freelancing ফ্রিল্যান্সিং কথাটি গত কয়েক বছর আগেও আমাদের কাছে অপরিচিত একটি শব্দ ছিল। কিন্তু সময় টা এখন ২০১৮ সাল। সব কিছুর সাথে পরিবর্তন হয়েছে মানুষের কাজকর্মের প্লাটফর্মেরও ।অনলাইন টা জেন আমাদেত নিত্যদিনের কাজকর্মের প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে।
freelancing ফ্রিল্যান্সিং কেন করবেন? ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত টাকা আয়
ছোট থেকে বড় সব ধরনের মানুষ এখন অনলাইন ব্যাবহার করে।আর এই অনলাইন ব্যাবহার এর মাত্রা আমাদের
freelancing ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। ঘরে বসে অনলাইমের সাহায্যে দেশ বিদেশের ছোট বড় যে কোন ধরনের কাজ করাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে।
freelancing ফ্রিল্যান্সিং কথাটার সাথে আমরা সকলেই পরিচিত।
কিভাবে 1 টি Best Article বা blog post লিখবেন?
কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না ফ্রিল্যান্সিং কেন করবেন,কিভাবে সুরু করবেন নিজের freelancing ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার । আজ আমরা আলোচনা করবো ফ্রিল্যান্সিং কেন করবেন, কিভাবে করবেন, কত টাকা আয় করবেন এই বিষয়ে।
freelancing ফ্রিল্যান্সিং কেন করবেন?
ফ্রিল্যান্সিং করার সব থেকে বড় সুবিধা আপনি ঘরে বসেই কাজ করতে পারবেন। ঘরে বসে অনলাইন ব্যাবহার এর মাধ্যমে আমরা যে কাজ করে থাকি তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। freelancing ফ্রিল্যান্সিং মানে মুক্ত পেশা।
এটির সব থেকে বড় সুবিধা আপনি আপনার নিজের ইচ্ছা মত কাজ করতে পারবেন। ধরেন আপনি কোন কোম্পানিতে জব করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিন সময় মত অফিসে জেতে হবে,সময় মত কাজ শেষ করতে হবে,এবং কাজ শেষে বাসায় ফিরতে হবে।
অনেকের কাছে এই ভাবে চাকরি করাটা বিরক্তিকর লাগে। এমন কি আমার কাছেই খুব বিরক্তকর লাগে। কিন্তু আপনি যদি freelancing ফ্রিল্যান্সিং করেন তাহলে আপনি আপনার ইচ্ছামত কাজ করতে পারবেন।
আপনাকে কোন অফিসে জেতে হবে না। আপনি ঘরে বসেই কাজ করতে পারবেন। এ জন্য আমি মনে করি ফ্রিল্যান্সংকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিলে আপনি আপনার জীবনকে সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে পারবেন।
কিভাবে শুরু করবেন
আমরা সকলেই জানি freelancing ফ্রিল্যান্সিং মানে মুক্ত পেশা বা অনলাইনে কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা । কিন্তু আমারা অনেকেই জানি না । কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হয়।
freelancing ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার
কিভাবে অনলাইনে কাজ করতে হয় আর কি ধরনের কাজ করতে হয়।
আপনি যদি ভেবে থাকেন freelancing ফ্রিল্যান্সিং মানে শুধু একটি কম্পিউটার আর অনলাইন সম্পর্কে সাধারন কিছু যানা থাকলেই freelancing ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। তাহলে আপনি ভুল জানেন। বাইরে চাকরি করার থেকে ঘরে বসে আয় করা টা সহজ হতে পারে। কিন্তু ঘরে বসে এই কাজ পাওয়া টা অনেক কঠিন।
আপনি যদি ধরে নিয়ে থাকেন যে freelancing ফ্রিল্যান্সিং মানে শুধু ঘরে বসে কম্পিউটার টিপাটিপি করা তাহলে আনার এই ভুল ধারনা আগে বদলান।
তার পর যে কোন বিষয়ের উপর কাজ শিখুন। সত্য কথা বলতে আপনি যদি কোন কাজ না পারেন তাহলে আপনি কোন ক্ষেত্রে সফল হতে পারবেন না। সব জায়গায় আপনার কাজ করার দক্ষতার গুরুত্ব টাই সব থেকে বেশি। উদাহারন হিসেবে বলা যায় ধরুন আপনি একজন রিকশা চালক সে ক্ষেত্রে আপনাকে শ্রমজীবী মানুষ বলা হবে কিন্তু এই রিকাশা চালানোর জন্য আপনাকে রিকশা চালানো শিখতে হয়েছে।
ঠিক তেমন ভাবে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বা ওয়েব ডেভেলপর যদি অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে তাকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয় ।
কিন্তু তার এই ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য তাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপিং শিখতে হয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। সুতরাং একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন আপনাকে কাজ শিখতে হবে। কোন কাজ না জানলে আপনি freelancing ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন না বা অন্য কোথাও জব করতে পারবেন না।
এখন একটা প্রশ্ন আসতে পারে আমি কি কাজ শিখবো? বর্তমানে অনেক ধরনের কাজ দিয়েই আপনি শুরু করতে পারবেন। অনালাইনে ফ্রিল্যান্সার দের কাজের কোন অভাব নেই।
আপনি গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে ওয়েব ডেভলপিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইমেইল মারকেটিং, ডিজিটাল মারকেটিং, শিক্ষকতা, হাজারো রকমের কাজ অনলাইনে করতে পারবেন। হ্যা এই কাজ গুলো আপনি বাস্তব জিবনে অফলাইনেও করতে পারবেন।
তখন সেটাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হবে না। আপনি যখন কোন কাজ অনলাইনে করবেন তখন সেটাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হবে। সুতরাং কাজ শিখতে ভয় কিসে? যে কোন বিষয়ের উপরে প্রশিক্ষন নিন। তারপর আপনি এমনিতেই freelancing ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন।
আপনার যদি মনের ভিতর চিন্তা থাকে যে আপনি অনলাইনে আয় করবেন কিন্তু কোন কাজ শিখবেন না। তাহলে ভাই বলতে খারাপ লাগ্লেও সুনতে হবে আপনি ঘোড়ার ডিম ছাড়া আর কিছু পাবেন না। সুতরাং বার বার এক কথায় বলতেছি কাজ শিখুন।
এখন আপনাদের কয়েকটি কাজ এর কথা বলতেছি এই গুলো শিখতে পারেন।
ওয়েব ডিজাইন
ওয়েব ডেভেলপিং
গ্রাফিক্স ডিজাইন
ভিডিও এডিটিং
সাধারনত এই ক্যাটেগরি এর কাজ গুলো অনালাইনে সব থেকে বেশি করা হয়। এ ছাড়া যে আর কোন কাজ নেই এমন কিন্তু না। এছাড়া অনেক রকমের কাজ আছে যেগুলো আপনি শিখতে পারেন। তাছাড়া এমন অনেক ক্যাটেগরি এর কাজ আছে যে গুলোর উপর আপনার প্রশিক্ষন না নিলেও করতে পারবেন। কিন্তু সেই কাজ গুলো করার দক্ষতা থাকতে হবে।
ডিজিটাল মারকেটিং
যেমন ধরেন আপনি একজন শিক্ষক। তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষকতা করতে পারবেন।
এ ছাড়া বাস্তব জীবনের অনেক ছোট খাট কাজ আছে যে গুলো আমরা কোন প্রশিক্ষন ছাড়াই শিখতে পারি বা করতে পারি তেমন কাজ গুলোও আপনি করতে পারবেন। বর্তমানে আপনি গাড়ি চালিয়ও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। বিশ্বাস হচ্ছে না তাহলে এখনি উবার, পাঠাও, এর মত অনেক রাইড শেয়ারিং অ্যাপ রয়েছে এই গুলো সম্পর্কে একটু ধারনা নিন দেখবেন আমি সত্যি বলেছি।
যায় হোক মূল কথায় আসি আমরা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করবো।
যেটা বললাম আপনি যদি কাজ ভালো জানেন আপনার আয় করা কোন বিষয় না। অনলাইনে ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কম এর মত হাজারো মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা প্রয়োগ করে উপার্জন করতে পারবেন।
এই ধরনের মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করতে ২-৩ মিনিট সময় লাগে কিন্তু আপনি যদি কাজ না জানেন তাহলে কাজ পাবেন কোথায় তাই কাজ শিখে ঝাপিয়ে পড়ুন এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে দেখবেন সফলতা হাতের মুঠোই।
অনেক হলো এবার বক বক থামিয়ে চলুন যানা যাক আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়?
অনেকের মনে এই প্রশ্ন ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায়। সবার প্রশ্নের এক উত্তর আপনার কাজের উপর নির্ভর করবে আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন। অনলাইন এমন একটি জায়গা যেখানে সারা বিশ্বের মানুষ এক সাথে একত্রিত ভাবে জড়িয়ে আছেন।
এখানে আপনি কোন দেশে বসবাস করেন সেটা দেখার বিষয় না।
FBS দিচ্ছে $123 বোনাস। নিয়ে নিন এখনই
আপনি কতটুকু দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন সেটি দেখার বিষয়। সুতরাং আপনার দক্ষতা অনুজায়ী অফালাইনে কাজ করার থেকে অনলাইনে কাজ করে বেশি উপার্জন করতে পারবেন।
ধরুন বাংলাদেশে আপনি অফলাইন একটি প্রতিষ্ঠানের লোগো ডিজাইন করে দিলেন। যেহেতু প্রতিষ্ঠান টি বাংলাদেশের সুতরাং আপনি বাংলাদেশের রেটে আপনার এই কাজটি করার জন্য অর্থ পাবেন। কিন্তু আপনি অনলাইনে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর কোন প্রতিষ্ঠানের লোগো ডিজাইন করে দেন সেক্ষেত্রে আপনি অর্থ বেশি পাবেন।
সুতরাং সেতা যেই কাজ হোক না কেন অনলাইনে আপনি ইনকাম টা একটু বেশি পাবেন।