
আমরা প্রায় সবাই ছোট বেলায় শুনেছি যে, কম্পিউটারের ক্ষেত্রে যা কিছুই স্পর্শ করা যায় তাই হার্ডওয়্যার আর যা স্পর্শ করা যায়না তবে ঐ স্পর্শ করা যায় এমন যন্ত্রগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাই হলো সফটওয়্যার । কিন্তু আজকে আমরা যা নিয়ে কথা বলব সেটা এই দুটোর কোনটিতেই পুরোপুরি ভাবে পড়ে না। এটা আসলে ৫০% হার্ডওয়্যার এবং ৫০% সফটওয়্যার এর মিশ্রণে তৈরি। ব্যাপারটা একটু কেমন জানি হয়ে গেল তাই না?
ব্যাপার না! আজ আমি সেটাই আপনাদের কাছে একদম ক্লিয়ার করে দিবো।আমরা স্বাভাবিক ভাবেই পিসির প্রসেসর, জিপিইউ কিংবা অন্যে কোন একটা কম্পোন্যান্টকে মূল হিসেবে দেখি। কিন্তু পিসির সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হলো এমন একটা জিনিস যা পিসির হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর মাঝে একটা ব্রিজ স্থাপন করে তা ব্যবহার যোগ্য করে তোলে। হ্যাঁ, আমি Basic Input Output System অথবা BIOS (বায়োস) এর কথা বলছি।
বস্তুত বায়োস খুবই ছোট একটা কোড যা সাধারণত একটা রিড অনলি ফ্লাশ মেমোরি চিপের সাথে সমন্বয় হয়ে মাদারবোর্ডের এক কোনায় লাগানো থাকে। এটাকে মাদারবোর্ডের ফার্মওয়্যারও (Firmware ) বলা হয়ে থাকে, কেননা এটা সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের মাঝে একটা ব্রিজ স্থাপন করে। কিন্তু কিভাবে?
তুলনা করার জন্যে আমরা উদাহরণ হিসেবে নিই একটা মানুষকে। একটা মানুষের ব্রেইনের রেস্পিরেটরি সেন্টার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তার ডে টু ডে লাইফে, এটা তার নিশ্বাঃস নেওয়া, ঘ্রাণ নেওয়া, তার হার্ট বিট এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলো নিখুঁত ভাবে প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে, কিন্তু স্পেসিফিক্যালি দেখলে এটা কিন্তু কোন চিন্তা ভাবনার কাজে সাহায্য করেনা, তার মানে রেস্পিরেটরি সেন্টার তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে ঠিকই কিন্তু পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে বাকিটা তাকেই ব্রেনের অন্য অংশ ব্যবহার করে চিন্তা ভাবনা করে বের করে নিতে হবে।

ঠিক তেমন ভাবেই আপনার কম্পিউটারের BIOS এমন কিছু বেসিক তবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে যা সম্পন্ন না হলে এখন হয়তো আপনি আপনার পিসিতে এই টোটো পোস্টটাই পড়তে পারতেন না।
তো আপনি যখন প্রথম আপনার কম্পিউটার চালু করেন তখন সবার আগে BIOS ই জাগ্রত হয় এবং চেক করে সেটিংস যা স্টোর কথা থাকে সিমোস চিপে। এই সিমোসে ঐ সেটিংস সেভ থাকে যা ইউজার তার পিসিতে বায়োস মেন্যু এর মাধ্যমে সেট করে রেখেছেন।
এরপর সেটিংস ঠিক থাকলে BIOS চেক করে ইনস্টল্ড পেরিফেলাস গুলোন, যেমনঃ প্রসেসর, র্যাম, গ্রাফিক্সকার্ড ও যা যা আছে আর কি। তারপর BIOS চালু করবে তার Power On Self Test যা সংক্ষেপে আমরা অনেকেই বলে থাকি POST, এর মাধ্যমে চেক হয়ে যাবে সব কম্পোনেটের স্যাটাস ও কানেকটিভিটি, যখন সব ঠিক ঠাক থাকবে তখন পিসি হালকা একটা (Beep) সাউন্ড করবে আপনাকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য যে, সব ঠিক আছে এন্ড দ্যা সিস্টেম ইজ বুটিং। আর যদি এখানে কন্টিনিউয়াস (Beep) হতেই থাকে তাইলে বুঝতে হবে কোন সমস্যা আছে যা POST হতে দিচ্ছে না। হতে পারে র্যাম চিপ কিংবা অন্য কোন কম্পোন্যান্ট।

সব শেষে BIOS চেক করবে একটা Bootbale Device যাতে একটা Operaing System আছে, এবং তা খুঁজে পেলে BIOS তখন সবটাই ছেড়ে দিবে OS এর কাছে এবং এটা ব্যাকগ্রাউন্ডে ঘুমিয়ে যাবে। পুরোনো BIOS আগে ইনপুট ডিভাইস গুলো নিয়ন্ত্রণ করতো, যেমন – মাউস/কিবোর্ড ইত্যাদি। তবে মডার্ন অপারেটিং সিস্টেমে এই Input Device গুলো কোর ফার্মওয়্যারে ইন্টিগ্রেট করে দিয়েছে, তাই BIOS একবার পিসি চালু হলে স্লিপ মোডে চলে যায় আর ২য় বার পিসি অন না করা পর্যন্ত আর তাকে কাজ করতে হয় না।
তবে এই BIOS এর লিমিটেশন ছিলো কিছু, তার মধ্যে প্রধান লিমিটেশন যা, তা হলো ড্রাইভ সাপোর্ট। সিস্টেম বুট ড্রাইভ যা কিনা BIOS দেখে Master Boot Record সংক্ষেপে MBR এর রুপে তার স্টোরেজ লিমিটেশন ছিলো মাত্র ২ টেরাবাইট পর্যন্ত এবং আপ টু অনলি টু পার্টিশনস। আমাদের মডার্ন ড্রাইভ ২ থেকে শুরু করে ১০ টেরাবাইট পর্যন্ত যার প্রায় সবই ছিলো সাপোর্ট লিস্টের বাহিরে।
তো এর মানে কি? আমরা কি হাই ক্যাপাসিটি ড্রাইভ ব্যবহার করবো না?? এই সমস্যাগুলোকে মাথায় রেখেই দরকার ছিলো নতুন কোন কিছুর আর সেখান থেকেই জন্ম হয়ে গেল Unified Extensible Firmware Interface or UEFI এই UEFI জাস্ট বিশাল থেকে বিশাল ড্রাইভের সাপোর্টই না বরং সাথে এনেছে আরও অনেক পরিবর্তন। এটা একটা ট্র্যাডিশনাল বায়োস এর থেকে অনেক বেশি তাড়াতাড়ি সিস্টেম POST করতে পারে এবং এটা গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সম্মৃদ্ধ সেটিংস নিয়ে এসেছে যার সাথে দিয়েছে কার্সর সাপোর্ট।

অন্যদিকে যেখানে পুরোনো BIOS আজীবন নীল একটা স্ক্রিনে লাল নেভিগেশন যুক্ত একটা থিম ব্যবহার করতো যা দেখে কিছুটা Blue Screen Of Death বা BSOD এর মতো লাগতো।

তবে তাও প্রাচীন আমলের সলিউশ্যন থেকে ভালো ছিলো কেননা সে সময়ে কোন GUI (Graphical User Interface) ই ছিলোনা BIOS এর। সেটিং চেঞ্জের জন্যে ফিজিক্যালি মাদারবোর্ডে Jumper Wire চেঞ্জ করতে হতো।

Intel 6-Series LGA1155 (2nd gen/32nm & 3rd gen/22nm) থেকেই UEFI এর প্রচলন শুরু করে গেছে। AMD এর ক্ষেত্রে যা 9 Series AM3+ chipset এ। বর্তমানের আমাদের প্রায় সব পিসিতেই নতুন স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে এই UEFI আছে। এর বদলে এসেছে নতুন পার্টিশনিং স্কিম যার নাম GUID Partition Table (GPT). এটা আপনাকে একটা ড্রাইভে আপনার ইচ্ছেমত যত খুশি তত পার্টিশন ক্রিয়েট করতে দিবে কোন এক্সটেনশন ছাড়াই।

যাইহোক, আজ আসি। অন্যদিন UEFI সংক্রান্ত সব নিয়ে আরও ব্রিফলি এক্সপ্লেইন করবো। আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে তা নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং পরবর্তীতে কি নিয়ে জানতে চান তা বলতে ভুলবেন না।
**আরো পড়ুন**
Fiverr থেকে প্রতিদিন 1000+ টাকা আয় করুন
Tomas Roy
hjhb
Tomas Roy
vkhjbhbkg
Dipu Roy
অনেক ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে
Me Arman
Good post
Rifat
Nice post
Rifat
Sup
Rifat
Onek vlo akta post
Rifat
Helpful post
Rifat
Berry nice post
Rifat
Excellent
Rifat
Fhjbf
Rifat
Halp
Rifat
Wow
Rifat
Very ioss
Rifat
Kub vlo
Rifat
Kub vlo post
evaakter yasmin
Nice post
evaakter yasmin
good post
evaakter yasmin
thnxxx
evaakter yasmin
Excellent post
evaakter yasmin
helpful post
evaakter yasmin
onk kisu jnte parlm
evaakter yasmin
Awesome post
evaakter yasmin
superb
evaakter yasmin
Next post
evaakter yasmin
khb valo laglo
Ahad Islam AD
onk kisu jnte parlm
Jowel Das Provas
Very nice post. I learnt so many things from this post. Thanks a lot for your informative post bro. Keep it up.