আপনি ফ্রিল্যান্সার হতে চান, অথবা ব্যবসা করতে চান। আরো নির্দিষ্ট করে কল্পনা করুন আপনি ওয়েব ডিজাইনার হতে চান, গ্রাফিক ডিজাইনার হতে চান অথবা এনিমেটর বা প্রোগ্রামার হতে চান। ব্লগ তৈরী করে তার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান। যাকিছু ইচ্ছে কল্পনা করতে পারেন, কল্পনাকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য আপনাকে কাজ করতে হবে। আর সেজন্য প্রয়োজন পরিকল্পনা। হয়ত শুনে অবাক হতে পারেন জাতিসংঘের মত প্রতিস্ঠান সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে পরিকল্পনায়। ঢাকা শহরের যানজটের সমস্যা দুর করার পদ্ধতি কি এনিয়ে সরাসরি মন্তব্য করে বলা হয়েছিল, আপনারা প্রথমে ঠিক করুন আপনারা কি চান।
আপনার অবশ্যই এসব বড় পরিকল্পনা প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন ব্যক্তিগত সাফল্য লাভের পরিকল্পনা। খুব সহজে ৩ ধাপে আপনি পরিকল্পনা করতে পারেন।
. আপনি কি চান সেটা জানুন
আপনি কি আসলে ওয়েব ডিজাইনার হতে চান নাকি এনিমেটর হতে চান সেটা নিশ্চিত করুন। ওয়েব ডিজাইন লাভজনক দেখে মনে করলেন সেটা শেখা উচিত, পরদিন এনিমেশন দেখে শক জাগল এনিমেটর হবেন, একে হতে চাওয়া বলে না। আপনি একই সময়ে যেমন উত্তর এবং দক্ষিনে যেতে পারেন না তেমনি একই সময়ে ওয়েব ডিজাইনার এবং এনিমেটর হতে পারেন না। দুটিও অত্যন্ত বড় বিষয়। আপনার পরিকল্পনার প্রথম ধাপ, আপনার লক্ষের ডেফিনিশন ঠিক করুন।
. প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি নিশ্চিত করুন
অস্ত্র ছাড়া আপনি যুদ্ধে যেতে পারেন না। তেমনি যন্ত্রপাতি ছাড়া আপনি কাজ করতে পারেন না। আপনি ব্ল তৈরী করে অর্থ উপার্জনের কল্পনা করছেন অথচ আপনার ইন্টারনেট লাইনে ইমেইল চেক করা যায় না এটা হতে পারে না। আপনি মায়া ব্যবহার করে হলিউড ষ্টাইলের এনিমেশন করবেন অথচ সেখানে ওয়ার্ডপ্রসেসিং করা কষ্টকর এটাও হতে পারে না। ব্যবসা করতে চান অথচ টাকা কোথায় পাবেন জানেন না সেটাও হতে পারে না।
আপনার কাজের জন্য কি কি প্রয়োজন তার লিষ্ট তৈরী করুন, সেগুলি কিভাবে পাওয়া সম্ভব জানার চেষ্টা করুন। অনেক সময় অর্থের কারনে স্বপ্নপুরন হয়না এটা মেনে নিন। সংগতি যদি না হয় তাহলে সময় নষ্ট করবেন কেন, বিষয় পরিবর্তন করে ফেলুন।
কম্পিউটার সংক্রান্ত বিষয় যদি হয় সেক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি ছাড়াও শিক্ষা-মেধা ইত্যাদির কথাও বিবেচনায় রাখুন। কোন কাজে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা প্রয়োজন, কোন কাজে অংক প্রয়োজন। এটা না থাকলে চেষ্টা করেও বেশিদুর যেতে পারবেন না। আপনার পক্ষে প্রয়োজনীয় যাকিছুর ব্যবস্থা করা সম্ভব তারওপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা করুন।
. সময় ঠিক করুন
প্রোগ্রামার হব একথা বলে আপনি যদি ৫-১০ বছর পার করেন তাহলে আপনি প্রোগ্রামার হচ্ছেন না। পরিকল্পনার সাথে সময়কে সম্পৃক্ত করুন। ১ মাসে কতটুকু করবেন, ১ বছরে কতটুকু করবেন নির্দিষ্ট করে ফেলুন। মাঝেমাঝে সেটা যাচাই করুন। যদি পিছিয়ে থাকেন তাহলে জানবেন আপনি লক্ষে পৌচচ্ছেন না। লক্ষে পৌছুতে হলে গতি বাগিয়ে টার্গেট পুরন করুন।