখাটি পুরোটা পড়ার আগ্রহ পাবে। অন্যথায় শুরুতেই লেখাটি পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতেও পারেন। একাধিক চমক থাকলে প্রথমে একটি বা দুটি চমক দিয়ে শেষের জন্য বাকিগুলো রেখে দিন।