সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ “গুগল (Google) সার্চে আপনার সাইট আসছে না? জেনে নিন কারন ও সহজ সমাধান” ধারাবাহিকের শেষ পর্বে আপনাকে স্বাগতম। আমরা ইতিমধ্যেই সাইট গুগল (Google) সার্চে না আসার অনেকগুলো কারন সম্পর্কে জেনেছি, এই পর্বেও তেমনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারন আপনাদের জন্য উপস্থাপন করবো।
গুগল (Google) সার্চে আপনার সাইট আসছে না? জেনে নিন কারন ও সহজ সমাধানঃ (পর্ব-০৩)
*** আপনার সাইটে ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট রয়েছেঃ
ভাবছেন ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট কি জিনিস? ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট হলো যখন একই ওয়েব পেইজ দুটো ভিন্ন URL এর মাধ্যমে এক্সেস করা যায়। তখন গুগল (Google) চায় ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট যাতে ইনডেক্সড না হয়। যা কিনা একই তাকে একটি বই এর দুইটা কপি রাখার মত যাতে শুধু শুধু জায়গা নষ্ট হয়। এই ক্ষেত্রে গুগল (Google) সেটাকেই ইন্ডেক্স করবে যেটা আপনি ক্যানোনিকাল হিসেবে সেট করবেন। ক্যানোনিকাল সেট না করা থাকলে গুগল নিজেই পেইজের সেরা ভার্সনটা ইন্ডেক্স করে নেবে। যদিও এই কাজে গুগল খুব একটা পারদর্শী কিনা সন্দেহ আছে ।
ধরুন কোন ওয়েবসাইট এর দু’টি পেইজ যেগুলো প্রায় একই রকম হওয়া স্বত্বেও দু’টিই ইন্ডেক্সড। এটা আসলে একটু সমস্যা তৈরি করে। কারণ একই অথরিটির পেইজ দু’টি ইউআরএল-এ ভাগ হয়ে যায়। একটি ইউআরএল এর হয়তো একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার রেফারিং ডোমেইন এর ব্যাকলিঙ্ক আছে, আর আরেকটার হয়তো আরেকটু বেশি আছে।
একই কী-ওয়ার্ডে একটা Url এর পেইজ এর পজিশন যা, যদি দুইটা ইউআরএল মার্জ করা যায়, তাহলে হয়তো পজিশন আরো সামনে চলে আসবে।
আমি আগের পর্বে কিছু টুল ব্যবহার করে এই কাজগুলো করার কথা বলেছিলাম। জীবন পাতায় আমার অনেক বন্ধুই অন্তত একটি টুলের কথা জানতে চেয়েছেন। তাই বলছি, আপনার ওয়েবসাইটে ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট খুঁজে বের করতে একটি ক্রল রান করতে পারেন এই টুলটি ব্যবহার করে। সেখানে Content Quality তে গিয়ে ক্যানোনিকাল ছাড়া ডুপ্লিকেট বা নিয়ার-ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট খুঁজে নিন।
এরপর redirecting বা canonicalizing এর মাধ্যমে কাজটি করে ঠিক করে নিন।
Google Rank Tips and Tricks – আর কখনো হারাবে না গুগোল পেজ র্যাংক
*** আপনার সাইট গুগল (Google) পেনাল্টিতে পড়ে গেছেঃ
এ ব্যপারটি নিয়মিত ঘটে না, তবুও গুগল পেনাল্টির কারণে আপনার সাইট গুগল সার্চে নাও আসতে পারে। গুগল পেনাল্টি সম্পর্কে একটু বিশদভাবে না বললেই নয়, এটি আসলে দুই রকম।
ক) ম্যানুয়াল – এটা হলো যখন কোন গুগল এর Employee আপনার সাইট নিজ থেকে ভিজিট করে দেখবে এবং কোন সমস্যা পাবে, তখন আপনার সাইটকে তারা মুছে দিতে পারে বা সার্চ রেজাল্টে পিছনে ঠেলে দিতে পারে। এটা আসলে তেমন একটা হয় না, তবে যদি আপনার সাইট তাদের webmaster guideline এর বাইরে কিছু করে, তাহলেই এমনটা হতে পারে।
খ) এলগরিদম – এটা আসলে পেনাল্টি না বলে ফিল্টার বলা চলে। কোয়ালিটি ইস্যুর কারণে অনেক সময় গুগল এলগরিদম আপনার পেইজকে পেছনে পাঠিয়ে দিতে পারে।
আশার কথা হলো ম্যানুয়াল পেনাল্টি খুবই অপ্রতুল। আপনি সার্চ কনসোলে নিজেই চেক করতে পারবেন আপনার সাইটের কোন ম্যানুয়াল পেনাল্টি আছে কিনা। ম্যানুয়াল একশান নামের ট্যাবটা ক্লিক করলেই সেটা শো করবে।
তবে এলগরিদমের কারণে যদি অর্গানিক ট্রাফিক কমে যায়, সে ক্ষেত্রে বোঝা টা কঠিন যে কী কারণে কমে গেল।তার কারন গুগল এই বিষয়ে আপনাকে কিছুই জানাবে না। যদি কখনো আপনার অর্গানিক ট্রাফিক হঠাত কমে যায়, তাহলে সবার আগে চেক করে দেখুন এটা কোন Google Algo Updates এর কারণে হলো কি না।
https://barracuda.digital/panguin-seo-tool/ এটি এই ক্ষেত্রে বেশ ভালো একটা টুল। এটা বিগত সময়ে গুগল আপডেট আর আপনার গুগল এনালিটিক্স ট্রাফিকে পাশাপাশি স্টাডি করে দেখায়। এতে আপনি সহজেই কোন ইস্যু থাকলে ধরে ফেলতে পারবেন।
আর যদি দেখেন আপনার সাইট আসলেই পেনাল্টি বা ফিল্টারে পড়েছে তাহলে এক্সপার্ট কারো সাহায্য ও পরামর্শ নিন।
আসলে গুগলে র্যাঙ্ক করা হলো একটি প্রতিযোগিতা।আপনার কম্পিটিটরদের টপকে যেতে আপনি ব্যাক-লিঙ্ক আর ‘অথরিটি’ বাড়িয়ে লেভেল আপ করতে পারেন।
আর যদি মনে হয় প্রতিযোগিতা খুবই জটিল, তাহলে আরো সহজ, কম প্রতিযোগিতার কী-ওয়ার্ড নিয়ে চেষ্টা করুন।আপনি চাইলে এই টুলটি ব্যবহার করে Keyword Explorer দিয়ে সহজেই খুঁজে নিতে পারেন লো-কম্পিটিটিভ কী-ওয়ার্ড।
সত্যি বলতে প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে এবং টিকে থাকতে অনেক কষ্ট করা লাগে। তাই ধৈর্য ধারন করে চেষ্টা, অধ্যাবসায় ও পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার জন্য হতে হবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
আশা করি এই টপিকের সবগুলো পোস্ট পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আপনাদের ভালো লাগাই আমাদের সফলতা। এই পোস্টটি সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক কোন প্রশ্ন, মতামত ও মন্তব্য থাকলে কমেন্টে জানাবেন। সবাইকে ইনকাম টিউনসের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন>>>
Jowel Das Provas
Visitor Rating: 5 Stars