এখন ফ্রিল্যান্সিং কাজের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন অনেকেই। অফিসের ধরাবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে ফ্রিল্যান্সিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন অনেকেই। কয়েকটি খাতে নিয়মিত ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশার কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। নিজ কর্মসংস্থানের সুযোগ এখন এতটাই বেড়েছে যে বিশাল জনগোষ্ঠী আজ এ দিকেই ঝুঁকে পড়ছে।
বাংলাদেশেও ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সরকারি তথ্যমতে দেশে প্রায় ৮ লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন।
১. কনটেন্ট লেখা:
অনেকেই ভালো কনটেন্ট লিখতে পারেন। ইংরেজিসহ যেকোনো ভাষায় ভালো মানের কনটেন্ট লিখতে পারেন, এমন কর্মীর চাহিদা রয়েছে। পেশাদার কর্মী হিসেবে ভালো কনটেন্ট তৈরি বা কোনো বিষয় তুলে ধরতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ভালো করার সুযোগ রয়েছে। দেশের প্রতিটি ছোট বা বড় ব্যবসার ক্ষেত্রেই কনটেন্টের প্রয়োজন পড়ে। তাই এ খাতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বড় সুযোগ রয়েছে।
২. ডিজিটাল মার্কেটিং:
উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানকে বাজারে তুলে ধরতে কম খরচে ডিজিটাল মার্কেটারদের খোঁজ করে অনেক প্রতিষ্ঠান। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে শুরু করে ওয়েব প্ল্যাটফর্মে প্রতিষ্ঠানকে তুলে ধরতে ফ্রিল্যান্সার ডিজিটাল মার্কেটিং কর্মীর দিকেই বেশি ঝোঁক দেখা যায়। তাই ফ্রিল্যান্সাররা এ খাতে ভালো আয় করতে পারবেন।
৩ . ডেটা অ্যানালাইটিকস:
ফ্রিল্যান্সার পেশাদার কর্মীদের ক্ষেত্রে চাহিদাসম্পন্ন একটি দক্ষতা হচ্ছে ডেটা অ্যানালিটিকস। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী ইনসাইট দেওয়া ও কাজে লাগানোর পরামর্শদাতাকে এখন অনেক প্রতিষ্ঠানেই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। স্টার্টআপের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্স ডেটা অ্যানালাইটিকস দক্ষ কর্মীকে নিয়োগ দেওয়ার হার বেশি। তবে বড় বড় প্রতিষ্ঠানেও এখন এ ধরনের কর্মীর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
৪ . ওয়েব ডেভেলপার:
এখন ওয়েব ডেভেলপারদের চাহিদা তুঙ্গে। এখনকার বাজারে অনেকেই নতুন ওয়েবসাইট তৈরি বা যুগোপযোগী অনলাইন ব্যবসা শুরু করছেন। ফলে নতুন কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে ওয়েব ডেভেলপারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সারদের এ খাতটিতে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
৫ . ক্রিয়েটিভ ডিজাইন:
ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্ষেত্র হলো ক্রিয়েটিভ ডিজাইন। অনেক প্রতিষ্ঠান এখন ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে তাদের প্রেজেন্টেশন তৈরি বা ডিজাইনের কাজ করিয়ে নেয়। যাঁরা ক্রিয়েটিভ ডিজাইনে দক্ষ, তাঁরা দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজের মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন।
৬. শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠান :
অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান এখন তাঁদের কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে। এ ছাড়া নিজেরও প্রশিক্ষক হিসেবে কোর্স চালু করার সুযোগও রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এখন চাপমুক্তি, সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা, কর্মক্ষেত্রে সুস্থ থাকার মতো নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। ফলে প্রশিক্ষক হিসেবে ফ্রিল্যান্সারদের কাজ করার সুযোগও বাড়ছে।
SD Dipu Roy
Visitor Rating: 5 Stars