freelancing ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে আয় শুরু করার জন্য গাইড লাইন।freelancing ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কেন করব।
freelancing ফ্রীল্যান্সিং কেন করবেন, তার উত্তর পাবেন আমার আগের লেখা দুটি টিউনে। আমি এখানে লিঙ্ক দিয়েছি, আপনি যদি আগে পড়ে না থাকেন প্লিজ আগে পড়ে তার পর নিচের লেখা গুলো পড়বেন।
পূরন হওয়া স্বপ্ন গুলো – ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং
ফ্রীল্যান্সিং নিয়ে দুই একটি প্রশ্ন এবং তার উত্তর
এবার লিখব freelancing ফ্রীল্যান্সিং সাইট গুলোতে কি কি কাজ করা যায় তা নিয়ে।
একদম সহজ থেকে শুরু করি, আপনি যা জানেন তা দিয়েই কাজ শুরু করতে পারবেন। নিচে ওডেস্কে কি কি জব পাওয়া যায় তার একটা স্কিনসর্ট। ছবির উপর ক্লিক করলে বড় করে দেখা যাবে।
এখানে ইল্যান্সে কি কি জব পাওয়া যায় তার একটা স্কিনসর্টঃ
এগুলো দেখে একটা ধারনা নেওয়া যাবে অনলাইনে কি কি কাজ পাওয়া যায়, কি ধরনের কাজ পাওয়া যায়। আপনি যদি উপরের যে কোন একটি কাজও পারেন, তাহলে আপনি অনলাইনে কাজ করতে পারবেন। যদিও এ গুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের কাজ অনলাইনে রয়েছে। আপনাকে তা খুজে নিতে হবে।
আপনি যদি এ কাজ গুলোর একটিও ভালো মত না পারেন, তাহলে আপনার কাছে যে কাজটা ভালো লাগে এমন একটা কাজ শিখে নিতে পারেন। তারপর আপনি কাজ শুরু করতে পারেন। কাজ শিখে নিতে বেশি সময় লাগবে না। ভয় ফেলে বা শুরু না করলে কিভাবে শিখবেন? আজকের দিনটি আপনার প্রিয় বিষয়টি শেখা শুরু করার জন্য কি একটি ভালো দিন নয়?
আমি কোন কাজ পারি না, আমি কিভাবে freelancing ফ্রীল্যান্সিং করব?
কোন কাজ না জানলে শিখে নিন। যে কোন কিছুই শিখতে পারেন। বা উপরের স্কিনশর্ট থেকে দেখে যে সব বিষয় ভালো লাগে, সে গুলো নিয়ে পড়ালেখা করতে পারেন। এ লেখাটি দেখতে পারেনঃ
একটা কথা কি, মানুষ যা নিয়ে ঘটাঘাটি করে সে দিকেই এক্সপার্ট হয়। কেউ প্রথম দিন ই সফল হয় না। আপনি যদি আজ থেকেই freelancing ফ্রীল্যান্সিং শুরু করেন তাহলে আজই না হোক কাল বা এক মাস পর অথবা এক বছর পর এক জন সফল ফ্রীল্যান্সার হতে পারবেন। আর আপনি যদি ফ্রীল্যান্সিং করতে গিয়ে ধোঁকা খান তাহলে আগামি কাল আপনি ঐসব দিক এড়িয়ে ভালো দিকে যেতে পারবেন। আপনি যদি প্রথা গত চাকরি করতে না চান, তাহলে আজ থেকেই freelancing ফ্রীল্যান্সিং সম্পর্কে জানা শুরু করুন।
এখানে কাজের অভাব নেই। বিষয়ের ও অভাব নেই। আপনি সহযেই আপনার পছন্দের বিষয় নির্বাচন করে সামনে এগুতে পারবেন। অথবা একটা বিষয় নির্বাচন করলেন। তার পর দেখলেন আপনার ভালো লাগে না, আপনি সহজেই অন্য বিষয়ে পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে একটা বিষয় কে নির্বাচিত করে সামনে এগুনো ভালো। একটা বিষয় নিয়ে যে যত ঘাটবে সে তত ঐ বিষয় নিয়ে দক্ষ হতে পারবে।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, আপনি যদি গ্রাফিক্সের কাজ যেনে থাকেন তাহলে চেষ্টা করবেন সব সময় গ্রাফিক্সের কাজ করার জন্য। দক্ষ মানুষের স্থান সব সময়েই উপরের দিকে, এবার তা যে বিষয়েই হোক না কেন। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক জন ফ্রীল্যান্সারকে এক সাথে অনেক কিছুর কাজ করতে হয়। সাজতে হয় ওয়ান ম্যান আর্মি। যাই করুন না কেন, আপনার লক্ষ্য কিন্তু স্থির রাখতে হবে।
freelancing ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট কমপ্লিট করে দেওয়া নিয়ে FAQ টাইপ একটি লেখা
আমার কি কি শিখা উচিত?
আগে যে কোন একটা বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। এরপর? এরপর অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলতে একটু সময় দিতে হবে। ঘাটাঘাটি করতে হবে। যারা অনেক দিন থেকে কাজ করে, তাদের প্রোফাইল দেখতে হবে। তাদের প্রোফাইল দেকে তাদের প্রোফাইলের মত নিজের প্রোফাইল সাজাতে হবে। এবং ইংরেজীতে একটু দক্ষ হতে হবে। freelancing এমন না যে ফ্লুয়েন্টলি আপনাকে কথা বলতে হবে বা লিখতে হবে। অন্তত একটি জব টিউন পড়ে কি কি করতে বলছে, কি কি করতে হবে এবং ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলার মত ইংরেজী জ্ঞান থাকতে হবে।
আমি কোন সাইটে কাজ করা শুরু করব?
আপনি যদি কিছু কাজ জানেন, তাহলে নিচের যেকোন একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলে কাজ করার জন্য বিড করতে থাকুন। যে কাজটি পারবেন বলে মনে হয় তাতে বিড করুন। freelancingক্লায়েন্টকে সুন্দর একটা মেসেজ দিন। কাজ পেতে বেশি সময় লাগবে না। আমি এখানে কিছু মার্কেটপ্লেসের লিঙ্ক দিচ্ছি। এর বাহিরে আরো অনেক গুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে।
আমি মোটামুটি কাজ পারি, কিন্তু কি করব বুঝতে পারছি না।।
কাজের জন্য বিড করুন, নিয়মিত করবেন। একটা না একটা এপলিকেশনের রিপ্লাই পাবেনই। তখন স্মার্ট হয়ে কথা বলার চেষ্টা করবেন। যদি দেখেন আপনি স্মার্ট ভাবে কথা বললেও কাজে পেতে সমস্যা, তাহলে আপনার কথার মধ্যে বিনয়ী ভাব আছে কিনা তা দেখবেন।যে কাজ আপনি ১০০% পারবেন বলে মনে করেন তা কম টাকায় করে দেওয়ার অফার করবেন। প্রথম প্রথম দুই একটা কাজের জন্য যত ইচ্ছে খাটুন।
দেখবেন কোনএকদিন আপনার এ খাটার কষ্ট উঠে আসবে। একটা প্রবাদঃ “Wounded Mind most powerful then normal”স্টিব জবসের “Stay Hungry, Stay foolish” এটা মনের মধ্যে গেথে ফেলুন। ক্ষুধা কিন্তু দুই ধরনের হয়, পেটের ক্ষুধা আর মনের ক্ষুধা। আপনার মনের ক্ষুধাকি জ্ঞানের? জ্ঞানের ক্ষুধা ছাড়া অন্য গুলো কিন্তু কাজে দিবে না। শেখার চেষ্টা করুন। আপনার জীবনের কষ্ট গুলো থেকেও।
কভার লেটার লেখার নিয়ম
আপনি যদি নিয়মিত বিড করে থাকেন, তারপর ও কোন কাজ না পান তাহলে আপনার কভার লেটার টা একটু অন্যরকম ভাবে লেখার চেষ্টা করুন। ক্লায়নেটের জাগায় আপনাকে চিন্তা করুন। কিভাবে একজন এপ্লাই করলে আপনি তাকে হারায় করতেন। আশাকরি কাজ হবে। প্রথম প্রথম প্রয়োজনে দুই তিনটা মার্কেটপ্লেসে এক সাথে কাজের জন্য এপ্লাই করুন।
সবাই চায় অভিজ্ঞতা।কভার লেখার নিয়ম বলতে আসলে কিছু না। বিশাল একটা মেসেজের থেকে সিম্পল, সরাসরি কাজের কথা দিয়ে কভার লেটার লিখলে সহজেই ক্লায়েন্টের আকর্ষন পাওয়া যায়। জব টিউনটি পড়বেন, এরপর ক্লায়েন্ট কি কোন প্রশ্ন করেছে কিনা, সে গুলো কভারলেটারে উল্ল্যেখ করবেন। আপনার কোন প্রশ্ন আছে কিনা, সে প্রশ্ন করবেন। আপনি কিভাবে কাজটি সম্পুর্ণ করবেন তা লিখবেন।
কেন আপনি জবটি কমপ্লিট করতে পারবেন, তা লিখবেন। এভাবেই পারফেক্ট কভার লেটার লিখে ফেলতে পারবেন।। অন্য কাউকে ফলো না করে নিজের মনের থেকে যেটা লিখতে ইচ্ছে করবে তাই লিখবেন কভার লেটারে।কাজ না করলে অভিজ্ঞতা কিভাবে হবে তাই না? যদি প্রথমে কেউই কাজ দিতে না চায়, তাহলে ফ্রী কাজ করার চেষ্টা করুন। নিচের লেখাটা দয়া করে পড়ুন।
টাকা কিভাবে পাবো?
আশা করি আপনি কাজ পাবেন। যদি কাজ না পান, তাহলে হতাশ হবে না। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন নিয়মিত। কাজ পান নাই বলে বসে থাকার কোন মানে হয় না। আর কাজ পেলে কাজ কমপ্লিট করার পর আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে। সেখান থেকে আপনি ব্যাঙ্কে ট্রন্সফার করতে পারবেন।
ওডেস্ক, ইল্যান্স ইত্যাদি ব্যাঙ্ক সাফোর্ট করে। অন্যান্য মার্কেটপ্লেস থেকে আপনি মানিবুকার্স বা এমন কোন সিস্টেমে টাকা আনতে পারবেন। টাকা রুজি করলে দেখবে হাতে আসার অনেক গুলো পথ পেয়ে যাবেন। কিভাবে টাকা হাতে পাবেন, সে চিন্তা আপাতত না করলেও হবে। সবার আগে কিভাবে একটি জব কমপ্লিট করতে পারবেন, তা নিয়ে কাজ করতে থাকুন
কাজ কমপ্লিট করার পর টাকা ক্লায়েন্ট রিলিজ দেওয়ার পর আপনার মার্কেটপ্লেসের একাউণ্টে জমা হবে। এবং ঐখান থেকে সহজেই অনেক গুলো পথে আপনার নিজের হাতে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন। পেপাল নেই, বা আপনার কার্ড নেই, এসব নিয়ে এখন চিন্তা না করলে হবে। এবং এসব নেই বলে কাজ করা বন্ধ করার কোন মানে হয় না।টাকা হাতে আনার জন্য আপনি মাস্টারকার্ড ব্যবহার করতে পারেন। আপনাকে কার্ড দিবে। আপনি ওডেস্ক বা ইল্যান্স থেকে কার্ডে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। এবং বাংলাদেশের যে কোন এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
কার্ডের জন্য ফ্রী আবেদন করার জন্য পেওনিয়ারের সাইটে গিয়ে সাইন আপ করুন। নাম, ঠিকানা, ইমেইল, ইত্যাদি দেওয়ার সম একটু নির্ভুল ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করুন। এর পর আপনার ঠিকানায় কার্ড চলে আসবে। পরে যে কোন সময় কার্ডে টাকা ট্রান্সফার করে একটিভ করতে পারবেন। আর একটিভ করার পর আপনি যে কোন মার্কেটপ্লেসে কার্ড যুক্ত করে কার্ডে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।
রিয়েল আইপি (Real IP) কি এবং রিয়েল কিনা তা বুঝার উপায়
টাকা কি সত্যিই পাবো?
জ্বি, যে কোন কাজ সম্পুর্ণ করলে ইনশাহ আল্লাহ, সত্যিই টাকা পাবেন। টাকা না, ডলার আরকি।ধরে নিচ্ছি আপনি অনেক কিছু শিখছেন, তারপর কাজ শুরু করেছেন, অনেক টাকা রুজি করছেন, এবার তো খরচ করার সময় হয়েছে তাই না? কিভাবে খরচ করবেন তা বলে দিচ্ছি। একটা পার্টির ব্যবস্থা করুন। তারপর আমাকে দাওয়াত দেন 😛এক সাথে আপনার টাকা গুলো খরচ করব।