ক্যাপচাঃ
মানুষ ও রোবটকে আলাদাভাবে শনাক্ত করতে পারে।
মানুষ ও রোবট আলাদা করার প্রক্রিয়া “I am not a robot” ইন্টারনেট ব্যবহার করেন কিন্তু এই লেখা চোখে পড়েনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা। ইন্টারনেটে বিভিন্ন সময় কোথাও নতুন আইডি খুলতে কিংবা লগিন বা অন্য কোনো ওয়েবসাইটে ঢুকতেও এখন এটা সবার ই করা লাগে। নিজেকে রোবট নয় মানুষ হিসেবে প্রমাণ করা।এবং এই প্রমাণের কাজ যেভাবে করা হয় সেটাই ক্যাপচা।
Captcha) তথ্যপ্রযুক্তিতে ব্যবহৃত বিশেষ একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ক্যাপচা হচ্ছে একটি চ্যালেঞ্জ রেসপন্স টেস্ট। এটির পুরো কথা হলো কমপ্লিটলি অটোমেটেড পাবলিক টার্নিং টেস্ট টু টেল কম্পিউটার এন্ড হিউম্যানস অ্যাপারট । ২০০৩ সালে এটির নামকরণ করেছিলেন লুইস ভন আন, মঅ্যানুয়েল বুম, জে হপার এবং জন লঅ্যাংফোড।
ক্যাপচা কি?
এক কথায় এবং সোজা বাংলায় ক্যাপচা হল মানুষ এবং রোবট বা অন্য কোনো বট কে আলাদা করার একটা ছোট প্রক্রিয়া। ফোন বা কম্পিউটার এর স্ক্রীন টি যে অপারেট করছে সে কি মানুষ নাকি কোনো রোবট তা নিশ্চিত করতেই ক্যাপচার ধারণার জন্ম হয়।
এই ক্যাপচার ধারণা টি প্রথম মাথায় আসে Luis von Ahn এর। তিনিই প্রথম এটি তৈরি করেন। এর শুরু ১৯৯৭ সালে। তবে তখন এর কোনো নাম ছিলনা। ২০০৩ সালে এর নামকরণ করা হয় ক্যাপচা।
ক্যাপচা কিভাবে কাজ করে?
ক্যাপচার কাজ অনেকটা টিউরিং টেস্ট এর মত। ব্যবহারকারীকে কিছু ছোট কাজ দেয়া হয়। যেটা কোনো সফটওয়্যার বা রোবট এর পক্ষে সম্ভব নয়। সাধারণত অনলাইনে একটি ফর্মের নিচের দিকে একটি বিকৃত ছবি তে কত গুলো বর্ণ বা অংক দিয়ে ব্যবহারকারীকে সেগুলোকে প্রবেশ করানোর জন্য বলা হয়। ক্যাপচার বর্ণ বা সংখ্যাগুলোও সাধারণত আমরা যেভাবে লেখি সেভাবে থাকেনা। বরং কিছুটা ঢেউ খেলানো কিংবা খুবই অবিন্যস্ত অবস্থায় থাকে। যা কোনো অটোমেটেড প্রোগ্রাম এর পক্ষে ডিকোড করা সম্ভব নয়।
ক্যাপচার শব্দ বা বর্ণগুলো মাঝে মাঝে এতটাই অবিন্যস্ত আকারে থাকে যে মানুষের পক্ষেও সেটা বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য অনেক সাইটে ক্যাপচা পরিবর্তনের কিংবা অডিও শোনার সুযোগ আছে। Luis von Ahn এর মতে প্রতিদিন অন্তত ৬০ মিলিয়ন ক্যাপচা সমাধান করা হয়। একজন মানুষের গড়ে ১০ সেকেন্ড সময় লাগে এই ক্যাপচা সমাধান করতে। সেই হিসেবে প্রতিদিন ক্যাপচা সমাধানে যে পরিমাণ সময় ব্যয় হয় তা ১৬০,০০০ ঘন্টার সমান বা প্রায় ১৯ বছরের সমান।
ক্যাপচার শুরুঃ
প্রথমে ক্যাপচার শুরু হয়েছিল বিভিন্ন ওয়েবসাইটে স্প্যামিং কমানোর জন্য। এবং তখন ক্যাপচা হিসেবে দেয়া বিভিন্ন ইংলিশ শব্দগুলো ছিল বিভিন্ন বই থেকে নেয়া। এই উদ্দেশ্যে অনেক পুরোনো বই, ম্যাগাজিন কে স্ক্যান করে অনলাইন ডাটাবেইজ বানানো হয়।
এবং এভাবে মোটামুটি ঠিক ই চলছিল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বিভিন্ন বটও এসব ক্যাপচা শব্দ পূরণ করতে সক্ষম হয়ে উঠে। এটি ঠেকাতে গুগল নিয়ে আসে নো-ক্যাপচা রি-ক্যাপচা ধারণা।
এটি গুগলের আরো আপডেটেড প্রযুক্তি। এক্ষেত্রে আপনি যখন ক্যাপচার চেকবক্সে ক্লিক করবেন সাথে গুগলের কাছে আপনার কিছু ইনফরমেশান সহ একটি HTTP রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দেয়। যেমন, আপনার আইপি এড্রেস, লোকেশান, সময়, ক্লিক করার আগমুহূর্তে আপনার কার্সর মুভমেন্ট, আপনার পেজ স্ক্রলিং এর তথ্য ইত্যাদি। এবং বেশিরভাগ সময় গুগলের ইন্টেলিজেন্স বট এই তথ্য বিশ্লেষণ করেই বুঝে যায় ব্যবহারকারী কোনো মানুষ নাকি রোবট।এরপর ও যদি আপনার এসব তথ্য দিয়েও ইন্টেলিজেন্স বট কোনো সিদ্ধান্তে আসতে ব্যর্থ হয় আপনি মানুষ নাকি রোবট এই ব্যাপারে তখন আপনি রিক্যাপচা পূরণ করতে দেওয়া হয়।
যেখানে আর আগের মত শব্দ কিংবা বর্ণ ইনপুট দিতে হয়না। এটা ইমেজ প্রসেসিং ক্যাপচা বলা যায়। যেখানে ছোট ছোট বক্সে বিভিন্ন ছবি থাকবে, ব্যবহারকারীকে ছবি থেকে নির্দিষ্ট কোনো অবজেক্ট খুঁজে বের করতে বলা হবে। এবং সেইসব ছবিতে টিক দিতে হবে। ছবি হিসেবে গুগল তার ম্যাপ ব্যবহার করল।
ম্যাপ থেকে বিভিন্ন পণ্য, রোড সাইন, সুপারশপ ইত্যাদির ছবি দেখাতে লাগল। ব্যবহারকারীকে হয়ত বলা হল যে ছবিগুলোতে কোনো শপ আছে কিংবা রোডসাইন আছে কিংবা গাড়ি আছে সেই ছবিগুলো সিলেক্ট করতে। এটি ঠিকভাবে না করা পর্যন্ত আপনাকে নেক্সট স্টেপ এ এক্সেস দিবেনা। এটি মানুষের জন্য হয়ে উঠল আরো সহজ কিন্তু কোনো বট কিংবা রোবট এর জন্য হয়ে উঠল আরো কঠিন।
Jowel Das Provas
অনবদ্য লিখা হয়ে এটি। captcha niye osadharon ekti likha, khuv valo hoyeche, pore khub valo laglo. thanks a lot for your post
Tawhid
Thanks a lot for your Comment.
Mohammad
অনেক ভালো একটি পোস্ট করেছেন?
Tawhid
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
Md Hasib
ভালো লাগলো
Tawhid
Thanks for Your Comment.
Tawhid
Visitor Rating: 5 Stars
Tawhid
সবার থেকে রেটিং আশা করছি, রেটিং দিলে বুঝতে পারবো কেমন হচ্ছে আমার পোস্ট।