সুপ্রিয় পাঠক ইনকাম টিউনস এ আপনাকে স্বাগতম। Facebook বা সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যাটিংয়ের সময় সতর্ক থাকুন
এমন খুব কম সংখ্যক মানুষ আছেন যাদের Facebook ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট আছে কিন্তু Facebook মেসেঞ্জার ব্যবহার করেন না। বাংলাদেশে এই অ্যাপের অবস্থান ওপরের সারিতে হলেও অন্যান্য অ্যাপও কিন্তু পিছিয়ে নেই। যার ব্যবহার যত বেশি তার ভুলভ্রান্তিও তত বেশি।

আজকে আমরা Facebook বা সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যাটিংয়ের সময় করা কিছু ভুলের সম্পর্কে জানবো যা জানলে আপনি আরও সাবধান হতে পারবেন।
১। ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা-
আপনার কোন ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি, ভিডিও বা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর কিংবা কোনো পাসওয়ার্ড মেসেঞ্জার/হোয়াটসঅ্যাপ এ কারও সঙ্গে শেয়ার করলে তা বিপদের কারণ হতে পারে। অপর পাশের ব্যক্তি এ তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষা করবেন এবং এ তথ্য কোনো তৃতীয় পক্ষের হাতে যাবে না, তা কিন্তু নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। তাই এ ধরনের ব্যক্তিগত স্পর্শকাতর তথ্য শেয়ার করার আগে অন্তত একটিবার ভেবে দেখুন।
২. বিনা অনুমতিতে কল করা-
আপনার অপর পাশের ব্যক্তিটি কথা বলার মতো অবস্থায় বা পরিবেশে আছেন কি না, তা না জেনে আমরা মাঝেমধ্যে হুটহাট করে অনুমতি না নিয়েই মেসেঞ্জারে কল করে বসি। তিনি মিটিং বা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকলে আপনার এই অপ্রত্যাশিত কলে অবশ্যই বিরক্ত হওয়াটায় স্বাভাবিক। তাই অনুমতি না নিয়ে যে কাউকে কল করা মোটেও সমীচীন নয়।
৩. অযথা মেসেজ পাঠানো-
বিনা প্রয়োজনে কাউকে হাই–হ্যালো বা ‘কী করছেন?’ টাইপের অযথা মেসেজ পাঠালে তার কাছে আপনি হালকা ব্যক্তিত্বের মানুষ হিসেবে পরিচিত হতে পারেন। এতে করে আপনার সম্পর্কের দৃঢ়তা পাওয়ার আগেই হালকা হয়ে যেতে পারে।
৪. বড় মেসেজ পাঠানো-
রচনার আকার করে মেসেজ দিলে তো আপনি অন্য কারো বিপত্তির কারন হতেই পারেন যদিও কোন সুস্পষ্ট করে বুঝাতে গেলে মেসেজটি একটু বড় আকার ধারন করে। তারপরেও প্রয়োজন ছাড়া কোনো মেসেজ ২, ৪ বা ৫ লাইনের বেশি লিখা উচিত নয়। চেষ্টা করতে হতে অল্প কথায় বুঝিয়ে লিখার।
৫. শর্ট ফর্মের ব্যবহার-
আমরা অনেকেই শর্ট ফর্মে লিখে অভ্যস্ত, এটি আসলে বার্তা গ্রাহকের কাছে নিজের অপরিপক্বতার পরিচয় দেয়া। সেক্ষেত্রে তাই সময় সামান্য বেশি লাগলেও প্রতিটি শব্দকে সম্পূর্ণ করে লেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আরেকটি কথা মাথায় রাখা জরুরি যে, মেসেজে কখনোই কারও সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না। কারণ, আপনি কোন মেজাজে কোন কথাটি বলছেন, তা ওপাশে বসে বোঝা সম্ভব নয়। তাই মেজাজ খুব একটা ভালো না থাকলে সে মুহূর্তে মেসেজ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। মাথা ঠান্ডা হলে পরেও তো চ্যাটিং করা যেতে পারে।
৬. অযথা ফরওয়ার্ড করা-
মনে করুন অনলাইনে কোনো একটি বিষয় আপনার ভালো লেগেছে। এখন আপনি চাইছেন আপনার বন্ধুতালিকায় থাকা অন্যদের সঙ্গেও সেটি শেয়ার করতে। ফরওয়ার্ড অপশনে গিয়ে গণহারে সেটি সবাইকে পাঠাতে শুরু করলেন। কিছু মানুষ সেটিকে উপভোগ করলেও বাকিরা কিন্তু আপনার ওপর চটে যেতে পারেন। এমনকি ব্লক পর্যন্ত দিতে পারেন। তাই ফরওয়ার্ড করার আগে ভাবুন কী পাঠাচ্ছেন এবং কাকে পাঠাচ্ছেন।
৭. মাঝরাতে মেসেজ পাঠানো-
হটাত করে কোনো Facebook ফেসবুক বন্ধুকে গভীর রাতে মেসেজ করলে তিনি ভ্রু কোঁচকাতেই পারেন। খুব জরুরি না হলে এবং খুব কাছের কেউ না হলে রাত ১১টার পর মেসেজ পাঠানো উচিত নয়। কল তো অবশ্যই নয়।
৮. ভুল বানানে মেসেজ পাঠানো–
যে ভুলটি আমরা অনেকেই করে থাকি। একটি টেক্সট খুব দ্রুত লিখে সেন্ড বাটন চেপে দিই। পাঠানোর পর খেয়াল হয় যে দুটি বানান ভুল হয়ে গেল, তখন বিব্রত হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। এখন থেকে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে, মেসেজ লিখে সেন্ড করার আগে একবার হলেও মেসেজে চোখ বুলিয়ে নিন।
৯. উত্তর না পেয়েও অনবরত মেসেজ পাঠানো-
একবার মেসেজ পাঠালেন, উত্তর পেলেন না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার মেসেজ পাঠালেন। এবারও সাড়া পেলেন না। এবার একটু অপেক্ষা করুন তাঁকে সময় দিন। ফ্রি হওয়ার পর তিনি হয়তো তাঁর সময়মতো উত্তর দেবেন। যদি আপনি অপেক্ষা না করে অবিরত মেসেজ পাঠাতে থাকেন, তবে তা আপনার অধৈর্য মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
১০. অতিরিক্ত ইমোজির ব্যবহার-
কাউকে ‘কী করছেন?’ এটা লিখে সঙ্গে ২-৩টি হাসির ইমোজি জুড়ে দিলেন। এ রকম প্রত্যেক মেসেজের শেষে গিয়ে অনর্থক ইমোজি পাঠাতে থাকলে অপর পাশের ব্যক্তি আপনার মানসিক সুস্থতা নিয়েও মনে মনে প্রশ্ন তুলতে পারেন। কোনো একটি কথায় প্রাণ দেওয়ার জন্য এবং আপনি কোনো অর্থে কথাটি বলেছেন তা বোঝানোর জন্য ইমোজি ব্যবহার করতেই পারেন। তবে তা যেন অতিরিক্ত না হয়।
আসলে আমরা একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব বিচারের ক্ষেত্রে যেমন তাঁর পোশাক কিংবা অঙ্গভঙ্গি আমলে নিই, ঠিক তেমনি যাপিত জীবনে তাঁর টেক্সট পাঠানোর ধরনও উপেক্ষা করি না। তাই এখন থেকে মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে উপর্যুক্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখব, যাতে অপর পাশের ব্যক্তি আমাদের ব্যক্তিত্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে না পারেন। সবাই ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন।
সবশেষে ধন্যবাদ দিতে চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য স্কুল ফর প্রেজেন্টেশনের প্রেসিডেন্টকে যার লিখা পরেই আমার এই পোস্ট টি লিখা।
পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন ———
চলে এলো মেসেঞ্জার কিডস Messenger Kids।
ভয়েস দিলেই টাকা দিবে Facebook ফেসবু্ক
Jowel Das Provas
Visitor Rating: 5 Stars
Tumpa Das
Visitor Rating: 5 Stars
Tumpa Das
thanks
Jahid
সময়োপযোগী লেখা। ধন্যবাদ
Jowel Das Provas
welcome #Jahid
babul
Visitor Rating: 5 Stars